১ম পর্ব || কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একদিন
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য থাকার চেষ্টা করছেন। কিন্তু অনেকেই সেটা পারছে না। কারণ গত কয়েকদিনে ভূমিকম্পের ফলে মানুষের মনে যে ভয়টা তৈরি হয়েছে সেটার রেশ এখনও কাটেনি। মানুষজন অনেক টেনশনে আছে ইতোমধ্যে! আসলে প্রাকৃতিক দূর্যোগে মানুষের কোনো হাত নেই। তবে আমাদের সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ সতর্ক না হলে পরবর্তীতে বড় ধরনের ঝুকির সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। তো ভূমিকম্প আসলে প্রকৃতি প্রদত্ত। কখন হয় সেটা বলা যায় না। তো ভূমিকম্প হওয়ার ঠিক আগের দিন প্লেন করা হয় কক্সবাজার ট্যুরে যাওয়ার। এটা মূলত কোচিং থেকে করা হয়ছিল। RPR ডুয়েট এডমিশন কোচিং প্রতিবছর ট্যুরের আয়োজনকরে থাকে। আগেরবারও করেছিল। সেবার আমরা গিয়েছিলাম বান্দরবান এ। মূলত এটা একদিনের ট্যুর! একদিনে যতটুকু দেখা যায়। তবে এ ট্যুরগুলো বিশেষত্ব হচ্ছে আপনি সবাইকে নিয়ে উপভোগ করতে পারছেন।
এবারে প্লেন করা হয় কক্সবাজারে। কক্সবাজারে আমার কখনো যাওয়া হয়নি! আরপিআর কোচিং থেকে এ ট্যুর দেয়া হয় মূলত সদ্য ডুয়েটে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে কেন্দ্র করে। যারা আর পি আর কোচিং এ পড়েছিল। তাদের জন্য একটা অন্যরকম ভালো লাগার বিষয় ট্যুর! তো এবার যখন কক্সবাজারে যাওয়ার কথা বলছিল। আমি মোটামোটি খুশি হয়েছিলাম। সমুদ্র সৈকত দেখা হয়নি। যদিও একদিনের ট্যুর! একদিনে তো আর সব দেখা সম্ভব হয় না। একদিন ট্যুর দিয়ে আবার ব্যাক করাটাও অনেক প্যারার বিষয়! তবুও যাওয়ার ইচ্ছে হলো ক্লাসমেট কয়েকজন যাবে আমাদের সাথে! তাই অনেক চিন্তা ভাবনা করে ঠিক করলাম যায়। টাকারও প্রবলেম ছিল। মাসের শেষের দিকে টাকার প্রবলেম সবারই থাকে আসলে! তো এবার দুটি বাস ঠিক করা হয়েছিল আগের বারের মতো!
দশ তারিখ ট্যুরের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে গাড়ি দিয়ে যাবো শুক্রবার রাতে আবার ব্যাক করবো। লং ট্যুরে বিশ্রাম নিয়ে না ঘুরলে মজা হয় না। এ ট্যুর গুলে জাস্ট সবার সাথপ উপভোগের জন্য। আর আপনি যদি এমন প্লেসে না গিয়ে থাকেন সেটাও জানার জন্য। এবারের ট্যুরের চাদাঁ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩২০০ টাকা, তার মধ্যে ১৪০০ টাকা দিবে কোচিং থেকে বাকি টাকা দিতে হবে নিজেকে। তে এবার কোচিং টিচার ও নতুন চান্স পাওয়া স্টুডেন্ট সহ টোটাল ৭২ জন যাওয়ার প্লেন করেছিল! তো কোচিং থেকে আমাদের আগেই বলে দিয়েছিল সন্ধ্যায় সাতটায় যেন ডুয়েট গেইটে চলে আসি। যথারীতি আমরা চলে আসি। বাস আসতে একটু ডিলে হয়! তারপর বাস যখন আসে তখন আমরা সবাই বাসে উঠে পরি। বাসে উঠার কিছুক্ষণ এর মধ্যেই বাসটা ছেড়ে দেয়!
তো আমাদের টার্গেট ছিল কক্সবাজারে গিয়ে সূর্যাস্ত দেখার। কিন্তু আমাদের বাস দেরি করে আসায় সেটার আশা আর আমরা করতে পারেনি। রাতে মোটামোটি ভালোই ঠান্ডা লেগেছিল। বাস দিয়ে কক্সবাজার পৌঁছাতে সকাল সাড়ে সাতটা বেজে যায়। তখন দেখি সূর্যও উঠে গেছে। সূর্যোদয়টাও আর দেখা হলো না! কি আর করার। বাসের ভিতরে আর তেমন ঘুম হয়নি! কোচিং এর পরিচালক আমাদের দাদা হয়। উনি আগে থেকেই খাওয়ার জন্য একটা রেস্টুরেন্ট ম্যানেজ করে রাখছিল। তো সকালের নাস্তা করে আমাদের উদ্দশ্য ঘুরাঘুরি করার। তারপর চান্দের গাড়ি করে ঘুরার উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরলাম আমরা!
চলবে,,,,,,,,,,,
| Device | Samsung S20 |
|---|---|
| Location | Cox's Bazar, Chittagong |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

.jpg)




