চাপটা আসলে সাময়িক!!
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি যদি সুস্থ্য না থাকেন তাহলে কোনো কিছুই করতে আপনার ভালো লাগবে না। তো সবারই জীবনে কোনো না স্বপ্ন থাকে। যে বড় হয়ে কেউ ডাক্তার হবে, কেউবা ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু এ স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করা কি এতোই সহজ। নামের পাশে ডাক্তার বা নামের ইঞ্জিনিয়ার লাগানো মোটেও সহজ কাজ নয়। একটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মেডিকেলে বা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ার সুযোগ পায়। কিন্তু তারপর থেকেই শুরু হয় সংগ্রাম। সেটা হচ্ছে বেচেঁ থাকার সংগ্রাম। এডমিশনে যেভাবে আপনি যেভাবে পড়াশোনা করেছেন যখন আপনি ভার্সিটিতে চলে আসেন সেভাবে পড়াশোনা কয়জন করে!
অনেকেই ভাবে চান্স পাওয়ার পরই পড়াশোনা শেষ! এরপর আর তেমন পড়তে হয় না। কিন্তু আপনি যখন ভার্সিটিতে চলে আসছেন আপনাকে এডমিশনের থেকে বেশি পড়তে হয় যেটা এখন বুঝতেছি। ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে যখন ছিলাম তখন খুব প্রেসার লাগতো। একটার পর একটা সিটি, ল্যাব, কুইজ টেস্ট দিতে দিতে জীবনটা প্রায় শেষ মনে হয়েছিল! রেস্ট নেয়ার কোনো সুযোগ নেই আসলে। মেডিকেল পড়াশোনা বলে আর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা বলে সবখানেই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। এমনি এমনি ডিগ্রি নিয়ে নিবেন সেটা কখনো সম্ভব হয় না! আমাদের ভার্সিটিতে জুনিয়ররা এসেছে। তাদের ক্লাস শুরু হয়েছে। শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ক্লাস চলতেছে। এর ই মাঝে অনেকে ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে। যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ শুরুতে এতো চাপ সহ্য করার মতো হয় না।
তারপরও পড়াশোনা কন্টিনিউ করে যেতে হবে। ইতোমধ্যে ভার্সিটির ছোট ভাই কয়েকজন পরামর্শ চেয়েছে কিভাবে পড়াশোনা করবো। আমি তাদেরকে বললাম খাতায় যা লেখাবে আর স্যার বা ম্যাম যা বলবে তাই ভালো করে পড়তে। বিশেষ করে সিটিগুলা ভালো করে দিলে সিজিপিএ টা ভালো আসে। নয়তো সেটা ভালো আসে না। এজন্য ভার্সিটিতে উঠার পর একজন স্টুডেন্ট এর প্রথম ও প্রধান কাজ সিজিপিএ ঠিক রাখা। কিন্তু আপনি সিজিপিএ ঠিক রাখলেন ঠিকই, কোনো স্কিল ডেভেলপ করলেন না তাহলে হবে না। কোনো একটা স্কিলে আপনাকে পারদর্শী হতে হবে। কারণ জব সেক্টরে সিজিপিএ এর পাশাপাশি স্কিল থাকাটা ম্যাটার করে। তো ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে পড়াশোনাটা অনেক চাপ মনে হবে। কিন্তু যখন সে চাপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া হয় তখন আর সেটাকে চাপ বলে মনে হয় না!
ধরুন, আপনার সকালে অফিস। সকালে অফিসে যাওয়া আপনার বাধ্যতামূলক। অফিসে না গেলে আপনার চাকরিও থাকবে না। অফিস টাইম সকাল আটটা থেকে। আপনি নিয়ম করে সকাল আটটার আগেই এলার্ম দিয়ে উঠে পরেন। আপনি এ কাজটা একমাস করেছেন। আপনি যখন এটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন তখন দেখবেন সেটা আপনার কাছে সহজ লাগবে। আপনি এলার্ম ছাড়াই ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। আসলে চাপটা সাময়িক তখনই যখন ব্যাপারটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। এজন্য শুরুতে চাপ অনুভব করলেও সেটা ধীরে ধীরে কমে যায় সেটা আপনার কাছে মনে হবে। কিন্তু চাপ আসলে কমেনি বরং আপনি সেটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন এজন্য সহজ মনে হয়েছে। জীবনে চাপ আসবে, সামলাতে হবে! তবে চাপে পরে হতাশ হওয়া যাবে না।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।



