ডাই পোস্ট- প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে চায়ের টিপোট তৈরি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি যে যেখানে যেভাবে আছেন ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুল্লিাহ্ ভালো আছি। আর এই ভালো থাকা থেকেই আজ আবারও চলে এলাম আমার আরও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে। আমাদের দেশে এখন শোনা যায় অনেক দিবস পালিতো হচ্ছে। আগে অবশ্য এত দিবসের নাম শুনিনি। গতকালও নাকি একটি ডে গিয়েছিল আর সেটি হচ্ছে সবার একটি খুব পছন্দের খাবার। বলতে পারেন এটি অনেকের কাছে একটি নেশাও। অনেককে দেখেছি যে ভাত না হলে চলে কিন্তু এটি না খেলে যেন তার ভালোই লাগে না। শুধু অনেককে বলবো না আমার মাকেও দেখেছি চা ভীষণ পছন্দ করতো। আমার মায়ের ভাত না হলেও চলতো। কিন্তু দিনের বেলা চা অতন্তঃ পক্ষে কয়েক কাপ খেতে হতো। আবার প্রায় রাতে ১২-১.00 টায় দেখতাম চা খেতে।
হ্যাঁ প্রিয় বন্ধুরা গতকাল টি- দিবস গিয়েছিল। এই টি মানে চা। আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। শুনতে পেলাম অনেকে নাকি বাড়ির আশে আশে চা খুঁজে না পেয়ে পেরেশানি হয়ে গেছে।অনেক দূর দুরান্ত গিয়ে চা খেয়েছে । তারপর শান্তি পেয়েছে। আর এই কথাটি শোনার পর মাথায় একটি আইডিয়া বের করলাম। যে আজ একটি চায়ের টিপোট ডাই বানাবো আপনাদের মাঝে পোস্ট করার জন্য। তাহলে পোস্টি একটু ইউনিক লাগবে। কারন আমাদের যারা পাঠক আছে তারা প্রতিটি ব্লগারের কাছ থেকে নতুন বা ইউনিক কিছু ব্লগ আশা করে।আর তাই আমিও পাঠকদের একটি ভালো মানের ইউনিক ব্লগ দেবার চেষ্টা করেছি। আর হয়ে গেল যে কথা সেই কাজ।তাড়াতাড়ি সকল সরঞ্জাম নিয়ে বসে পরলাম একটি ইউনিক চা টিপোট বানানের জন্য। আর বানানো শেষ হবার পর দেখি আসলেই ইউনিক হয়েছে। অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে তাই ভাবলাম যে আপনাদের মাঝে শেয়ার করি আমার আজকের ইউনিক টিপোট ডাইটি। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। তাহলে চলুন কিভাবে আমার ইউনিক চা-টিপোট বানালাম দেখে আসি।



প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ

• রঙ্গিন গ্লিটার পেপার
• প্ল্যাস্টিকের বোতল
• গ্ল গান আঠা
• কেচি
• গোল্ডেন লেস
• মোটা কাগজ
• এন্টি কাটার
প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে এন্টিকাটার দিয়ে বোতলের উপরের অংশ সুন্দর করে পরিমান মত কেটে নিলাম।

এরপর মোটা একটি কাগজ কে টিপোট এর নিচের অংশের জন্য গোল করে পরিমান মত করে কেটে নিলাম।

এবার গ্লিটার পেপার গোল করে কেটে সেই গোল কাগজটির মধ্যে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিলাম।

এবার আঠা দিয়ে সেই গোল অংশটি টিপোট নিচের অংশে লাগিয়ে নিলাম।

এবার গ্লিটার পেপার পরিমান মত কেটে টিপোটটির নিচে চার কিনারে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিলাম।

এবার আবার গোল ছোট করে কাগজ কেটে নিলাম ও টিপোট এর ওপরের ক্যাপ এর জন্য। আর গ্লিটার পেপার গোল করে কেটে আঠা দিয়ে কাগজের মধ্যে লাগিয়ে নিলাম।

এবার চারপাশে একটু বড় করে গ্লিটার পেপার কেটে আঠা দিয়ে লাগিয়ে একটি সম্পূর্ন ক্যাপ বানিয়ে নিলাম।

এবার ক্যাপের মাঝে একটি পুটুলি দেবার জন্য গ্লিটার পেপার কেটে গোল করে ভাজ করে নিলাম।

এবার পটের যেখানে দিয়ে চা বের হবে সেটার জন্য একটি চারকোন কাগজ কেটে তার মধ্যে আঠ দিয়ে লাগিয়ে পজিশন মত সুন্দর করে কেটে নিলাম।

এবার ক্যাপের মাঝের পুটুলির মধ্যে ধরার জন্য গোলাপের বানানোর জন্য কাগজ গ্লিটার পেপার পেচিয়ে কেটে নিলাম। ও একটি গোলাপ বানিয়ে নিলাম।

এবার সবগুলো বানিয়ে এক এক করে পটটির মধ্যে আঠা দিয়ে সুন্দর করে সেট করে লাগিয়ে নিলাম।

এবার ভাবলাম যে আরেকটু গোল্ডেন কালার যদি কোন লেস লাগানো যেত তাহলে আর একটু ভালো লাগতো। তাই অফ করে দৌঁড়ে গেলাম বাড়ির কাছে একটি দোকানে। সেখানে লেস পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে লেস কিনে নিয়ে এলাম আর কেটে আঠা দিয়ে পটটির নিচের চারকিনারে ও ক্যাপটির মধ্যে সুন্দর করে লাগিয়ে দিলাম।


এবার ভাবলাম যে পটটি সাদা সাদা লাগছে। তাই চিন্তা করলাম কি করা যায়। মাথায় এলো গ্লিটার পেপার গোল টিপের মত করে কেটে সমস্ত বডিতে ছিটা ছিটা করে লাগিয়ে দেই। যেই ভাবনা সেই কাজ। সাথে সাথে গোল করে কেটে আঠা দিয়ে লাগেয়ে নিলাম।

আর এভাবে করে আস্তে আস্তে সম্পূর্ন করে নিলাম আমার আজকের চা টিপোট।
উপস্থাপন



আর এভাবে আস্তে আস্তে সম্পূর্ন শেষ করে আপনাদের মাঝে প্রেজেন্টেশন করলাম আমার আজকের অসাধারন একটি চা টিপোট এর খুব সুন্দর একটি ইউনিক ডাই । আর আপনাদের মাঝে এর উপস্থাপনাও সুন্দর করে করার চেষ্টা করলাম। জানিনা কেমন হয়েছে আমার আজকের ডাই চা টিপোট। তবে আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে আবারও আমার নতুন আঙ্গিকে নতুন পোস্ট শেয়ার করতে। ইনশাল্লাহ্ আগামীতেও করবো। আজ ডাই টিপোট কেমন হলো জানার অপেক্ষায় থেকে এবং আপনাদের সবার সুস্থতা কামনা করে ও সবার ভালোবাসা নিয়ে আমার আজকের ব্লগটি এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন।
পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা। আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রথম স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি। আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে ,ছবি আঁকা, বিভি ন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি,ডাই প্রজেক্ট বানাতেও দারুণ পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও গান গাইতে। আর সবচেয়ে বেশী পছন্দ করি ঘুমাতে।
