নাটক রিভিউ || লও ঠ্যালা
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে লও ঠ্যালা। এই নাটকের মধ্যে যে নায়ক ও নায়িকা রয়েছে তাদের নাটক আমার সবসময় ভালো লাগে। তাদের জুটি অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি ও বাংলা ডাবিং করা মুভি অনেক দেখা হতো, অনেক খেলাধুলাও করা হতো তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না৷ তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
| নাটক | লও ঠ্যালা |
|---|---|
| পরিচালক | মাহমুদুর রহমান হিমি |
| অভিনয় | ফারহান আহমেদ জোভান, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া সহ আরো অনেকে |
| দেশ | বাংলাদেশ |
| ভাষা | বাংলা ভাষা |
| প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
| দৈর্ঘ্য | ৩৯ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড |
| মুক্তির তারিখ | ০৪ জুলাই ২০২৪ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে চলে আসলাম৷ আশা করি আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে নাটকের রিভিউ শেয়ার করব সেটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। প্রথমে নাটকটির নাম দেখে আপনারা বুঝে গিয়েছেন যে নাটকটি কেমন হতে চলেছে। আমিও যখন নাটকের নামটি প্রথমে ইউটিউব এর মধ্যে দেখি তখন আমি ভেবেছিলাম যে নাটকটি ঠিক এরকমই হবে৷ পরবর্তীতে আমি নাটকটির সবকিছু ধীরে ধীরে বুঝতে পারি৷ আজকে আপনাদের মাঝে এই নাটকের রিভিউ নিয়ে চলে আসলাম৷ প্রথমে নাটকটি শুরু হয়ে যায়৷ নায়ক বিদেশে গিয়েছিল৷ সে একটু শো আপ করার মানসিক চেতনা ছিল৷ কারণ সে সব সময় শো আপ করতো। সে যেখানে যা কিছু দেখতো সেগুলোর সাথে নিজের সেলফি নিয়ে নিত। বড় কোন স্থাপনা অথবা বড় কিছু সেলফি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে দিত। সে একটা ভাব নিয়ে থাকতো যে সে সব কিছুর মালিক। তবে প্রকৃতপক্ষে সে কোন কিছুর মালিক ছিল না।
এর পরবর্তীতে সেখানে নায়ক সামনের দিকে এগোতে থাকে। এখানে অনেক কিছুই সে দেখতে পায়৷ তবে কোনভাবেই সে সেখানকার ভাষা জানতো না। কিভাবে কি করতে হবে সে কোন কিছুই করতে পারত না৷ তাই সে সেখানে যখন যায় তখন সে টাকা ভাঙ্গানোর জন্য গিয়েছিল৷ সেখানে সে জিজ্ঞাসা করছিল যে টাকা কোথায় ভাঙতে হয়৷ এরকম অনেক ধরনের কথা সে একজন ব্যক্তিকে বলছিল৷ তবে কোনভাবেই সেই ব্যক্তি তার কথা বুঝতে পারছিল না৷ তার কোন কথার উত্তর দিতে পারছিল না৷ এর কিছুক্ষণ পরে দেখা যায় যে সেখানে তার মতই একজন বাংলাদেশী আসে৷ সে বাংলাদেশী তার সাথে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে৷ তিনি বলতে থাকেন যে বাংলাদেশীরা বাংলাদেশীদের সাহায্য করবে৷ এরকম অনেক ধরনের কথা বলে নায়কের কাছে যে টাকাগুলো ছিল সেগুলো ভাঙ্গিয়ে দেয়৷ সেগুলো নায়ককে দিয়ে দেয় এবং নায়ক পরবর্তীতে হোটেলে চলে যায়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
এর পরবর্তীতে সেখানে নায়ক হোটেলের মধ্যে অবস্থান করে এবং সে কি করবে সেখানে কিছু বুঝতে পারছিল না৷ এর পরবর্তীতে সে সেখানে দেখতে পায় হোটেলের যে স্টাফ রয়েছে তার মধ্যে একজন মেয়ে ছিল । সে হলো বাংলাদেশি। সে বাংলা কথা জানত৷ তাই নায়ক তার সাথে কথাবার্তা বলার চেষ্টা করে এবং তার সাথে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলার মধ্য দিয়ে অনেক কিছুই করতে থাকে৷ এর পরবর্তীতে সেখানে যখন খাবার খাচ্ছিল তখন সেখানে একজন তার মতই বাংলাদেশের লোক ছিল এবং তার সাথেও নায়ক বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে৷ সে বলছিল যে এখানে আসলে কত টাকা দিয়ে কত টাকা পাওয়া যায়৷ এরকম অনেক ধরনের কথাই বলছিল৷ এর পরবর্তীতে সে বুঝতে পারে যে সে ওই ব্যক্তির কাছে ঠকে গিয়েছে৷ নায়কের অনেকগুলো টাকা লস হয়ে গিয়েছে।
তাই সেই ব্যক্তিকেও নায়ক বিশ্বাস করে না৷ সে বলতে থাকে যে এরকম ব্যক্তি খুবই খারাপ ব্যক্তি৷ সে যেন ওই ব্যক্তিকে টাকা দেয় ৷ যেন তাকে সাহায্য করে৷ এরকম অনেক ধরনের কথা বলে৷ এর পরবর্তীতে সেখানে সে নায়িকাকে বিশ্বাস করতে পারছিল না৷ সে বলছিল যে সে নারীদের সাথে কথাবার্তা বলবে না। নায়িকা সেখানে তাকে সাহায্য করবে৷ নায়িকা যখন সাহায্য করবে তখন সেখানে সবকিছু সে খুব ভালোভাবে করবে৷ সে নায়িকার সাথে কথাবার্তা বলতে থাকে৷ নায়িকা যখন তাকে সাহায্য করছিল এবং টাকা পয়সার ব্যাপারে যখন তার সাথে কথাবার্তা হয় তখন একজন অন্যজনকে সন্দেহের চোখে দেখতে থাকে। তবে নায়িকা কোন ভাবেই তার বিশ্বাস করতে পারছিল না৷ তাই নায়ক তার সাথে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলছিল৷ এর পরবর্তীতে যখন তারা দুজন ঘুরতে যায় তখন সেখানে ওই ব্যক্তির সাথে দেখা হয়ে যায় যে ব্যক্তি নায়কের টাকা মেরে দিয়েছিল৷ তখন তার সাথে নায়কের অনেক ঝামেলা হয়ে যায় এবং তাকে অনেক বেশি মারতে থাকে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
এরপর ধীরে ধীরে নায়ক নায়িকাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে৷ প্রতিনিয়তাই নায়িকার সাথে কথাবার্তা বলার চেষ্টা করতে থাকে। নায়িকার সাথে যেকোনো ধরনের কাজ করার জন্য নায়ক অনেক বিশ্বাসী ছিল। এর পরবর্তীতে সেখানে নায়ক নায়িকাকে বলে যে তার ছুটি কোন দিন। ছুটির দিন সে যেন তার সাথে ঘুরতে বের হয়। এর পরবর্তীতে তারা সেখান থেকে ঘুরতে চলে যায় একটা জায়গায়। যখন তারা সেখানে ঘোরার জন্য চলে যায় তখন সেখানে নায়িকা জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে আসলে নায়ক এখানে কেন এসেছে। এখানে সে যেহেতু কোন কিছু জানেনা ও পারেনা তাহলে এখানে সে কেন এসেছে৷ এরকম অনেকগুলো প্রশ্ন নায়ককে নায়িকা করেছিল। সে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে থাকে। এরপর নায়ক তার সবগুলো কথা নায়িকাকে খুলে বলে।
নায়ক-নায়িকাকে অনেক ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে এবং জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে সে এখানে কেন পড়ে রয়েছে৷ তার পরিবার-পরিজন তাকে মিস করছে না৷ অথবা তার পরিবার থেকে কিভাবে সেইখানে এত দূরে পড়ে রয়েছে৷ তখন নায়িকা বলে যে সে তার পরিবারের জন্য এখানে রয়েছে৷ তবে সে এখানে আর চাকরি করবে না৷ কিছুদিন পরে সে যখন ভালো একটা কিছু করতে পারবে তখন সে এখানে অনেক ভালোভাবে একটা ছোটখাটো রেস্টুরেন্টের মত যে সকল ফাস্ট ফুডের দোকানগুলি রয়েছে সেগুলো দিবে৷ নায়কও ভাব ছিল যে এরকম কিছুই করবে৷ কারন নায়ক এখানে কোন একটা কিছু না করলে সে এখানে না খেয়ে মারা যাবে৷ সে নায়িকার সাথে ডিল করে এবং সে বলে যে নায়কের সাথে ব্যবসা করবে। তবে নায়ক কোনভাবেই তার ব্যবসার মধ্যে এমন কোন কিছু করবে না যাতে করে তার কোন সমস্যা হয়। তাই তারা দুজনে রাজি হয়ে যায় এবং এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
খুবই সুন্দর একটি নাটকের মধ্যে যেভাবে এত সুন্দর কিছু বিষয়কে শেয়ার করা হয়েছে তা একেবারে অসাধারণ ছিল। নাটকের মধ্যে যখন সবকিছু খুব ভালোভাবে শেয়ার করা হয় তা দেখে আমার অনেক ভালোই লাগে৷ এখানে যখন নাটকের মধ্যে সবকিছু এত সুন্দর ভাবে দেখানো হয় তা খুবই সুন্দরভাবে দেখানো হয়েছিল৷ এর পরবর্তীতে এখানে নাটকের মধ্যে যখন নায়ক বিদেশে এসেছিল এবং সে এরকম কোন কিছুই জানতো না, তখন এখানে তার বাংলাদেশী অনেকগুলো মানুষই তাকে ঠকিয়ে তার কাছ থেকে অনেক কিছু নিয়ে চলে গিয়েছিল তবে এখনো নায়ক সেগুলো বুঝতে পারিনি৷ কারণ নিজের দেশের মানুষকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে ফেলেছে৷
তবে তার নিজের দেশের মানুষরাই যে তাকে এভাবে ঠকিয়ে দিবে সে বিশ্বাস করতে পারে নি৷ এর পরবর্তীতে নায়িকার সাথে তার দেখা হয়৷ নায়িকা ভালোই ছিল৷ তবে নায়ক কোন ভাবে তাকে বিশ্বাস করতে পারছিল না৷ এর পরবর্তীতে নায়িকার সাথে সে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলা শুরু করে৷ তাদের মধ্যে অনেকটা ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে যায়৷ তাদের এই ভালো সম্পর্কের কারণে তারা একে অপরের বিজনেস পার্টনারও হয়ে যায়৷ ভবিষ্যতে তারা লাইফ পার্টনারও হয়ে যাবে। আসলে আমাদের বাস্তব জীবনে আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখতে পাই। এমন কিছু ঘটনা আমাদের সাথে ঘটে যায় যে আমরা তাদেরকে আর বিশ্বাস করতে পারি না। তবে একটা সময় পর আমরা যখন আমাদের বিশ্বস্ত মানুষ পেয়ে যাই তখন আমরা তা আমাদের জীবনসঙ্গী হিসেবেও পেয়ে যাই৷ আমাদের জীবনের একজন বিশ্বাসী মানুষ পেয়ে যাই৷ ঠিক সেরকমই একটি বিষয়কে নাটকের মধ্যে শেয়ার করা হয়েছে।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
| ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
|---|---|
| স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @bijoy1 |
| ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
| লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের নাটক রিভিউ। আসলে কতটুকু ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি জানিনা। তবে আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ দিয়ে। আর আপনাদের উৎসাহ উদ্দীপনা পেলে হয়তো আরো ভালো কিছু করতে পারব,সেজন্য আপনাদের সাপোর্টের অনেক অনেক প্রয়োজন।যাইহোক বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি ধন্যবাদ।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
















0.00 SBD,
0.06 STEEM,
0.06 SP
Many many thanks to you.
https://x.com/i/status/2006210636926337469