হ্যা_{^{লো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid420 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।}}

আমার আজকের ব্লগের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ।নাটকের নাম হচ্ছে ধনী গরিবের লড়াই।আশা করি আমার আজকের নাটক রিভিউ ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে। ।চুলুন শুরু করি তাহলে।

নাটকটির গুরুত্ববহ তথ্যসমূহ:

নাটকের নায়ক ইফতেখার ইফতি নাটকের মধ্যে
সোহাগ নামে পরিচিত আর নায়িকা জান্নাতুল মাওয়া রিমা নামে পরিচিত।

নাটকের এই পর্বের শুরুতেই দেখতে পারবেন রিমার চাচী রিমার বাড়িতে এসেছে একটি কথা বলার জন্য। সেটি হল সুরুজ এবং মোড়ল মশাই মিলে সোহাগদের রিক্সা চুরি করাবে সেই কথাটি বলার জন্য। এই কথা শোনার পর রিমা এবং সোহাগের বোন মিলে বাসা থেকে বের হয় সোহাগকে এই কথাটি বলার জন্য। যতক্ষণে রিমা এবং সোহাগের বোন সোহাগের সাথে দেখা করতে আসে ততক্ষণে রিক্সাটি চুরি হয়ে যায়। সুরুজ যে লোককে রিক্সা চুরি করানোর জন্য পাঠিয়েছিল সে অভিনয় করে সোহাগকে পানি আনতে বলে সে অসুস্থ হয়েছে বলে। সোহাগ যখন রিকশা রেখে পানি আনতে যায় তখন সেই লোকটি রিক্সা চুরি করে পালিয়ে যায়।

এরই মাঝে সেই চোর রিক্সাটি নিয়ে সুরুজের কাছে চলে আসে। সুরুজ তাকে অনেক বাহবা দেয়। তারপরে হঠাৎই সুরুজ দেখে যে তার মা কোথা থেকে যেন আসতেছে। এখন সুরুজ গিয়ে তার মাকে জিজ্ঞাসা করে কোথায় গিয়েছিলো । সুরুজের মা বলে তার কোন এক বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। কিন্তু সে গিয়েছিল রিমার বাড়িতে। তখন সুরুজ বলে মা দেখো আমরা রিক্সা কিনেছি আর এই ছেলেকে ড্রাইভার রেখেছি। যখন যেখানে খুশি তোমাকে নিয়ে যাবে। তখন সুরুজের মা বুঝতে পারে আসলে রিক্সাটি কার। তারপর সুরুজের মা বলে কোথাও যাব না আমি,বাসা নিয়ে চল না হলে রিকশা থেকে নেমে যাব। তারপরে তারা সবাই মিলে মোড়ল বাড়িতে চলে যায়।

এদিকে সোহাগের বাবা খিদার চোটে বসেছিল কখন সোহাগ বাজার করে আনবে কখন রান্না হবে আর কখন খাবে। এরই মাঝে সোহাগের বন্ধু সোহাগের বাবাকে এসে রিক্সা চুরির ঘটনাটি বলে। তারপরে যখন সোহাগের বাবা এই কথা জানতে পারে তখন অনেক আফসোস করে আর সোহাগের মা উপরওয়ালার কাছে ফরিয়াদ করে। যখন রিমা এবং সোহাগের বোন মিলে সোহাগে মোড়লদের রিক্সা চুরির ব্যাপারে বলে তখন সোহাগ ক্ষেপে যায়। কিন্তু তারা সবাই বাসায় চলে আসে। এসে সবাই মিলে উপরওয়ালার হাতে ছেড়ে দেয়। কিন্তু রিমা তাৎক্ষণিক ভাবে মোড়ল বাড়িতে চলে যায়। গিয়ে রিমার মাকে রিমা নিজেই এবং মোড়ল বাড়ির সব মহিলাকে চোর সাব্যস্ত করে এবং বিভিন্ন কথা শুনিয়ে আসে।

এদিকে আহসানুল্লাহ মোড়ল এবং তার ভাই মিলে রিক্সাটি নিয়ে আসার অপেক্ষা করে। রিক্সাটি নিয়ে আসলে প্রত্যেকেই অনেক খুশি হয়। কিন্তু মাস্টারমশাইয়ের মনে ছিল অনেক দুঃখ কষ্ট। এই কথা সে সুলতানের কাছে প্রকাশ করে। কিন্তু সুলতানা কিছুই বলে না। এদিকে সোহাগ এবং তার বন্ধুরা মিলে তারা পরিকল্পনা করে তারা রাতের বেলায় গিয়ে রিকসাটি চুরি করে নিয়ে আসবে। যখন সোহাগ তার বন্ধুদের মিলে রিকসাটি মোড়ল বাড়ি থেকে চুরি করো আনতে যায় তখন সোহাগের বন্ধুকে মোড়ল বাড়ির বড় মেয়ে সুলতানা দেখে ফেলে আর সে সময়ই এই নাটকের পর্বটি শেষ হয়ে যায়।

নাটকের এই পর্বকে নিয়ে আমার মন্তব্য:-

নাটকের এই পর্বটিও অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং ছিল। বিশেষ করে যখন রিমা গিয়ে মোড়ল বাড়িতে সবাইকে চোর বলে আখ্যায়িত করে আসে এবং উঁচু গলায় কথা বলে আসে। সত্যি বলতে সত্যের পথে যারা থাকে তারা কখনো ভয় পায় না বরং তারা আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে। অন্যায়ের পথে যারা চলে তারা সর্বদা নিজের শক্তি দিয়ে সাময়িক সময়ের জন্য রাজত্ব করতে পারলেও দীর্ঘ সময়ের জন্যই তাদের পতন হয়। দেখা যাক পরবর্তীতে এই নাটকের পর্বে কি ঘটতে চলেছে।