নিজের জমিতে আলু পিয়াজ রসুন রোপন করলাম

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর অসীম রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমাদের ফসলের জমিতে আলু রসুন পেঁয়াজ রোপন করা।

^{This is the Cover Photo}

ফটোগ্রাফি মানে শুধু একটি দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করা নয়, এটি আসলে অনুভূতিগুলোকে জমিয়ে রাখা। প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প, এক একটি হাসি, এক একটি বিষণ্ণতা। ক্যামেরার শাটার ক্লিক করার মাধ্যমে আমি সময়ের চাকা থামিয়ে দিই। আমার ছবিতে আমার আবেগ আর অনুভূতিরা কথা বলে, যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।কারণ প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক একটি মুহূর্ত, এক একটি ভাবনা। ক্যামেরা আমার তৃতীয় চোখ, যা দিয়ে আমি পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে শিখি, এবং সাধারণ জিনিসগুলোকে অসাধারণ করে তুলি।

আজ একটা খুব সুন্দর দিন। আমরা সবাই মিলে আমাদের জমিতে পেঁয়াজ, রসুন আর আলু লাগানোর জন্য নেমে পড়লাম। সারাদিন কাজ হবে, কিন্তু একসঙ্গে থাকলে সব কাজই সহজ মনে হয়।

জমি তৈরি: কোদাল আর নাঙলের ভরসা

আমাদের জমিটা একটু ভেতরের দিকে, একদম অন্য সব ফসলি মাঠের মাঝখানে। চারপাশের জমিতে এখন অন্য ফসল লাগানো আছে, তাই বড় ট্রাক্টর আমাদের জমিতে আসতে পারেনি। এই জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, কষ্ট হলেও আমরা নিজেদের হাতেই মাটি তৈরি করব।

আমরা সবাই মিলে কোদাল আর নাঙল দিয়ে মাটি কাটা ও উল্টানোর কাজ শুরু করলাম। মাটির বড় বড় ঢেলাগুলো কোদাল দিয়ে ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো করলাম। মাটি যখন নরম আর ঝুরঝুরে হয়ে গেল, তখন দেখতে খুব ভালো লাগছিল। চাষের জন্য মাটিটা এখন পুরোপুরি তৈরি। এই কাজটা খুবই কষ্টের, কিন্তু আমাদের ভালো ফসলের জন্য এই পরিশ্রমটুকু দরকার।

সরঞ্জাম, কন্দ আর ভাগ করে নেওয়া

মাটি তৈরি শেষ হলে আমরা রোপণের জন্য তৈরি হলাম। আমাদের কাছে ছিল আলুর গোলাকার বীজ, আর ছোট লালচে পেঁয়াজের কলি। এই সব বীজ ও কন্দ আমরা বড় গামলা আর বস্তায় করে মাঠে এনে রেখেছি।

এরপর আমরা পুরো জমিটাকে তিন ভাগে ভাগ করে নিলাম। কারণ আমাদের একসঙ্গে তিনটে ফসল লাগাতে হবে: একটা অংশে পেঁয়াজ, আরেকটা অংশে রসুন এবং শেষ অংশে আলু।

আমার ভাগিনা ও পেঁয়াজ রোপণ

সবচেয়ে আনন্দের অংশ হলো আমার ভাগিনা। ছোট্ট মানুষ, সেও আজ আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। সে তার ছোট বাটিটা নিয়ে খুব মন দিয়ে দেখছিল আমরা কীভাবে কাজ করছি।

জমিতে সারিবদ্ধভাবে লাইন তৈরি করা হয়ে গেলে আমরা রোপণের কাজ শুরু করলাম। রসুন আর আলু লাগানোর পর, যখন পেঁয়াজের সারি এলো, তখন আমার ভাগিনা তার ছোট হাত দিয়ে একটা একটা করে পেঁয়াজের কলি মাটির ভেতরে সাবধানে পুঁতে দিতে লাগল। সে যেন একজন পাকা চাষির মতো আমাদের সাহায্য করছে, তার এই ছোট ছোট কাজগুলো দেখে আমাদেরও খুব ভালো লাগছিল।

সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে আজ আমরা জমি ভর্তি করে পেঁয়াজ, রসুন আর আলুর বীজ রোপণ করলাম। এখন শুধু অপেক্ষা, কবে আমাদের এই জমিতে নতুন সবুজ চারা মাথা তুলে দাঁড়াবে। আজকের দিনটা পরিশ্রমের হলেও খুব তৃপ্তির ছিল।

বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি এবং আপনাদের কাছ থেকে ভালো মন্তব্য আশা করছি। পরবর্তী ব্লগে নতুন বিষয় নিয়ে দেখা হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুক।

---

---

আমি আব্দুল আলীম, Steemit-এ আমার ব্যবহারকারীর নাম @alimtutorial । আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বিত। Steemit কেবল আমার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমার ভালোবাসার জায়গা। এখানে মানুষ তাদের সৃজনশীলতা এবং পছন্দ-অপছন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নেয়। এই প্ল্যাটফর্মটি আমাদের মতো কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতে পারি এবং অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। পড়া, লেখা, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, গান গাওয়া এবং ভ্রমণ আমার প্রিয় জিনিস। প্রতিটি কাজ আমাকে নতুন জীবনযাপন করতে শেখায়, এবং Steemit আমার এই সমস্ত শখ সকলের সামনে তুলে ধরার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম।

ফটোগ্রাফির বিবরণ

📱 ডিভাইসের নাম	📍অবস্থান	ক্যাপচার📸 দ্বারা
Redmi note 10 pro max	Jamalpur/BD	@alimtutorial
-	-	-

---

ধন্যবাদ

---

---

@photoman
@blacks
@royalmacro
@beautycreativity
@curators
@hungry-griffin

আমার পোস্টটি দেখার জন্য

---

শুভেচ্ছান্তে
@alimtutorial

_{Posted using SteemX}