জেনারেল রাইটিং || ছারপোকার অত্যাচারে জীবন অতিষ্ঠ(২য় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন রুমের মধ্যে ছারপোকা হয়েছিল, সেটা জানতে পেরেছিলাম। এরপর ইউটিউবে সার্চ দিয়ে ছারপোকার ব্যাপারে অনেক তথ্য জানতে শুরু করলাম। কারণ ছারপোকা আমি আগে চিনতামও না এবং এই ব্যাপারে কিছু জানতামও না। যাইহোক ইউটিউব দেখে জানতে পারলাম ছারপোকা নাকি প্রচুর ডিম ফোটায়। তখন আমি রাসেলকে জিজ্ঞেস করলাম বাংলাদেশ থেকে রাসেল ছারপোকা নিয়ে এসেছে কিনা তার লাগেজ ব্যাগে করে। কারণ রাসেল আসার পর থেকেই এমনটা হয়েছে। কিন্তু রাসেল তো কোনোভাবেই স্বীকার করে না। আমাদের রুম একেবারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিলো।
তাই ছারপোকা হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। বাসাবাড়ি নোংরা থাকলে নাকি ছারপোকা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আমার বুঝতে আর বাকি রইলো না, ছারপোকা বাংলাদেশ থেকে রাসেল ই নিয়ে এসেছে। আমি ছারপোকার কয়েকটি ছবি তুলে, পরের দিন আমাদের অফিসের কোরিয়ান বসকে এই ব্যাপারটা জানাই। কোরিয়ান বসকে যখন জানাই ছারপোকার কথা, তখন তিনি তো পুরোপুরি অবাক হয়ে যায়। তিনি বলেন ছারপোকা মূলত পরিত্যক্ত জায়গায় থাকে। যেখানে মানুষের চলাচল নেই। উনি কিছুটা ঘাবড়ে যান এবং আমাকে বলেন এগুলো খুবই মারাত্মক। রক্ত চুষে খায় মানুষের শরীর থেকে। এগুলো দূর করতে হলে বিভিন্ন ধরনের টেকনিক বের করতে হবে। যেহেতু আমি সেই অফিসে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছিলাম, তাই অফিসের বসের সাথে আমার সম্পর্ক বেশ ভালো ছিলো।
যাইহোক বসকে আমাদের রুমে নিয়ে গিয়ে সবকিছু দেখালাম। বললাম যে এগুলো দিনের বেলায় তেমন চোখে পড়ে না। রাতে লাইট বন্ধ করে শুয়ে পড়লে বিছানায় উঠে শরীর থেকে রক্তে চুষে খায়। উনি আমাকে বললেন এক ধরনের বোম রয়েছে। যেটা দেখতে অনেকটা জর্দার কৌটার মতো। মোমবাতির মতো উপর দিকে সুতা বের করা থাকে। সেই বোম কিনতে বলে চারটা এবং চারটা স্টিলের বাটি কিনতে বলে। ছুটির দিন মানে শনিবার বা রবিবার একটানা ৫/৬ ঘন্টা, সেই বোম ধরিয়ে রুমের দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে। এতে করে প্রচন্ড ধোঁয়ায় ছারপোকা সব মারা যাবে। এতে করে জামা কাপড় বা অন্যান্য সবকিছু ধোঁয়ার গন্ধে ভরে যাবে। পরবর্তীতে সব ওয়াশ করতে হবে। যাইহোক আমি একটি সুপার শপে ঢুকে চারটা বোম,চারটা স্টিলের বাটি এবং ছারপোকা মারার স্প্রে কিনলাম।
কারণ শনিবার আসতে আরো দুই দিন বাকি। এই দুই দিন স্প্রে দিয়ে দেখি ছারপোকা মরে কিনা। বাসায় আসার পর বেশ কয়েক জায়গায় স্প্রে ছিটিয়ে রাখলাম। তারপর রাতে শুয়ে পড়লাম লাইট বন্ধ করে। একটু পর লাইট অন করার পর দেখলাম দলবেঁধে ছারপোকা বিছানার দিকে আসছে। আমি স্প্রে মারার পর তেমন কাজ হয়নি। হাতেগোনা ২/৩ টি ছারপোকা মরে। কিন্তু এভাবে রাতে না ঘুমিয়ে বসে বসে ছারপোকা মারা তো সম্ভব নয়। কারণ পরের দিন সকালে অফিসে যেতে হবে। আর এভাবে সব ছারপোকা মারা ও সম্ভব নয়। যাইহোক সেদিনের মতো ঘুমিয়ে পরলাম। এরপর কি কি হলো পরবর্তী পর্বে সেগুলো জানতে পারবেন। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
| ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
| ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
| তারিখ | ২.৯.২০২৩ |
| লোকেশন | আনসান,গিয়ংগিদো, দক্ষিণ কোরিয়া |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹







Twitter Link
নোংরা পরিবেশ এবং আদ্র পরিবেশে এই ছারপোকার আদর্ভাব বেশি থাকে।
গত সপ্তাহে আমি ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে একটা শোরুমে ছিলাম সারারাত ঘুমাতে পারিনি। তিনটা রুম চেঞ্জ করেও ছারপোকার হাত থেকে রক্ষা পায়নি শেষমেষ না ঘুমিয়েই রাত পার করেছি।
ছারপোকার কামড় খাওয়া এবং এত পরিমান ছারপোকা দেখা ওটাই আমার প্রথম দিন ছিল।
ছারপোকা নিয়ে এ পর্বে আপনি খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন।
ভাই ছারপোকার কামড়ে ঘুমানো যায় না। রাতে ঘুমালে একটু পরপরই ঘুম ভেঙে যায়। যাইহোক পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ছারপোকা জীবনটাকে অতিষ্ঠ করে দেয় ।যা সহজে ঘর থেকে যেতে চায়না। এ ছারপোকা শুনেছি বেশিরভাগ নোংরা জায়গায় হয়ে থাকে। যাই হোক বোম এবং স্টিলের বাটি দিয়ে এবং স্প্রে কিনে কি করলেন পরবর্তীতে তা জানার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু ছারপোকা একবার হলে ঘর থেকে যেতে চায় না। পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবেন। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ছাড়পোকার আক্রমণ একবার শুরু হলে তা দমানো বেশ মুশকিল। মাঝে মাঝে তো রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। যাইহোক স্প্রে আর বোমা এনে দিয়ে হয়তো মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। দেখি সামনের পর্বে কি ঘটে।
ঘরে ছারপোকা থাকলে প্রতিদিনই রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় ভাই। হ্যাঁ ভাই পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবেন কি কি হলো। পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ছারপোকার খুব খারাপ একটা জিনিস পুরো শরীরে ব্যাথা ধরিয়ে দেয়। আমার বাসায় হয়েছিলো অনেক ঔষধ দিয়েছিলাম তবে বেশি কাজ হয়নি। পরে চার সপ্তাহ বিছানায় সব কিছু ছাদে নিয়ে গিয়ে শুকিয়েছি। পরে ছারপোকা চলে গেছে এখন একটু আরাম করে ঘুমাতে পারি। আপনার বিষয় টি খুব ভালো করে বুঝতে পারছি। দোয়া রইল ভাই যেনো ছারপোকার কাছে থেকে মুক্তি পান।
আসলে ঔষধ দিলেও ছারপোকা যেতে চায় না। খুবই বাজে পোকা,ঘুম একেবারে হারাম করে দেয়। যাইহোক আপনারও তাহলে এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভাই এটা তো ২০১৯ সালের কথা। যখন দক্ষিণ কোরিয়াতে ছিলাম। যাইহোক পোস্ট পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।