প্রবাসী রফিক ভাইয়ের বাবার মৃত্যু খবর
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
দূর প্রবাসে থেকেও হৃদয়ের টান সবসময়ই থাকে দেশের মাটিতে, প্রিয়জনের কাছে। কিন্তু জীবনের নির্মম বাস্তবতা এমন যে, সব সময় পাশে থাকা যায় না, বিশেষ করে যখন প্রিয় কেউ চিরবিদায় নেয়। প্রবাসী রফিক ভাইয়ের জীবনে এমনই এক অমোঘ বেদনার সময় এসেছে তাঁর প্রিয় বাবা আর বেঁচে নেই। বিদেশের মাটিতে কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে একদিন ফোন বেজে উঠলো, ওপাশ থেকে শোনা গেলো সেই ভয়ঙ্কর সংবাদ —বাবা আর নেই। মুহূর্তেই যেন চারপাশ অন্ধকার হয়ে গেলো।
রফিক ভাই থমকে গেলেন, সময় যেন থেমে গেলো তাঁর কাছে। চোখের সামনে ভেসে উঠলো বাবার মুখ, সেই হাসি, সেই পরিশ্রমী চেহারা, আর ভালোবাসায় ভরা চোখদুটি। ছোটবেলায় যিনি হাত ধরে হাঁটতে শিখিয়েছেন, যিনি জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ছায়া হয়ে ছিলেন সেই মানুষটি আজ আর নেই। দূরত্ব আর সময়ের বাধা তাঁকে বাবার শেষ দেখা পর্যন্ত দিতে পারল না। এ কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, এ এক নিঃশব্দ যন্ত্রণা যা বুকের গভীরে আগুনের মতো জ্বলতে থাকে।
বিদেশের মাটিতে বসে তিনি অসহায়ভাবে ভাবছেন, “আমি তো একটু আগে ফোন করেছিলাম, বাবার কণ্ঠটা আরেকবার শুনলে হয়তো মন শান্ত হতো।” কিন্তু জীবন কাউকে সময় দেয় না, মৃত্যু কারও অপেক্ষা করে না। তাঁর চোখ ভিজে উঠেছে স্মৃতির স্রোতে যখন দেশে যেতেন, বাবা হাসিমুখে দরজায় দাঁড়িয়ে বলতেন, আমার ছেলে এসেছে!আজ সেই দরজা খোলা থাকবে, কিন্তু বাবার সেই কণ্ঠ আর শোনা যাবে না।
রফিক ভাই জানেন, প্রবাস জীবনের প্রতিটি অর্জনের পেছনে তাঁর বাবার পরিশ্রম, ত্যাগ আর দোয়া ছিল। বাবার হাতের খাবার, স্নেহের ছোঁয়া, আর সেই মমতাভরা দৃষ্টি ছিল তাঁর জীবনের শক্তি। আজ তিনি যতই দূরে থাকুন না কেন, মনে হয় যেন বাবার আশীর্বাদ এখনও তাঁর চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
দেশে থাকা পরিবারের কান্নার শব্দ ফোনের ওপাশে কাঁপিয়ে দিচ্ছে তাঁর মনকে। তিনি চুপ করে বসে থাকেন, মাথায় হাজারো স্মৃতি ঘুরে বেড়ায়। ইচ্ছে হয় মুহূর্তেই উড়ে গিয়ে বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে একফোঁটা অশ্রু ফেলে বলতে, বাবা, আমি চলে এসেছি। কিন্তু বাস্তবতা এত সহজ নয়। প্রবাসের কাজ, দূরত্ব, আর সময়ের বাঁধা তাঁকে সেই সুযোগ দিচ্ছে না।এই কষ্ট কেবল তিনিই বুঝতে পারেন, যিনি প্রবাসে থাকেন, যিনি হাজার মাইল দূর থেকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা সহ্য করেন। জীবনের কঠিন মুহূর্তে বুঝতে হয়, অর্থ আর সাফল্যের চেয়েও মূল্যবান হলো প্রিয়জনের সান্নিধ্য।
রফিক ভাই জানেন, তাঁর বাবা হয়তো এখন শান্তিতে আছেন, কিন্তু তাঁর হৃদয়ে এক অপূর্ণতা চিরকাল থেকে যাবে। তবুও তিনি বাবার শেখানো শক্তি আর সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবেন, কারণ বাবা সবসময় চাইতেন তিনি দৃঢ় থাকবে।জীবনে সাফল্য বয়ে নিয়ে আসবে।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
| ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
|---|---|
| ধরণ | রাইটিং ✨ |
| মডেল | এম-৩১ |
| ক্যাপচার | @alif111 |
| অবস্থান | সিরাজগঞ্জ -রাজশাহী- বাংলাদেশ। |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼
সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻





