সেলুনে চুল কাটার মুহূর্ত |০১-নভেম্বর-২০২৫

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর অসীম রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেলুনে চুল কাটার মুহূর্ত নিয়ে, তো চলুন শুরু করি,

ফটোগ্রাফি মানে শুধু একটি দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করা নয়, এটি আসলে অনুভূতিগুলোকে জমিয়ে রাখা। প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প, এক একটি হাসি, এক একটি বিষণ্ণতা। ক্যামেরার শাটার ক্লিক করার মাধ্যমে আমি সময়ের চাকা থামিয়ে দিই। আমার ছবিতে আমার আবেগ আর অনুভূতিরা কথা বলে, যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।কারণ প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক একটি মুহূর্ত, এক একটি ভাবনা। ক্যামেরা আমার তৃতীয় চোখ, যা দিয়ে আমি পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে শিখি, এবং সাধারণ জিনিসগুলোকে অসাধারণ করে তুলি।

আজকে অনেকদিন পর সেলুনে গিয়েছিলাম চুল কাটানোর জন্য। চুলগুলো বেশ বড় হয়ে গিয়েছিল তাই ভাবলাম এবার আর দেরি করা ঠিক না। কাজ শেষ করে তাই বিকেলবেলাতেই হাঁটা দিলাম আমার পরিচিত সেলুনটির দিকে।

​ভেতরে ঢুকতেই নাকে এলো পরিচিত মিশ্র গন্ধ শ্যাম্পু লোশন আর চুলের স্প্রে-এর। ভেতরে তখন বেশ ব্যস্ততা কারিগররা কাজ করছেন। দুটি চেয়ারে কারিগররা কাজ করছিলেন। আমি ভেতরে ঢুকে দেখলাম বেঞ্চটা খালি তাই সেখানে বসলাম। আমার আসার পর আরও একজন এলেন এবং আমার পাশে বসলেন। এভাবে একটু অপেক্ষা করতে খারাপ লাগে না চারপাশের মানুষের কাজকর্ম দেখা যায়।
​কিছুক্ষণ বসার পরই আমার চোখ গেল একটি সেলুন চেয়ারের দিকে। দেখলাম একটি চুল কাটানোর চেয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। ভাবলাম বেঞ্চে বসে অপেক্ষা করার চেয়ে ওই চেয়ারে গিয়ে বসলে হয়তো একটু আরামদায়ক হবে। আমি উঠে গিয়ে ফাঁকা চেয়ারটিতে বসলাম।

​চেয়ারে বসার পর আয়নার দিকে চোখ গেল। সেলুনের দেয়ালে টাঙানো বড় আয়নায় নিজেকে দেখলাম চুলগুলো এলোমেলো চেহারায় একটা অগোছালো ভাব। যেহেতু আমাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে ভাবলাম এই সুযোগে একটা সেলফি তুলেই নিই। আয়নার সামনে চুল কাটার আগের "অপেক্ষা"র লুকটা ধরে রাখতে চাইলাম। ফোনটা বের করে আয়নার সামনে পোজ দিয়ে একটা সেলফি তুলে নিলাম। সেলফি তোলার সময় চারপাশে কী হচ্ছে সেদিকে অবশ্য খেয়াল ছিল না শুধু ক্যামেরাতে নিজেকে দেখার মধ্যেই মনোযোগ দিলাম। ছবিটা তোলার পর নিজেই হাসলাম চুল কাটানোর পরে কেমন দেখায় তার সাথে তুলনা করার একটা ভালো সুযোগ হবে।

​এরপর ফোনটা পকেটে রেখে আবার অপেক্ষায় মন দিলাম। আশেপাশের মানুষের কাজকর্ম দেখছিলাম। কেউ ম্যাগাজিন দেখছে কেউ ফোন ঘাঁটছে আর কেউ চুপচাপ বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। সেলুনে এলে এই অপেক্ষার সময়টা যেন একটু অন্যরকম হয় একটু শান্তির একটু নিরিবিলির। কাঁচির "খট-খট" শব্দ আর ট্রিমারের হালকা গুঞ্জন শুনতে শুনতে একসময় আমার ডাক পড়ল।
​চেয়ারে বসতেই কারিগর আমার দিকে তাকিয়ে হালকা হাসলেন। আমি বললাম "ভাই একটু ছোট করে দিন যেন দেখতে গোছানো লাগে।" উনি ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালেন এবং আমার গলায় কালো রঙের কাটিং শিটটা জড়িয়ে দিলেন।
​এরপর শুরু হলো চুল কাটানোর পর্ব। আয়নায় নিজের কাটিং দেখছিলাম। কাঁচি আর ট্রিমারের কাজে কেমন যেন একটা ছন্দ আছে। একে একে উপরের চুল পাশের চুল সব ছোট হয়ে আসছিল। মাথার উপর থেকে যেন অনেক ভার নেমে যাচ্ছে এমন একটা হালকা অনুভূতি হচ্ছিল। কারিগর খুব মনোযোগ দিয়ে তাঁর কাজটি করছিলেন।

​সবশেষে চুল কাটা শেষ হলে উনি মাথাটা মুছে দিলেন। আয়নায় নিজেকে দেখলাম আগের চেয়ে অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন লাগছে। অপেক্ষার ফাকে তোলা সেলফি আর এখনকার ছবিটার পার্থক্যটা চোখে পড়ার মতো। নতুন চুল কাটানোর পর এই সতেজ অনুভূতিটা সব সময়ই খুব ভালো লাগে। বিল মিটিয়ে হাসি মুখে সেলুন থেকে বেরিয়ে এলাম।

বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি এবং আপনাদের কাছ থেকে ভালো মন্তব্য আশা করছি। পরবর্তী ব্লগে নতুন বিষয় নিয়ে দেখা হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুক।

---

---

আমি আব্দুল আলীম, Steemit-এ আমার ব্যবহারকারীর নাম @alimtutorial । আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বিত। Steemit কেবল আমার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমার ভালোবাসার জায়গা। এখানে মানুষ তাদের সৃজনশীলতা এবং পছন্দ-অপছন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নেয়। এই প্ল্যাটফর্মটি আমাদের মতো কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতে পারি এবং অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। পড়া, লেখা, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, গান গাওয়া এবং ভ্রমণ আমার প্রিয় জিনিস। প্রতিটি কাজ আমাকে নতুন জীবনযাপন করতে শেখায়, এবং Steemit আমার এই সমস্ত শখ সকলের সামনে তুলে ধরার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম।

ফটোগ্রাফির বিবরণ

📱 ডিভাইসের নাম	📍অবস্থান	ক্যাপচার📸 দ্বারা
Redmi note 10 pro max	Jamalpur/BD	@alimtutorial
-	-	-

---

ধন্যবাদ

---

---

@photoman
@blacks
@royalmacro
@beautycreativity
@curators
@hungry-griffin

আমার পোস্টটি দেখার জন্য

---

শুভেচ্ছান্তে
@alimtutorial

_{Posted using SteemX}