Better Life with Steem|| The Diary Game||24 april 2024
বন্ধুরা আপনারা সকলেই জানেন আমার বোন জামাই হসপিটালে ভর্তি রয়েছে। গতকালকে আমার বোন জামাইয়ের পায়ের অপারেশন করাবে আর এই জন্য সকাল থেকে একটু চিন্তার মধ্যে ছিলাম। ঘুম থেকে ওঠার পরেই কোন কিছু ভালো লাগছে না তাই কিছু সময় বসে একটু অংক করতেছিলাম। আমার আগামী ২৮ তারিখে পরীক্ষার রয়েছে আর এই পরীক্ষা সব চাইতে কঠিন। কিছু সময় অংক করার পর সকালে নাস্তা করে নেয় তারপর বসে থেকে আপুর সাথে গল্প করি।
বোনের সাথে কিছু সময় গল্প করার পর ভাইয়া ফোন করে যে অপারেশন করার জন্য রক্ত লাগবে ২ব্যাগ। পরে আমি আমার আঙ্কেলকে বলি রক্ত দেওয়ার জন্য তার রক্তের গ্রুপ B+ আর বাকি একটা আমার এক মামাকে বলি পরে সে সংগ্রহ করে। আর দুপুরের দিকে আমি আমার আংকেলকে নিয়ে চলে যায় হসপিটালে।।
প্রথমে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ি আর কিছুই দুর হেঁটে যাওয়ার পর একটা অটোর দেখা পাই। পরে অটোতে উঠে চলে যায় বড় বাড়ি আর সেখানে যেয়ে একটা বাসে উঠে চলে যায় রংপুর। বর্তমান সময়ে রংপুর শহরের মধ্যে অনেক বেশি জ্যাম থাকে আসলে জ্যামটা সব সময় থাকে।
যাই হোক আমরা বাসে থেকে নেমে আর একটা অটো নিয়ে চলে যাই গুড হেলথ ক্লিনিক। আর সেখানে যাওয়ার পর লিফটে উঠে চলে যায় পাঁচ তলা আর সেখানেই আমার দুলাভাইকে রাখা হয়েছে। আমরা যাওয়ার পর দুলাভাই আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল আমরা ভেবেছিলাম হয়তো চিনেছে কিন্তু না আমাদেরকে চিনতে পারেনি। দেখে খুবই কষ্ট হচ্ছিল যে মানুষ দেখার সাথে সাথে কথা বলছে আর এই মানুষ আজ দেখলেও চিনতে পারছে না।
যাইহোক পরে আমি যাওয়ার একটু পর আর একটা ভাই আসে রক্ত দেওয়ার জন্য। পরে তাদেরকে নিয়ে যেখানে রক্ত নেওয়া হয় সেখানে নিয়ে যায় আর রক্ত নিয়ে রেডি করে রাখি যেহেতু রাতে অপারেশন হবে। তারপর পাঁচ তলা থেকে নিচে নেমে আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করে আবারও সেখানে চলে যায়।
আর যাওয়ার পর দুলাভাইয়ের সাথে একটু কথা বলার চেষ্টা করি, মাঝে মাঝে চিনতে পারে আবার চিনতে পারেনা। ডাক্তার বলেছে সম্পূর্ণ ঠিক হতে তিন মাস লাগবে। আসলে একটু বেশি আঘাত পেয়েছে যেটা বলার মত না তারপরও সৃষ্টিকর্তাকে শুকরিয়া জানাই বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেছে।
রাতে অপারেশন হবে নয়টার পর তাই আঙ্কেলকে বললাম যেহেতু অপারেশন হতে দেরি হবে তাহলে আমরা চলে যাই। পরে আমরা সেখান থেকে চলে যাই একটা ফলের দোকানে আর সেখানে যেয়ে ভাগনার জন্য খেজুর ও মাল্টা নিয়ে চলে আসি বাসায় আর বাসায় আসতে আসতে রাত দশটা বেজে যায়। তার একটু পরেই ভাইয়া ফোন দিয়ে বলে যে অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগছিল।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিন আমি কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।
প্রথমে আমি দুলাভাইয়ের জন্য দোয়া করি তার অপারেশন যেন ভালোভাবেই হয়ে যায় এবং দুলাভাই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
মাথা সমস্যার কারণে আপনাকে মাঝেমধ্যে চিনতে পারছে আবার ভুলে যাচ্ছে ভাই চিন্তা কইরেন না ইনশাল্লাহ দুলাভাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে ডাক্তারে তো বলছে এমন রোগী ২-৩ মাসের ভেতরে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।
ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর ভাবে কমেন্ট করার জন্য ভালো থাকবেন।।
যাক সময়মতো রক্ত সংগ্রহ করতে পেরেছেন এটাই সুখবর। আশা করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন উনি। কিছু কিছু রক্তের গ্রুপ রয়েছে যেগুলো সচারাচর পাওয়া যায় না, তখন সত্যিই খুব বিপদে পড়তে হয়। জীবনে প্রথম যেদিন রক্তদান করেছিলাম সেদিন এত বেশি ভয় করছিলো যেটা বলে বুঝানো যাবে না, তবে সেটা আবার কাউকে বুঝতে দিচ্ছিলাম না।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আপনার অনেক আগের বিগত পোস্টে পড়েছিলাম আপনার দুলাভাই অ্যাক্সিডেন্ট করে অসুস্থ। কিছুদিন রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি ছিল পরে আপনারা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন।
রংপুরের গুড হেলথ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। গুড হেলথ আমার অনেক পরিচিত একটি হাসপাতাল। কারণ গুড হেলথ এর পাশে রাস্তার অপজিটে যে পেট্রলপাম আছে তার সামনেই আমি রংপুর নবজাতক শিশু হাসপাতালে দীর্ঘদিন চাকরি করেছি।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
যদি বর্তমান সময়ে আপনি সেখানে থাকতেন তাহলে অবশ্যই আপনার সাথে আমার সাক্ষাৎ হতো।। ভালো লাগলো ফটো কমেন্ট করে ভালো থাকবেন।।