Better Life with Steem|| The Diary Game||14 May 2024||
Hello friends |
---|
সুস্থতা আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত। অসুস্থ হলে বুঝা যায় সুস্থ থাকা কতটুকু প্রয়োজন। বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন তা তো জানাই হলো না। বেশ কিছুদিন ঠান্ডা ছিল কিন্তু আজ থেকে আবার গরমের তীব্রতা বেড়েছে প্রচন্ড দাবদাহে জীবন যাপন অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ছে।
বন্ধুরা এখন শেয়ার করার চেষ্টা করছি ১৪ ই মে আমার সারাদিনের কর্মকাণ্ডের অংশবিশেষ। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
সকালের কার্যক্রম সমূহ |
---|
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নাস্তার জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগলাম ।নাস্তা বানানোর পূর্বে কিছু কাপড় ধৌত করার জন্য ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে দিলাম। এরপর কিচেনে চলে গেলাম সকালের নাস্তা বানানোর জন্য ।
এরপর সবাইকে নাস্তা দিয়ে আমি ও নাস্তা খেয়ে নিলাম। তারপর স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেলাম। এবং৭.৪০ মিঃ দিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম এবং স্কূল ছুটি দেওয়া পর দুপুরের দিকে বাসায় চলে আসলাম।
দুপুরের কার্যক্রম সমূহ |
---|
দুপুরের দিকে বাসায় এসে গোসল করে নামাজ পড়ে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম ।তারপর পোস্ট ভেরিফিকেশনের কাজে যুক্ত হলাম। পোস্ট ভেরিফিকেশন চলাকালীন সময়ে এক অভিভাবক আসলো তাই ওনাকে একটু সময় দিলাম। উনি ও একটা সময় এই প্লাটফর্মেই কাজ করতো। এখন নাকি আপাতত করছে না। জিজ্ঞেস করাতে বলল চোখে সমস্যা হচ্ছে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করে চোখের অপারেশন করে আসছে ।তাই ডাক্তার ডিভাইস চালাতে নিষেধ করেছেন।
তবে উনি ও খুব এক্টিভ ইউজার ছিলেন শুনে অনেকটাই খারাপ লাগলো শারীরিক বা পারিবারিক সমস্যার জন্য ইচ্ছা থাকলে ও অনেক কিছু করা হয়ে ওঠেনা। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ গল্প করার পর উনি চলে গেলেন।
বিকেলের কার্যক্রম সমূহ |
---|
উনি চলে যাওয়ার পর আসরের নামাজ পড়ে নিলাম । তারপর হঠাৎ করে দেখছি আকাশ অন্ধকার হয়ে গেছে, তাই তাড়াতাড়ি ছাদ থেকে শুকনো কাপড় গুলো নিয়ে আসলাম।
এরপর রুমগুলো গুছিয়ে নিলাম। এসব কিছু করতে করতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। এদিকে হঠাৎ করে আমার সাহেবকে এক পরিচিত ভাই ফোন করে বলল সন্ধ্যার পর ওনার বাসায় যাওয়ার জন্য। তাই সপরিবারে সন্ধ্যার পর উনার বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগলাম।যেহেতু তখনো আমার পোস্ট ভেরিফিকেশনের সময় চলছিল তাই মোবাইলের ডাটা অন করলাম। এবং ফাঁকে ফাঁকে পোস্ট ভেরিফিকেশন এর কাজ করতে লাগলাম।
সন্ধ্যা ও রাতের কার্যক্রম সমূহ |
---|
পাশের বিল্ডিংয়ে ই ছিল ঐ ভাইয়ের বাসা ।তাই হেঁটেই চলে গেলাম ওনাদের বাসায়। আসলে ভাইয়ের মেয়ে এসেছে অনেকদিন পর ,তাই আমাদের যেতে বলেছেন। যা ওনাদের বাসায় যেয়ে বুঝতে পারলাম হঠাৎ করে আবার খুব গরম পরেছে তাই একটা আইসক্রিম কিনে নিলাম ঐ বাসার জন্য। খালি হাতে তো আর কারো বাসায় যাওয়া যায় না তাই না। ভাবির তিন মেয়ে । বড় মেয়ের মাশাল্লাহ অনেক কিউট একটি ছেলে বাবু হয়েছে। খুব ট্যালেন্স সে ,অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের সাথে মিশে গিয়েছে। সবাইকে এটা সেটা দিচ্ছে খাওয়ার জন্য।
মনে হচ্ছে আমরা যেন তার কত আগের চেনা পরিচিত। যা দেখে মুহূর্তের মধ্যে মন ভালো হয়ে গেল আমার, তাছাড়া বরাবরই আমি বাচ্চা খুব পছন্দ করি।
<div class=pull-right>
এক দেড় ঘন্টার মত ছিলাম ওনাদের বাসায়। তারপর বাসায় এসে পরলার। বাসায় এসে দেখি প্রায় পৌনে দশটা বাজে। এদিকে সাহেব হঠাৎ করে রেগে গেলেন সারাক্ষণই নাকি মোবাইল হাতে নিয়ে থাকি। কথাটা শুনে আমারও খুব খারাপ লাগছে ।আসলে মেয়েদের কাজগুলো চোখে পড়ে না,পুরুষদের কাছে মনে হয় মেয়েরা সারাক্ষণ ঘুমিয়ে বসেই সময় কাটায়। তাই আর তর্ক না বাড়িয়ে কিচেনে চলে গেলাম।
সত্যি কথা বলতে ডায়াবেটিস ধরা পরার পর থেকে চট করে রেগে যায় ও ।কোন কথা বলাই যায় না। হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে তাই নিজেকে সামলে নেই। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়। এই কথাটা আমার বাবা প্রায়ই বলতো। তখন আসলে বুঝতাম না বিষয়টা। এখন বুঝতে পারছি কেন বাবা এই কথাটা বলতো। আসলে কিছু বিষয়ে সমাধান দেওয়া যায় না, দেওয়া যায় না ঠিক না দিতে গেলে নিজেকেই পস্তাতে হয় ।সেজন্য মুখ বুঝে সহ্য করা ছাড়া উপায় থাকে না।
তাছাড়া হঠাৎ করে ছোট মেয়েটা অসুস্থ। ওকে নিয়েও একটু টেনশনে থাকেন সে । তাই আর কথা না বাড়িয়ে কিচেনে চলে গেলাম। কিচেন থেকে বের হতেই হঠাৎ করেই শরীর এত খারাপ লাগছিল ,তাই না খেয়েই শুয়ে পড়লাম। অসুস্থতার কারণে পোস্ট লেখা আর হয়ে ওঠেনি আমার।
বেশ কয়দিন যাবত ই রাতের বেলা হালকা জ্বর আসে সকালে ঘুম থেকে উঠলে পুরা গা ঘেমে যায়। বুঝতেছি না এটা কি ভাইরাস জনিত জ্বর কিনা। তবে জ্বরের তীব্রতা কম হলেও খুব খারাপ লাগে । সকালের দিকে অনেকটা নিজের সাথে যুদ্ধ করেই ঘুম থেকে উঠি। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ ভালো রেখেছেন। আল্লাহ পাকের দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া আমার চেয়েও অনেক খারাপ রয়েছে অনেক লোক। বন্ধুরা আজ এখানে ই লেখার সমাপ্তি টানছি আল্লাহ হাফেজ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য, পোস্টটি আমি গতকালকেই রেডি করে রেখেছিলাম,। ভেবেছিলাম হ্যাংআউটের পর সাবমিট করে দিব কিন্তু মোবাইল হাতে নিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছি তা বুঝতে ই পারিনি।ঘুম থেকে উঠে দেখি সকাল হয়ে গিয়েছে তাই এখন সাবমিট করলাম।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আসলে ঠিক বলছেন একজনের বাসায় খালি হাতে যেতে যেন নিজের কাছে বাধোবাধো লাগে আপনি আইসক্রিম হাতে নিয়ে আত্মীয় বাসায় গিয়েছেন গরমের সময় আইস ক্রিম সবাই পছন্দ করে।
বাচ্চাটার অনেক সাহস এবং দেখতেও অনেক কিউট লাগছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনের কার্যক্রম পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন ।
যে কাজ করেন না কেন সংসারের দায়িত্ব কখনোই অবহেলা করা যায় না। এজন্যই আমার মনে হয় মেয়েদের পায়ে সবসময়ই এই শৃঙ্খলটা থেকেই যায়।
তবে এত ব্যস্ততার ফাঁকেও সময় করে একটু ঘুরতে গেলেন। খুব ভালো কাজ করেছেন। আর ঠিক বলেছেন কারো বাসায় খালি হাতে যেতে আসলে খুব লজ্জা লাগে।
যেহেতু আপনার শরীরটা ভালো না তাই শরীরের দিকে একটু নজর দিন ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
মেয়েদের জন্য কিছু বাধা নিষেধ বরাবর সমাজ ও পরিবার তৈরি করে রেখেছে, আর ছোটবেলা থেকে সেগুলোতে অভ্যস্ত হতে হতে আমরা নিজেরাও আমাদের একটি পরিধি তৈরি করে নিয়েছি। যে পরিধির বাইরে বেরোতে ইচ্ছা করলেও, তার উপায় নেই বলেই আমরা ধরে নিয়েছি। আর এভাবেই চলছে আমাদের গতানুগতিক জীবন। আপনার ক্ষেত্রেও তেমনটাই। তারপরেও আপনার চেষ্টাটা কিন্তু অবশ্যই প্রশংসনীয়।
তবে এ কথা সত্যি মেয়েদের পরিশ্রমের মূল্যায়ন কখনোই ছেলেরা তেমনভাবে করেনি। ব্যতিক্রমী পুরুষ যে সমাজে নেই, আমি সে কথা বলবো না। তবে তার সংখ্যা খুবই কম। সকলেরই মনে হয় মেয়েদের থেকে সুখী ও শান্তিপূর্ণ জীবন বোধহয় আর কারোর নেই। যেখানে সংসার চালানোর কোনো দায়িত্ব নেই, শুধু রান্না করা, সন্তান পালন করা, আর ঘরের কাজ করা,কিন্তু এইটাই যদি বিপরীত চিত্র হয় তাহলে এই ছেলেরাই হার মানবে, এ কথা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি।
যাইহোক নিজের শরীরের প্রতি যত্ন আপনাকেই নিতে হবে, কারণ নিজের কষ্টের ভাগ খুব প্রিয়জনেরাও কিন্তু নিতে পারে না। সন্তানকে নিয়ে আপনিও যথেষ্ট চিন্তিত, কিন্তু সেটা বোঝার মতন মানুষ হয়তো নেই। তবুও সন্ধ্যা বেলায় সকলে মিলে এক জায়গায় গিয়ে, বেশ কিছুটা সময় ভালো ভাবে কাটিয়েছিলেন, এটা জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন। নিজের শরীরের যত্ন নেবেন।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ওয়াশিং মেশিনে কাপড় পরিষ্কার করেছে। বিগত পোস্টে জেনেছিলাম আপনার হাতের হার ক্ষয় হয়েছে এ জন্য মূলত ওয়াশিং মেশিন নিয়েছেন।
আসলে ঠিক বলেছেন মানুষ চাইলেও মাঝে মাঝে অনেক কিছু করতে পারে না।
পাশের বিল্ডিং এর এক ভাইয়ের বাসায় সন্ধ্যার দিকে দাওয়াত খেতে গিয়েছেন। অনেক ছোট বাচ্চা আছে অপরিচিত কারো কাছে যেতে চায়না। আবার কেউ আছে খুব অল্প সময়ে মিশে যায়।
এর আগে জেনেছিলাম আপনার কয়েকদিন থেকে জ্বর। এরকম শেষ রাতের দিকে হালকা জ্বর থাকলে অবশ্যই বলব ব্লাড টেস্ট করিয়ে নিবেন।
আমি একজন মেডিকেল ল্যাব টেকনোলজিস্ট। তাই একজন ছোট মানুষ হয়েও আপনাকে সামান্য পরামর্শ দিতে চাই।
এই তিনটা টেস্ট করে দেখবেন।
সারাদিনের খানিক মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুখ আমাদের অমূল্য সম্পদ তাই চোখকে ভালো রাখার জন্য আমাদের অনেক কিছু বঞ্চিত করতে হয়।। সত্যি কথা বলতে ডিভাইস ইউজ করলে চোখের সমস্যা একটু বেশি।। আর হ্যাঁ কারো বাসায় যেতে অবশ্যই কিছু নিতে হয় এই গরমে আপনি আইসক্রিম নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।।
জীবনের সব সময় কর্মে ব্যস্ত রাখলে হয় না মাঝে মাঝে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বা বন্ধু-বান্ধবের বাসায় ঘুরতে যাওয়া উচিত এতে করে মনটা আসলেই অনেক ভালো হয়ে যায়।।
সত্যি কথা বলতে বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ আসার জন্য মানুষ আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ খবর দিন দিন নেওয়া ভুলে যাচ্ছে।।