ভিন্ন অনুভূতির কথা- প্রকৃতির ফটোগ্রাফি || Original Photography by @hafizullah

আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি তবে বেশ আতংকে আছি। যদিও আজকে অফিসে আসার কোন ইচ্ছে ছিলো না কিন্তু তবুও আসতে হয়েছে কারন চাকুরী বলে কথা। আসলে একটা বিষয় আমরা সব সময় ভুলে যাই, অতীতের কোন সব কিছু আমরা ভুলে যাই এবং কোন শিক্ষা নেই না অতীত হতে। যুগে যুগে এই বিষয়গুলো বার বার আমাদের সামনে আসছে এবং আমরা সেগুলো হতে কোন ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করি নাই। এটাই আমাদের মানে মানুষদের সবচেয়ে বড় সমস্যা, আমরা সব কিছুই দেখেও দেখি না এবং বুঝেও না বুঝার ভান ধরি। কারন নিজের সুবিধা আমরা কখনো ছাড়তে প্রস্তুত নই, প্রয়োজনে অন্যের সুবিধা নষ্ট করে নিজের বলে দাবী করবো, আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে সব নিজের বলে দাবী করবো। কি সাংঘাতিক ভাবছেন? না মোটেও সাংঘাতিক কিছু না বরং এটাই বাস্তবতা।

দেখুন আমি বেশ ভাল ভাবেই রাজনীতির সাথে সংযুক্ত ছিলাম একটা সময় কিন্তু দেরীতে হলেও আমার বিবেক জাগ্রত হয়েছে এবং আমার চোখ খোলে গেছে যার কারনে আমি রাজনীতিকে সালাম দিয়ে বিদায় জানিয়ে দিয়েছি। কারন এখন রাজনীতিতে কোন নীতি কার্যকর নেই, রাজনীতি মানেই এখন ক্ষমতার নীতি, রাজনীতি মানেই এখন সব কিছু জায়েজ নিজের জন্য। সত্যি আমি খুব কাছ হতে অনেক কিছুই দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম, তাইতো দ্রুততম সময়ে আবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে নিয়েছি। আমি এখন রাজনীতিকে ঘৃনা করি কারন বর্তমানে সৎ রাজনীতি বলে কিছুই নেই।

অনেক কথা বলে ফেললাম আজ, তবে যা বলার দরকার তা কিন্তু বলি নাই কারন আমার বাংলা ব্লগে রাজণৈতিক কথা বার্তা শেয়ার করা সম্পূর্ণ নিধেষ। আমরা সাধারণ জনগন যত কিছুই হোক আমাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না, কারন যারা রাজনীতি করেন তারা কখনোই আমাদের জন্য মানে সাধারণ জনগনের জন্য কিছুই করেন না, এটাই প্রকৃত সত্য। আজকে অফিসে আসতে বেশ দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাই নিজের ক্ষোভ হতে কিছু অনুভূতি শেয়ার করে নিলাম। ঐ যে একটা কথা আছে না, পাটা-পুতার ঘষাঘষিতে মরিচের অবস্থা বারোটা, আমরা বর্তমানে ঠিক সেই রকম একটা অবস্থানে রয়েছি। অবশ্য ইতিমধ্যে আমাদের বারোটা না শুধু তেরটাও বেজে গেছে, হি হি হি ।

না আজকে আসলে আর কোন অনুভূতি শেয়ার করবো না, তবে হ্যা, কুমিল্লা ভ্রমনের আরো কিছু ফটোগ্রাফি এখনো রেকর্ডে রয়েগেছে। সেখান হতে আজকে আরো কিছু দৃশ্য শেয়ার করবো এবং পরবর্তীতে বাকি দৃশ্যগুলো নিয়ে শেষ পর্ব শেয়ার করার ইচ্ছা প্রকাশ করছি। গ্রামীন পরিবেশ কমবেশী সকলেরই ভালো লাগে, একটা অন্যরকম সজীবতা কিংবা চঞ্চলতা হৃদয়ে কাজ করে। আমার কাছে বেশী ভালো লাগে নানা ধরনের স্থানীয় টাটকা ফল সমূহের স্বাদ নেয়ার সুযোগ। আজকের দৃশ্যগুলোর মাঝে এই রকম দুটো গাছ রয়েছে, যেগুলো সাধারণত আমরা গ্রামীন অঞ্চলের মানুষরা তরকারীতে ব্যবহার করে থাকি। না না আমি নাম বলছি না বরং আপনারা নিচেন কিনা সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি, হি হি হি।

সত্যি বলতে গ্রামীন পরিবেশের দৃশ্যগুলো আমি সর্বদা উপভোগ করি এবং আমার কাছে দারুণ লাগে। যদিও আমার শৈশব বেশ সুন্দর গ্রামীন পরিবেশে কেটেছে। হয়তো তার জন্য সুন্দর পরিবেশের প্রতি এক ধরনের আকর্ষণবোধ কিংবা দূর্বলতা রয়েগেছে আমার ভিতর। আর এই কারনেই আমি যখন প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাই তখন অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য ছেড়ে আর আসতে মন চায় না। আশা করছি আজকের দৃশ্যগুলো আপনাদের নিকটও ভালো লাগবে।