ভ্রমণ কাহিনী ০১ : (প্রথম পর্ব ) ভাইরে ভাই মায়াপুর মন্দিরের সৌন্দর্যের তুলনা নাই।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে এবং আপনাদের ভালোবাসায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে এই প্রথম ভ্রমণ সম্পর্কে একটা পোস্ট করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
হঠাৎ করে মাকে নিয়ে একটু ধর্মীয় স্থানে যাওয়ার খুব ইচ্ছা হলো। তাই মাকে বললাম যে, আমরা একটু মায়াপুর ঘুরে আসি। মা বললো , ঠিক আছে চল। তো আমরা ঠিক করলাম যে , সকাল ০৭:০৫ এর ট্রেনে করে যাবো।
তো আমি আমার মোবাইলে সকাল ০৬:০০ অ্যালার্ম সেট করে দিলাম। তো পরের দিন সকাল ০৬:১৫ সময় আমরা স্টেশনে পৌছে গেলাম। স্টেশন গিয়ে কিছু খাবার কিনলাম , কারণ সকালে মায়ের ওষুধ খাবার আছে। তো আমরা ট্রেন এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। নিদৃষ্ট সময়ের দুই মিনিট পর ট্রেন স্টেশনে পৌছালো। আমরা যেহেতু কৃষ্ণনগর যাবো তাই কৃষ্ণগর লোকালে উঠলাম।
সকালে একটু কম ঠান্ডা পড়েছিল , তাই আমি আমার শীতের সোয়েটার খুলে ফেললাম। ট্রেনে উঠে দেখি খুব ভীড়। যাইহোক মায়ের বসার জন্য সিট খুজতে লাগলাম। পরের স্টেশনে আসতে আসতে একটা সিট পেয়ে গেলাম। মাকে ওই সিটে বসিয়ে দিয়ে আমি ট্রেনের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে রইলাম। আমাদের কৃষ্ণনগর স্টেশনে যেতে প্রায় এক ঘন্টা চল্লিশ মিনিট লাগলো।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই পোস্ট এর সব ছবি নিন্মোক্ত ডিভাইস দিয়ে তোলা।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 01/12/2022
যাবার সময় অটোতে বসে তোলা ছবি।
স্টেশন থেকে নেমে আমরা মায়াপুর যাবার জন্য অটোতে উঠলাম। অটোতে বসে কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে লাগলাম। কারণ অটোতে আটজন যাত্রী না হলে ওরা অটোস্ট্যান্ড থেকে যায় না।
আটো চালকের অনুমতি নিয়ে তোলা একটা সেলফি।
যাবার পথে একটা পরিত্যাক্ত স্টেশন।
আমাদের অটোতে প্রায় চল্লিশ মিনিট লাগলো মায়াপুর নৌকার ঘাট অব্দি যেতে।
নৌকার ঘাটের ছবি।
নৌকার ঘটে গিয়ে টিকিট কেটে নৌকায় উঠলাম। এটা কিন্তু যন্ত্র চালিত নৌকা যাকে আমরা অনেকে ট্রলার বলি।
নৌকার ওঠার জন্য ঝুলন্ত ব্রিজ।
বড়শি দিয়ে বালক দল মাছ ধরছে।
নদী পার হয়ে আমরা একটা ঘরোয়া হোটেলে গিয়ে গরম গরম কচুরি আর ডাল খেলাম। ডালের স্বাদ ছিল অসাধারণ।
কচুরি এবং ডাল।
খাবার শেষ করে মা সকালের ওষুধ খেয়ে নিলো।
প্রধান গেট।
নৌকার ঘাট থেকে মন্দিরের হেঁটে যেতে প্রায় বারো মিনিট সময় লাগলো। যেতে যেতে রাস্তার দুই ধারে বিভিন্ন মন্দির দেখতে পেলাম।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : নিচের সব ছবিগুলো প্রধান মন্দিরে যাবার সময় রাস্তার দুই ধরে দেখা যায়
আমরা যখন মন্দিরের মেইন গেট অর্থাৎ এক নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতে গেলাম , তখন ভিতরে থাকা একজন সিকিউরিটি গার্ড আমাকে বললো যে , আপনারা দুই নম্বর গেট দিয়ে মন্দিরে ঢুকবেন।
মন্দিরের প্রধান অর্থাৎ ০১ নং গেট।
দুই নম্বর গেটে যেতে আমাদের প্রায় তিন মিনিট লাগলো। পাপী মানুষ তো আমি তাই আর এক নম্বর পথ দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারলাম না , সেই দুই নম্বর পথ দিয়ে ঢুকতে হলো। হা হা হা।
মন্দিরের ০২ নং গেট।
দেখা হবে পরবর্তী পর্বে অর্থাৎ শেষ পর্বে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ভাইয়া আপনার পোষ্টের শেষের দিকে ডিভাইজের নাম বা লোকেশন দিলে ভালো হবে। উপরের অংশে দেখতে খারাপ লাগছে। যাইহোক ভাইয়া আপনি আপনার মাকে নিয়ে মন্দিরে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আর ট্রেনে তো সবসময় ভিড় থাকে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
অবশ্যই দাদা
মায়াপুর মন্দির দেখে আমাদের দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরের কথা মনে পরে গেল। সেই মন্দিরটা অনেক চমৎকার তবে আমি দ্বিতীয় পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছি। এই মন্দিরের আরো কিছু নিদর্শন দেখার জন্য।
যত দ্রুত সম্ভব আমি দ্বিতীয় পর্ব পোস্ট করবো।
মায়াপুর মন্দির ভ্রমণের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। আসলে মন্দির ভ্রমণ করার অনুভূতি সত্যি অন্যরকম হয়ে থাকে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক দুর্দান্ত ছিল। নিশ্চয়ই মন্দিরে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাদের অনুপ্রেরণায় আরো অনেক ভালো পোস্ট করার চেষ্টা করবো।আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি মায়াপুরে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর মন্দিরের ছবি তুলেছেন যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম । আসলেই মায়াপুর মন্দিরের তুলনা নেই ।এত সুন্দর মন্দির আমি আগে কখনো দেখিনি ।আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রথম দেখলাম ভাইয়া।
পরবর্তী পোস্টে আরো অনেক সুন্দর কিছু দেবার চেষ্টা করবো।