বৃষ্টিময় বিকেলে কোন একদিন।
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি পুরনো একটা টপিকস নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। অনেকদিন হল বাড়ি থেকে চলে এসেছি৷ বাড়িকে মাঝেমধ্যে খুব মিস করি। আমি বাড়ি থাকলে যে পরিমাণে ঘুরাঘুরি করতাম সেটা তো অবশ্যই অনেক অনেক মিস করি। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হবে এটাই তো স্বাভাবিক।
কিছুদিন আগে আমি যখন বাড়িতে ছিলাম তখন একদিন বিকেলে আমরা বেরিয়েছিলাম অজানার উদ্দেশ্যে। কোথায় যাব কোন প্লান প্রোগ্রাম ছিল না। আমাদের সাথে পাঁচটি বাইক ছিল। আমরা যখন যাত্রা শুরু করলাম তার কিছুক্ষণ পরেই আকাশ মেঘলা হতে শুরু করেছিল। আমরা যখন বাজারে পৌঁছাবো পৌঁছাব ভাব ওই সময়ে ঝড়ো বাতাস শুরু হলো। আমাদের বাজারটা ছিল নদীর একদম সাথেই। আমরা সবাই একটা দোকানের মধ্যে বাইক রেখে দৌড়ে চলে গেলাম নদীর পাড়ে। যখন প্রচণ্ড মেঘ লেগেছিল আর ঝড়ো বাতাস শুরু হয়েছিল তখন নদীর দৃশ্যটা ছিল দেখার মতো। নদীর দুই ধারে পাকা ধান আর মাঝে নদীর পানি ঘনকালো ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিলো।
বাস্তবে যেই সৌন্দর্য ছিল, ছবিতে তারা এক পার্সেন্ট ও কভার করতে পারিনি। আসলে এসব দৃশ্য স্বচক্ষে দেখায় প্রকৃত ভিউটা পাওয়া যায়। আমরা ওই সময় যখন দৌড়ে নদীর পাড়ে যাচ্ছিলাম তখন বাতাস এর প্রকোপ এতটাই বেশি ছিলো যে আমরা বেশি জোরে দৌড়াতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল কেউ একজন পিছন থেকে টেনে ধরে রেখেছে। যাইহোক ওই সময় আমি একটা ভিডিও করেছিলাম। ভিডিওটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
নদীর পাড়েই দাঁড়িয়ে ছিলাম। খুবই ভালো লাগছিল। একটা সময়ে গিয়ে আমরা খেয়াল করলাম নদীর অপর প্রান্তে প্রচুর বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। একদম ঘন কুয়াশার মতো লাগছিল। আহা কি দৃশ্য।
কিছুক্ষণ বাদেই বৃষ্টির ফোঁটা আমাদের এদিকেও পড়তে শুরু করলো। তখন আমরা চলে গেলাম বাইক রাখা ওই দোকানের মধ্যে। প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হল আমরা অনেকক্ষণ যাবৎ দোকানের মধ্যে বসেছিলাম আর বৃষ্টি দেখছিলাম। ওই দোকানটা থেকে নদীর ভিউটা সরাসরি দেখা যায়। নদীতে যখন বৃষ্টি হয় তখন এর দৃশ্য দেখে যে কেউ প্রেমে পড়বে। আর যে ওই মুহূর্তে নদীর মধ্যে গিয়ে গোসল করবে সে প্রেমে হাবুডুবু খাবে। হাহাহাহা।
যাই হোক আমরা অনেকক্ষণ ঐখানে ছিলাম। দোকানের মধ্যে বসে থাকার এক পর্যায়ে লক্ষ্য করলাম বৃষ্টির প্রকোপটা কমে এসেছে। তখন আমরা সবাই বেরিয়ে পড়লাম । অবশ্য একেবারে বৃষ্টি থেমে যায়নি। হালকা হালকা বৃষ্টির ফোটা তখনো পড়ছিল। ওই ভাবেই আবার যাত্রা শুরু করলাম। কিন্তু অল্প কিছুদূর যাওয়ার পর আমরা সবাই আবার থেমে গেলাম। পুনরায় থামার কারণ বৃষ্টি ছিল না। কারণ ছিল আকাশের সৌন্দর্য । বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে আকাশের সৌন্দর্য এতটাই বেড়ে যায়, যে আমারা না-থেমে পারলাম না। আমরা যেখানে থেমেছিলাম ওখান থেকে আকাশের ভিউটা সুন্দর আসছিল।
কিছুক্ষণ পর লক্ষ্য করলাম বৃষ্টি আবারো শুরু হয়েছে। আমরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে আরও সামনের দিকে চলে গেলাম। সামনের দিকে গেলে একটা মোড়া পাওয়া যায়। ওইখানে ইয়া বড় একটা বটগাছ আছে। বটগাছের নিচে একটা ফাঁকা দোকান। ওইখানে আমরা সবাই বাইক রেখে অপর পাশের একটি দোকান থেকে চা আর চিপ্স নিলাম। এসব খেতেখেতে সময় পার করলাম। আজ আমাদের আর তেমন কোথাও যাওয়া হলো না। এখান থেকেই ব্যাক করবো সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ সন্ধ্যা নেমে এসেছে।
রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট ও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন আমরা চিন্তা করলাম বাড়িতে ফিরে যাব৷ সবাই একসাথে বাড়িতে চলে গেলাম। তো এটাই ছিল আমার ওইদিনের ঘটনা। এখন তো আমি বাড়িতে নাই। বাড়িতে কাটানো ওই ছোট ছোট সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত গুলো এখন আর শেয়ার করা হয় না। এজন্য সেদিনের ঘটনা + ছবিগুলো খুঁজে এনে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশাকরি আপনাদের ভাল লাগাতে পেরেছি। যাই হোক আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
নদী পাড়ের সৌন্দর্য দেখে সত্যিই প্রেমে পড়ে গেলাম ভাই। কি চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন আপনি। বৃষ্টি পরবর্তী সময় আকাশের ভিউটা জাস্ট অসাধারন ছিল। সেই সাথে দোকানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নদী পাড়ে বৃষ্টি উপভোগ করেছেন। শুনেই আমারও ইচ্ছে করতেছে । ইস এমন একটা ওয়েদার আমি যদি ফিল করতে পারতাম! কত ভালই না হতো। ভাল লাগে আপনার কন্টেন্ট গুলো পড়তে। ভালোবাসা নিবেন বস। 💙
বৃষ্টির পরবর্তী সময়ে যে লাইট দেখা যায় সত্যি মনোমুগ্ধকর। আমার কাছে এই সান লাইটা খুবই ভালো লাগে। মনে হয় যেনো রোমের মধ্যে কম পাওয়ারের বাল্ব জ্বলছে৷
আপনার সব গুলো ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য৷ ❣️
আপনার ইমাজিনেশন টা সুন্দর।
রিমঝিম বৃষ্টির মাঝে সবুজের সমারোহে মাঠ ভরা ধান ক্ষেত এমন নদীর পাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ সৌভাগ্যের বিষয়। প্রকৃতির কাছে আসলে মন ভালো হয়ে যায় এ যেন অন্যরকম এক ভালো লাগা বৃষ্টির সময় কখনও নদীর পাশ থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা হয়নি আপনার ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে সত্যি সৌভাগ্যের বিষয় এমন সময়। বিকেল থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এবং সন্ধ্যায় রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট জ্বলে ওঠা পর্যন্ত প্রতিটি ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দরভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছেন। আপনার চলার পথ সামনে আরো প্রশস্ত হোক ও ভালো হোক আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলেই এমন পরিবেশ উপভোগ করা সৌভাগ্যের বিষয়।
আপনি সব সময় অ্যাডভেঞ্চার করতেই মনে হয় বেশি ভালোবাসেন। আমার মনে হয় আপনার পাহাড়-পর্বতে বাইক নিয়ে ঘুরতে যাওয়া উচিত ভাইয়া ।আপনি বিষয়টি আরো বেশি উপলব্ধি করতে পারবেন।
আই হোক আমি বৃষ্টির সময় নদীর এই ভিউটা দেখে সত্যি প্রেমে পড়ে গেছি। এত সুন্দর লাগছে নদীটি যা আসলে ভাষায় প্রকাশ করা কখনও সম্ভব নয়। আপনার ফটোগ্রাফিতে জাদু আছে ভাইয়া। আপনার এই এলাকা আসলেই অনেক অনেক সুন্দর। তবে আপনার এইভাবে ঝড়ের মধ্যে বের হওয়া কখনো উচিত হয়নি।এর আগেও অনেকবার বের হইছেন ভাইয়া ।কারণ ইদানিং কিন্তু প্রচুর পরিমাণে বজ্রপাত হয় সে বিষয়ে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। আপনি ঢাকায় এসেছেন এখন আপনার বাড়িতে কাটানো সেই ছোট ছোট মুহূর্ত গুলো আপনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে এলাকার প্রতি টান ভালোবাসা।
আপনার কমেন্ট পড়ে প্রতিবারই অনেক বেশি এনার্জি পাই বেশি বেশি অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ পোষ্ট উপহার দিতে। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। আমার গ্রামে কাটানো মুহূর্তগুলোর অনুভূতি কিছুটা হলেও আপনাকে ফিল করাতে পেরেছি। আমি সার্থক।
সত্যিই ভাইয়া আপনার গ্রামের কাটানো মূহুর্ত গুলো আমরা খুব মিস করবো।কারণ আমরা তো আর চাইলেও সেভাবে সময় কাটাতে পারিনা।যা বর্তমানে আপনিও পারছেন না।ভিডিওটা অসম্ভব অসাধারণ।
এই কথাটা আমাকে প্রচন্ড শক্তি যুগিয়েছে। আবার বাড়িতে গেলে এরকম অনেক পোস্ট আপনাদেরকে উপহার দিতে পারবো।
এইরকম মেঘলা আকাশ থাকলে নদীর পাশে দারুণ একটা ভিউ পাওয়া যায় এটা শতভাগ সত। ছবিতে দারুণ কিছু দৃশ্য দেখা যাচ্ছে তবে এটা যে আসল দৃশ্যের একভাগও প্রকাশ করে এটার সাথেও আমি একমত। এবং বৃষ্টির পরে যে আকাশের অবস্থা ওটা আমার কাছে অসাধারণ লাগছিল। এক রক্তিম আকাশ আহ।।
ঠিক বলেছো। সত্যি দারুন ছিল।
ভাই আপনার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। আসলেই কিছু কিছু দৃশ্য আর পরিবেশ পরিস্থিতি ক্যামেরার মাধ্যমে কখনোই পুরোপুরি প্রকাশ করা সম্ভব হয়না। যেগুলো শুধু অনুভব করা যায় আর দুচোখ ভরে দেখে নিতে হয়। বৃষ্টির পরে লাল রঙের আকাশের ছবি সত্যিই মনমুগ্ধকর। নদীপারের চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়া আর বৃষ্টির মধ্যে এমন দৃশ্য উপভোগ করা আমার কাছে জীবনের শ্রেষ্ঠ ভালোলাগা মুহূর্ত গুলোর মধ্যে একটা মনে হয়। আপনি নয় ঘটনাস্থলে যেন আমিই ছিলাম। আবারো এমন কোন পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম। সম্ভব হলে আপনাদের বাইকার গ্রুপ এ আমি এখনই নাম লেখাতাম।
সামনে তো বর্ষাকাল। আশা করি এরকম অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্ত আপনাদের উপহার দিতে পারব।
ভাই নদীর পাড়ে থেকে বৃষ্টির সৌন্দর্যময় দৃশ্য আপনি খুবই ভাল ভাবে উপভোগ করেছেন। আসলেই বৃষ্টির দৃশ্য গুলো নদীর পাড়ে থেকে দেখতে বেশি ভালো লাগে, কারণ গত সপ্তাহে আমিও নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম। নদীর পারে যখন বৃষ্টি শুরু হয় তখন নদীতে বৃষ্টির ফোঁটা পড়তেছিল, আমাদের এখানে পরে আসলো। যখন বৃষ্টি নামল তখন আমরা দৌড়ে একটি দোকানে আসলাম। ঠিক আপনিও বৃষ্টি একটি দোকানে আশ্রয় নিলেন, সত্যিই এই দৃশ্যগুলো খুবই ভালো লাগলো। দোকান থেকে অবশ্য বৃষ্টির দৃশ্য গুলো আপনি উপভোগ করেছেন। খুবই ভাল লাগল এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি মুগ্ধ করেছে আমায়।
জেনে ভালো লাগলো।
ভাইয়া,আপনি তো বৃষ্টি দেখে প্রেমে পরে গিয়েছেন।আমি তো ছবি দেখে প্রেমে পরে যাচ্ছি।নদীর পারে দাড়িয়ে কখনো বৃষ্টি দেখার সৌভাগ্য হয় নি।তবে ছবিগুলো অনেক ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই ঔদিন আমরা ঝড়ের মধ্যে ভয়ংকর সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম। যখন নদীর ধারে দাঁড়িয়ে ছিলাম বাতাস আসছিলো মনে হচ্ছিল যে উড়িয়ে নিয়ে চলে যাবে।বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম
মুহূর্তটা সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল।