গ্রাম বাংলার পুরানো একটি রেসিপি " ছোটো চিংড়ি মাছ দিয়ে সরিষা পাতা ভর্তা"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে গ্রাম বাংলার পুরানো একটি খাবার শেয়ার করবো। এটি শীত কালে গ্রামের জনপ্রিয় একটি খাবার। আমরা সবাই কম বেশি সরিষা শাক পছন্দ করি। সরিষা শাক আমরা সাধারণত ভাজি ও বড়া করে খাওয়া হয়। আজ আমি ছোটো চিংড়ি মাছ দিয়ে ভর্তা করেছি। আমি সরিষা পাতার ভর্তা খুবই পছন্দ করি। এমনকি আমাদের বাড়ির সবাই খুব পছন্দ করে।আর এর ভিতর যদি যদি চিংড়ি মাছ দেওয়া হয় তাহলে তো কথাই নেই। এটি সত্যি অনেক মজাদার একটি খাবার। এবং খুবই টেস্টি একটি খাবার। শুধু সরিষার পাতার ভর্তা দিয়েই গরম গরম এক থালা ভাত শেষ হয়ে যাবে। এবং এই ভর্তা বানানো খুবই সহজ। আর এই শীতের সকালে সরিষার ভর্তার কোনো তুলনা হয় না। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. সরিষা পাতা - ২ আঁটি
২. ছোটো চিংড়ি - ২০০ গ্রাম
৩.কালো সরিষা - ১ চামচ
৪. লবণ - ২ চামচ
৫. হলুদ - হাপ্ চামচ
৬. সরিষার তেল - ১ কাপ
৭. কাচা মরিচ - ৬ টি
সরিষা শাক
ছোটো চিংড়ি
কালো সরিষা, লবণ ও কাচা মরিচ
হলুদ ও সরিষার তেল
প্রস্তুত প্রণালী :
১. প্রথমে সরিষা শাক পাতা রেখে শক্ত ডাটা গুলো ফেলে দিতে হবে। এভাবে সব শাক বেছে নিয়ে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
২. এরপর ছোটো চিংড়ি কেটে নিতে হবে। এবং ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।
৩. পরিস্কার করে রাখা চিংড়ি মাছ গুলো সামান্য লবণ ও হলুদ গুঁড়া মেখে নিতে হবে।
৪. এবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াইতে ২ চামচ তেল দিয়ে দিতে হবে।
৫. তেল গরম হয়ে গেলে লবণ ও হলুদ মাখানো চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।
৬. এবার চিংড়ি মাছ গুলো ৫ মিনিট ধরে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
এরপর একই কড়াইতে আরো ১ চামচ তেল দিয়ে দিতে হবে। এবার তেলের ভিতর সরিষা পাতা গুলো দিয়ে দিতে হবে।
৭. ওই পাতার ভিতরে সামান্য একটু লবণ দিয়ে পাতা সেদ্ধ করে নিতে হবে। এজন্য চুলার আঁচ কমিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। পাতা থেকে যে জল বের হবে এতে পাতা সেদ্ধ হয়ে যাবে বাড়তি কোনো জল দেওয়া লাগবে না।
৮. এরপর পাতা সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।
৯. এবার চিংড়ি মাছ ও সরিষা পাতা শীল ও পাটায় বেটে নিতে হবে। এজন্য শীল ও পাটা নিয়ে পাটায় এক চামচ কালো সরিষা ও এক চামচ লবণ নিয়ে একসাথে বেটে নিতে হবে।সাথে কাচা মরিচ ৬ টি ও নিতে হবে।
১০. মরিচ বাটা হয়ে গেলে ছোটো চিংড়ি মাছ দিয়ে একসাথে বেটে নিতে হবে। চিংড়ি মাছ বাটা হয়ে গেলে সরিষা পাতা ও একসাথে ভালো বেটে নিতে হবে।
১১. সরিষার পাতা ও চিংড়ি মাছ বাটা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর সরিষার ২ চামচ সরিষার তেল দিয়ে মেখে নিতে হবে। এবার সরিষার পাতা ভর্তা তৈরি।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু সরিষার পাতা ভর্তা। এটি খুবই টেস্টি একটি খাবার। এবং এই ভর্তা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
চিংড়ি মাছ ভর্তা আমার খুব ভালো লাগে। চিংড়ি মাছের সঙ্গে সরিষাশাক, কচুশাক কিংবা হরেক রকমের সবজির মিশ্রণে জাল দিয়ে ছানা খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। রেসিপির উপস্থাপনা বেশ ভালো ছিল। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে সরিষা পাতার ভর্তা অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন বৌদি। সত্যি বৌদি আপনার রেসিপি তৈরির দক্ষতা অনেক ভালো লাগে। আপনি সবসময় ইউনিক ইউনিক রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করেন। তবে এই রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই ভালো হয়েছে। চিংড়ি মাছ দিয়ে সরিষা পাতার ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগবে। মনে হচ্ছে এখুনি তৈরি করে খেয়ে ফেলি। ধন্যবাদ আপনাকে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গরম ভাতের সঙ্গে এই ভর্তার কোন জুড়ি নেই । সুন্দর বানিয়েছেন বৌদি । শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি পুরো বাঙ্গালী রান্নার গন্ধ যেন ভেসে আসছে। আহা কি নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে চলে আসেন। অসাধারণ 👌👌। আমি মাকে এখনই দেখলাম এই রান্না। মা কি খুশি 🥰🥰। বলছে আসলেই তো এভাবে খুব মজার রেসিপি বানানো সম্ভব। আমরাও চেষ্টা করবো একদিন 😊। গরম ভাতে এই এই রেসিপির তুলনা হবে না সত্যি। অনেক ভালবাসা রইলো দিদি।
ধন্যবাদ দিদি। বাড়ীতে একদিন ট্রাই করে দেখুন খুব টেস্টি একটি খাবার।আর আপনার মাকে আমার প্রণাম জানাবেন দিদি।
সরিষা পাতা ভর্তা আগে কখনও খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। সরিষা ভর্তায় সরিষার অসাধারণ একটি ঘ্রাণ পাওয়া যায়। সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
হ্যা ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই ভর্তা দিয়ে দারুন একটা ঘ্রাণ বের হয়। আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
বৌদি এ ধরনের রেসিপি আমার খুব ভালো লাগে খেতে। মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতেও এ ধরনের রেসিপি তৈরি করা হয়। আমার খুব পছন্দের এটি। অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে এ রেসিপি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
বৌদি ভর্তা দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে। এমনি আমি ভর্তা খেতে অনেক পছন্দ করি। তাও আবার সেটা যদি হয় চিংড়ি মাছের তাহলে তো কোন কথাই নেই। আমি চিংড়ি মাছের অনেক ধরনের ভর্তা খেয়েছি, তবে সরিষা পাতার ভর্তা খাওয়া হয়নি। তবে রেসিপির ধাপ গুলো দেখে মনে হচ্ছে যে অনেক বেশি মজাদার হয়েছে সরিষা পাতার ভর্তা। এবার অবশ্যই চিংড়ি মাছের সাথে এই সরিষা পাতার ভর্তা খেয়ে দেখবো। অনেক ধন্যবাদ বৌদির এত মজাদার একটি ভর্তার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার রেসিপি গুলো থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি তাই পরবর্তী মজাদার রেসিপি অপেক্ষায় রইলাম। অনেক ভালোবাসা রইলো বৌদি।
অসাধারণ একটি রেসিপি বৌদি। চিংড়ি মাছে তো মনে হয় কম বেশি সবার অনেক পছন্দের একটি খাবার। চিংড়ি মাছের রেসিপি ভালো হবে না সেটা কি করে হয়। চিংড়ি মাছ বলে কথা রেসিপি সুন্দর না হয়ে যাবে কোথায়। অনেকদিন আগে মায়ের হাতে চিংড়ি মাছের সরিষা পাতার ভর্তা খেয়েছিলাম। আপনার এই পোস্ট দেখে আবার নতুন করে খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমার মাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য। এবং আপনার আগামীর জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
বৌদি শীত চলে এসেছে গ্রাম বাংলার মাঠে প্রান্তরে হলুদের সমারোহ। সরিষার পাতা দিয়ে চিংড়ি অসাধারণ একটা রেসিপি ।বৌদি আমি এটা অনেক খেয়েছি অনেক সুস্বাদু তবে অনেক দিন আগে খেয়েছি ।আজ আপনার রেসিপিটি দিয়ে আমার পুরাতন দিনের কথা মনে পড়ে গেল। একদিন আমি এবং আমার ছোট বোন জমিতে গিয়েছিলাম সরিষার পাতা তুলতে সেখানে গিয়ে কুকুর দেখে ভয় পেয়েছিলাম । ভয়ে দৌড় দিয়েছিলাম দৌড়াতে গিয়ে আমার ছোট বোন পরে গেল। এদিকে কুকুরগুলো আমাদের দিকে তারা করতে ছিল ।সেদিন অনেক ভয়ঙ্কর মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছিলাম। যাইহোক আপনার এসিপিটি অসাধারণ হয়েছে বৌদি।
সরিষার পাতা ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি কিন্তু সরিষা শাক অনেক খেয়েছি। আপনার এই রেসিপিটি দেখার পর আমি বাড়িতে একদিন চেষ্টা করে দেখব।তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে