ফুটপাতে অসহায় মানুষেরা প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে সংগ্রাম করে।

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর অসীম রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে ফুটপাতের মানুষ গুলোকে নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করব।

ফটোগ্রাফি মানে শুধু একটি দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করা নয়, এটি আসলে অনুভূতিগুলোকে জমিয়ে রাখা। প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প, এক একটি হাসি, এক একটি বিষণ্ণতা। ক্যামেরার শাটার ক্লিক করার মাধ্যমে আমি সময়ের চাকা থামিয়ে দিই। আমার ছবিতে আমার আবেগ আর অনুভূতিরা কথা বলে, যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।কারণ প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক একটি মুহূর্ত, এক একটি ভাবনা। ক্যামেরা আমার তৃতীয় চোখ, যা দিয়ে আমি পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে শিখি, এবং সাধারণ জিনিসগুলোকে অসাধারণ করে তুলি।

Source

শহরের এক কোণে, পুরোনো একটি ফ্লাইওভারের নিচে তার নিত্যদিনের আস্তানা। তাকে কোনো নামে ডাকার দরকার হয় না, সবাই তাকে ঐ লোকটা বলেই জানে। ছেঁড়া, মলিন একটি কাঁথা আর একটি পুরোনো প্লাস্টিকের বস্তা— এইটুকুই তার সব সম্পদ। তার কোনো ঘর নেই, ঠিকানা নেই। আকাশটাই তার ছাদ, আর শক্ত সিমেন্টের মেঝেটাই তার বিছানা।

​সকালে যখন ব্যস্ত মানুষজন কাজে ছোটে, তখন সে চোখ খোলে। প্রথম কষ্টটা আসে ঠান্ডায় জমে যাওয়া শরীর নিয়ে। শীতকালে হাড় পর্যন্ত কাঁপে, আর বর্ষায় ভিজে একসা হয়ে যায়। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে সে অনেক সময় পুরোনো সংবাদপত্রের স্তূপ মাথায় চেপে বসে থাকে, তবু ভিজে যায়। তখন তার মনে হয়, এই দুনিয়াতে কি তার জন্য একটু শুকনো জায়গাও নেই?

​ক্ষুধা তার জীবনের সবচেয়ে বড় সঙ্গী। রোজ সকালে সে ময়লার স্তূপের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়— যদি কেউ ফেলে যাওয়া কিছু খাবার দেয়। লোকজনের ছুঁড়ে দেওয়া বাসি রুটি বা এঁটো থালার অবশিষ্টটুকু পেলে সে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে। কিন্তু যেদিন কিছু জোটে না, সেদিন শুধু জল খেয়েই পেটকে বোঝাতে হয়। সে জানে, তার এই অসহায় চাহনি অনেকেই উপেক্ষা করে ঘৃণাভরে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। সমাজের কাছে সে যেন এক অদৃশ্য মানুষ।

​দিনের বেলায় রোদ যখন মাথায় আগুন ঢালে, তখন সে ছায়া খোঁজে। ক্লান্ত শরীর নিয়ে কখনো গাছের নিচে, কখনো দোকানের বারান্দায় গুটিয়ে বসে থাকে। কিন্তু একটু বেশি সময় বসলেই দোকানের মালিক এসে তাড়িয়ে দেয়। এখানে ভিড় করো না,এই কথাগুলো যেন প্রতিদিনের অপমান। তার মনে প্রশ্ন জাগে, একটু জিরিয়ে নেওয়ার অধিকারও কি তার নেই,রাতে যখন শহরের সব আলো ঝলমল করে, তখন তার কষ্ট আরও বাড়ে।

পাশে দিয়ে দামি গাড়িতে করে মানুষজন হাসতে হাসতে বাড়ি ফেরে। তাদের গরম ঘরের কথা ভেবে তার বুকটা ফাঁকা লাগে। এই সময় পুরোনো দিনের কথা মনে আসে। হয়তো এক সময় তারও একটা ছোট্ট পরিবার ছিল, একটা ঘর ছিল। সেই সব হারানো স্মৃতি তাকে রাতে ঘুমাতে দেয় না। মশা কামড়ায়, ইঁদুর ছোটাছুটি করে, আর দূরের কুকুরের ডাক যেন তার নিঃসঙ্গতাকেই বাড়িয়ে দেয়।

​তবুও সে বেঁচে থাকে। কারণ, জীবনের শেষ আশাটুকু এখনও তার ভেতরে লুকিয়ে আছে। হয়তো কালকে কেউ একটু দয়া দেখাবে, হয়তো একবেলা পেট ভরে খেতে পাবে। এই ‘হয়তো’টুকুই তাকে পরের দিন সকালের জন্য বাঁচিয়ে রাখে। এই ফুটপাতের জীবনটা শুধুই বেঁচে থাকার লড়াই— যেখানে সুখ নেই, শুধু আছে দিনের পর দিন যন্ত্রণা আর উপেক্ষা। এই শহরে তার জন্য কোনো জায়গা নেই, শুধু খোলা আকাশটাই তার সাক্ষী।

বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি এবং আপনাদের কাছ থেকে ভালো মন্তব্য আশা করছি। পরবর্তী ব্লগে নতুন বিষয় নিয়ে দেখা হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুক।

---

---

আমি আব্দুল আলীম, Steemit-এ আমার ব্যবহারকারীর নাম @alimtutorial । আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বিত। Steemit কেবল আমার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমার ভালোবাসার জায়গা। এখানে মানুষ তাদের সৃজনশীলতা এবং পছন্দ-অপছন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নেয়। এই প্ল্যাটফর্মটি আমাদের মতো কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতে পারি এবং অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। পড়া, লেখা, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, গান গাওয়া এবং ভ্রমণ আমার প্রিয় জিনিস। প্রতিটি কাজ আমাকে নতুন জীবনযাপন করতে শেখায়, এবং Steemit আমার এই সমস্ত শখ সকলের সামনে তুলে ধরার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম।

ফটোগ্রাফির বিবরণ

📱 ডিভাইসের নাম	📍অবস্থান	ক্যাপচার ডিজাইন
Redmi note 10 pro max	Jamalpur/BD	pixabay
-	-	-

---

ধন্যবাদ

---

---

@photoman
@blacks
@royalmacro
@beautycreativity
@curators
@hungry-griffin

আমার পোস্টটি দেখার জন্য

---

শুভেচ্ছান্তে
@alimtutorial

_{Posted using SteemX}