হাসির কিছু মুহূর্ত…[২১]

সপ্তাহের সাতটা দিনের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত যেন আমার কাছে একটু বিশেষ। কারণ এই রাতটাতেই আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসি মজার কৌতুক পোস্ট যা মন খারাপের দিনেও একটুখানি আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।

হাসি এমন এক ওষুধ, যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। মন খারাপ হোক বা দিনটা ক্লান্তিকর একটা দারুণ কৌতুক মুহূর্তেই সব কিছু হালকা করে দিতে পারে। তাই প্রতি সপ্তাহের মতো আজও হাজির হয়েছি ১৯তম কৌতুক নিয়ে।

চলুন তবে আর দেরি না করে শুরু করা যাক...

সোর্স

কোথায় গেল জুতোটা?

আমাদের গ্রামের রফিক দাদা ছিলেন বিখ্যাত বোকা কিন্তু ফানি। একদিন সকালে রফিক দাদা ঠিক করলেন নতুন জুতো পরে বাজারে যাবেন। জুতো খুলে পায়ে পরার আগে মনে হলো, কাজেই একটু লক চেক করি।

জুতো পরার পর তিনি বাজারের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন। রাস্তায় পৌঁছে দেখি, হায় রে! এক জুতো নেই। এক জুতো পায়ে আছে, আর এক জুতো কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। দাদা মাথা ঘুরিয়ে চারপাশে তাকালেন। কেউ নেই। তিনি বললেন, হায়! এই জুতো নিজে ঘুরতে গিয়েছে নাকি?

রফিক দাদা হাঁটতে হাঁটতে দোকানে ঢুকলেন। দোকানদারকে দেখিয়ে বললেন, দেখো, আমি এক জুতো নিয়ে এসেছি, আর এক জুতো কোথায়?
দোকানদার হেসে বললেন, দাদা, হয়তো জুতোটা একা হেঁটে বাড়ি ফিরে গেছে!

দাদা ততক্ষণে আরও চিন্তায় পড়লেন। তিনি জুতো খুঁজতে খুঁজতে গ্রামের রাস্তায় হেঁটে হেঁটে সব বাড়ির সামনে গেলেন। মানুষ সবাই হেসে বলল, দাদা, আপনার জুতো কি ভ্রমণ করতে চায়?

রফিক দাদা ঠিক করলেন জুতো খুঁজতে খুঁজতে শহরের ফটক পর্যন্ত যাবেন। হঠাৎ এক বেড়ার পাশে দেখলেন, জুতোটা বসে আছে আর চুপচাপ আছে, যেন বলে, দাদা, আমি বিরক্ত!

দাদা জুতোটা হাতে নিলেন, আর নিজেই হেসে ফেললেন। তিনি বললেন, ঠিক আছে, তুমি চাইলে একা ঘুরতে পারো, তবে এখন থেকে আমরা একসাথে থাকব। আর বাজারে যাওয়া মানে সব সময় জুতো নিয়ে যাওয়া।

গ্রামের সবাই তখন হেসে ফেলল। সেই দিন থেকে রফিক দাদা জুতোদের নামও দিলেন ডান জুতো ‘বড্ডি’, বাম জুতো ‘লাকি’। আর তারা দুই বন্ধু আজও বাজারে একসাথে হেঁটে বেড়ায়।

সোর্স

আসলে জীবনটা অনেক ছোট। সবসময় সিরিয়াস হয়ে থাকা যায় না। মাঝেমধ্যে এমন হাসি-ঠাট্টা, পাগলামি দরকার। তাতে মনও ভালো থাকে, দিনটাও জমে যায়।তাই বলব - হাসুন, খুশি থাকুন। কারো খারাপ দিনটা একটুখানি ভালো করে দিতে পারলে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় আনন্দ।

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ। _{আমি ঘোরাফেরা, লেখালেখি এবং ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন জায়গা ও সংস্কৃতি আবিষ্কার করতে আমার আনন্দ লাগে। বিভিন্ন মুহূর্ত ও দৃশ্যকে ক্যামেরার লেন্সে বন্দি করা আমার শখ। লেখালেখির মাধ্যমে আমি আমার ভাবনা, অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে ভালোবাসি। প্রকৃতির সৌন্দর্য, মানুষের জীবনধারা এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার লেখার মূল অনুপ্রেরণা। আমি প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার চেষ্টা করি এবং সেগুলোকে স্মৃতিতে ধরে রাখি। এসব অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন করে জীবনকে দেখার অনুপ্রেরণা দেয়।}