বাড়ির পুজোর দিন - ৪র্থ পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমাদের বাড়িতে বুদ্ধ পূর্ণিমা পুজোর দিনের সন্ধ্যের মুহূর্ত থেকে। এই যে পূজো পুজো নিয়ে এত বাজার ঘাট, এত কেনাকাটা। এবার আপনাদের তো সবকিছু খুলে বলতেই হবে, যে এত ধুমধাম এত আয়োজন কিসের জন্য।
এ কারণেই পুজোর পর্ব এত বেশি হচ্ছে। যাই হোক গত দিন আমি আপনাদের শেয়ার করেছিলাম পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তগুলো ।তারপর থেকেই আজকে লেখা শুরু করছি।
দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করার পর একেবারে নাজেহাল অবস্থা সকলের ।সবাই প্রচন্ড পরিমাণে ক্লান্ত বোধ করছিল। যেভাবে গরম পড়েছিল কারোর পক্ষেই আর শরীর পেরে উঠেছিল না ।শুধুমাত্র উপরে রাধুনীরা রান্না করছিল। আর সাথে পুরোপুরি ভাবে পাহারা দিচ্ছিল আমার সেজ পিসি।
আসলে রান্নায় এরকম রাঁধুনী রাখলে ওরা বেশি বেশি করে মসলা দিয়ে থাকে, এবার এটা দেখার বিষয় আছে, কারণ গরমে বেশি মসলা জাতীয় খাবার কেউ খেতে পছন্দ করে না। আর শরীর খারাপ করে। তাই জিনিসপত্র যাতে বেশি রিচ না হয় ,এ কারণেই পিসি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রাঁধুনিগুলোকে সাজেশন দিচ্ছিল ।
যাই হোক আমি তো দুপুরবেলায় টান টান ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম ।আর আমার দাদা বৌদিরা, পিসিরা যারা এসেছিল ,তারাও আমাদের দোতলা আর একতলা মিলে সবাই মিলে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আমার মনে হয় ঘুমটা সকলেরই দরকার ছিল। কারণ সন্ধ্যা বেলা থেকে আবার লোকজন আসা শুরু হবে। আবার একটা বিশাল ঝামেলা।
ঘুম থেকে ওঠার পর আমি ফ্রেশ হয়ে রেডি হতে লাগলাম। আমি প্রথম থেকেই ভেবেছিলাম একটু অন্যরকম ভাবে সাজুগুজু করব। সত্যি বলতে যত বড় হচ্ছি শাড়ির প্রতি আমার একটা আলাদা মায়া কাজ করে, শাড়ি পড়তে বেশ ভালই লাগে। বিশেষ করে পূজোর দিনগুলোতে অথবা স্পেশাল কোন অকেশনে শাড়িটা সবথেকে বেশি প্রাধান্য দিতে চাই আমি।
তার সাথে বাড়ির পুজোতে সোনার গয়না , এটাতো আমার বরাবরেরই স্বভাব ।এর আগেও আমি তাই পড়তাম ।আমাদের এখানে যদিও জগদ্ধাত্রী পুজো সবথেকে বেশি ধুমধাম করে হয়, দুর্গাপুজোর থেকেও ।তাই আপনারা আমার পুরোনো বহু পোস্টে আগে যদি সার্চ করে দেখেন ,তাহলে বুঝতে পারবেন জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনকে আমি খুব সুন্দর ভাবে পরিপাটি ভাবে শাড়ি আর গয়নাতে সেজে উঠি।
সেদিনকেও বাড়িতে পুজো হচ্ছে এবং আমি চেয়েছিলাম নিজের লুকটা একটু অন্যভাবে ক্রিয়েট করার ।অনেকটা সাউথের প্যাটার্নে শাড়ি পড়ার ইচ্ছা ছিল। আর সাথে আগে থেকে গয়নাও বার করে রেখেছিলাম। এই শাড়িটা একেবারেই নতুন ।এই শাড়িটাকে একচুয়ালি কি বলে, আমি জানিনা ।তবে এই শাড়ির ব্লাউজ থাকার শর্তেও আমি ব্লাউজ বানাইনি। আলাদা করে মেরুন কালারের ব্লাউজ কিনেছিলাম এই শাড়িটার সাথে পুজোর দিন পড়ব বলে।
মায়ের কানবালা আর আমার নেকলেসের সাথে একেবারে জম্পেশভাবে নিজেকে সাজালাম, আর তারপর মৌসুমী বৌদির থেকে নিয়ে নিয়েছিলাম ওই নাকের নথটা। নাকের নথটা মৌসুমী বৌদি পুরোপুরি আমাকে দিয়ে দিয়েছে। মৌসুমী বৌদির নাকের এই নথটা আমার প্রচন্ড পছন্দের।
আজকে পুজোর গল্প করার সাথে সাথে সাজুগুজু নিয়েও গল্প হয়ে গেল আপনাদের সাথে । এর সাথেই নিজের খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। প্রত্যেকটি ছবি কিন্তু আমার ভাই তুলে দিয়েছে। বেশ ভালই ফটোগ্রাফি করে ও। আসলে আমার ছোট দিদির সাথে আমার শাড়ির কালার টা ম্যাচ হয়ে যাওয়াতে, ওর সাথেও কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
আমার সাতজন দিদির মধ্যে ও সাত নম্বর। আর তারপর আমি সকলের ছোট বোন।
যাইহোক আজকে এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন।। আমার লুকটা কেমন লেগেছে আপনাদের সকলের, অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আমি কিন্তু মেকআপ করিনি। শুধুমাত্র একটু আইলাইনার, লিপস্টি,একটা ছোট্ট লাল টিপ। ব্যাস।
TEAM 8
Congratulations! Your post has been upvoted through @steemcurator08. Good post here should be..Congratulations! This post has been voted through steemcurator03.
Hello there, you have posted a great quality post and we are happy to support you, stay up with good quality publications