কালী পুজোর নিমন্ত্রণ

in Incredible Indiayesterday

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করি সকলের ভালো লাগবে।

IMG20251219180844.jpg

সময় দেখতে দেখতে কেটে যায়। সময় কোন কিছুরই তোয়াক্কা করে না। কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছিল ২০২৫ সাল। আবারো পঁচিশ সালের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। নতুন বছর শুরুর আনন্দে ।ঠিক তেমনি দেখতে দেখতে বাংলার অগ্ৰহায়ণ মাস শেষ হয়ে পৌষ মাস শুরু হতে শুরু হয়ে গেছে। বেশ ভালোই ঠান্ডা পড়েছে। তবে নেমন্তন্ন যেন আমাদের পিছু ছাড়ছে না। তবে গতকাল রাতে তেমন ঠান্ডা ছিল না। হালকা ঠান্ডা হাওয়া বই ছিল। বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে। সারা বছর যে কোন পুজো কমবেশি চলতে থাকে। তবে বেশ কিছু জায়গাতে পৌষ মাস পড়লে পৌষ কালী পূজা বেশ ধুমধাম করে হয়। আমাদের কৃষ্ণনগরে ও বিভিন্ন জায়গাতে শনি, মঙ্গলবার কিংবা অমাবস্যায় বেশ ধুমধাম সহকারে পৌষ কালী পূজা হয়। তবে গতকালকে অমাবস্যায় ছিল আমার মেজো মামার শ্বশুর বাড়িতে কালী পুজোর নিমন্ত্রণ।

IMG20251219185225.jpg

প্রত্যেক বছরে ওখানে কালী পুজোয় যাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করে। তবে কোনদিন পুজোতে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এ বছরে প্রথম গিয়েছিলাম কালীপুজো দেখতে। মামিদের বাড়িতে ওটা প্রতিষ্ঠিত কালীর মূর্তি ছিল। তবে মামীর মা মারা যাওয়ার পর পূজা করার কেউ ছিল না ।তাই ওই প্রতিমা টিকে বিসর্জন দিয়ে দিয়েছিল। এ বছরে নতুন করে প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করে পুজো করা হয়েছে। আবারও পূজা হয়ে গেলে প্রতিমা টাকে বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হবে। তবে যে কোন জায়গায় প্রথম থেকে যাবার ইচ্ছে না থাকলেও শেষ মুহূর্তে এসে আমাকে সব জায়গাতেই যেতে হয়। কোথাও যাওয়ার কথা শুনলেই আমার শরীর খারাপ শুরু হয় ।জানিনা এমনটা কি জন্য হয় ।সেটা নিজের বাপের বাড়ির ক্ষেত্রেও হয়।

IMG20251219182254.jpg

যাই হোক শেষ মুহূর্তে এসে গতকালকে হুটো পাটা করে মাত্র দশ মিনিটের রেডি হয়ে নিয়েছিলাম। মামিদের বাড়িতে যেতে হবে বলে। আমাদের বাড়ি থেকে আমি, দিদা, বড় মামা, বড় মামার মেয়ে আর এক মামি আর তার ছেলে এই কয়েকজন মিলে গিয়েছিলাম। তবে এই প্রথমবার আমার মামিদের বাড়িতে গিয়ে ভালো লেগেছে ।রাতের বেলাতে হলেও বেশ ভালো লাগছিল। মামিদের বাড়ির গ্ৰামের রাস্তায় ঢুকলেই আরো যেন শরীর খারাপ করতে শুরু করে। যাই হোক এখন রাস্তা সমস্তই ভালো হয়ে গেছে। মামীদের বাড়ি অনেক গ্ৰামের ভিতরে।আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলাম বিকেল পাঁচটা নাগাদ। মামিদের বাড়িতে পৌঁছেছিলাম প্রায় সাড়ে ছটা নাগাদ। তখন পূজা শুরু হয়ে গেছে।

IMG20251219180844.jpg

মেজো আমার মেয়ে আমাদের দেখে তো ভীষণ খুশি। সে কোনদিনই আমাদের সেভাবে কাছে পায় না। কারণ আমরা তাকে সেভাবে সময় দিয়ে উঠতে পারি না। যাই হোক সকলের সাথে দেখা করে বেশ খানিকক্ষণ বসে পূজা দেখছিলাম ।আর মামার মেয়ের সাথে খেলা করছিলাম। এরপরে বাড়ি আসতে হবে তাই তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নিয়ে ছিলাম। খুব সুন্দর আয়োজন করেছিল। খিচুড়ি র সাথে বেগুনি, ফ্রা-রাইস ,আলুর দম ,চাটনি, মিষ্টি। সকলে মিলে তাড়াতাড়ি খেয়ে খানিকক্ষণ রেস্ট নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়েছিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। কারণ অনেকটা পথ আবারও আসতে হবে।

কিন্তু মামার মেয়ে ছাড়তেই চাইছিল না, সে প্রথমবার আমাদের এতক্ষন পেয়েছিল তাই কান্নাকাটি করছিল। তবুও আমাদের গন্তব্যস্থলে আসার জন্য আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম। বাড়ি ফিরতে প্রায় রাত সাড়ে নটা বেজে গিয়েছিল। এই পুজোতে মামীর বাবা ভালোই খরচ করে ছিল ।সারা গ্রামের মানুষকে নিমন্তন্ন করে ছিল ।হয়তো মামীর মা বেঁচে থাকলে আরো বেশি আনন্দ করতে পারতো। যে পুজো প্রতিষ্ঠাতা করেছিল তিনি আজ পৃথিবীতে নেই। প্রথমে আমার ভীষন খারাপ লাগছিল। কারণ গত বছরেই যখন আমি গিয়েছিলাম মামীর মা মারা গিয়েছিল তখনই দেখেছিলাম মন্দিরে মায়ের সামনে মামীর মাকে রেখে দিয়েছিল। সেই সব দৃশ্যগুলোই মায়ের সামনে বসে বসে মনে পড়ছিল। যাইহোক উনার প্রতিষ্ঠা করা পূজো এখনো উনার স্বামী করে যাচ্ছে। এটাই দেখে ভালো লাগলো।


আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Sort:  
Loading...
 16 hours ago 

Thank you 🙏