২৫ শে ডিসেম্বর দিনে একটু ঘোরাঘুরি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন ।আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
এখন শীতের মরশুম চলছে। শীতকালে বহু পর্যটক এদিক-ওদিক বেড়াতে যেতে ভীষণ ভালোবাসে। আমিও ঘুরতে বেড়াতে পছন্দ করি। তবে বেড়াতে যাওয়ার সঙ্গী যদি মনের মত হয় তবেই আমি সেই জায়গাতে যাই। আমার বর খুব একটা বেড়াতে পছন্দ করে না বলেই আমাকে আমার কাছের লোকেদের সাথে ঘুরতে বেড়াতে যেতে হয়। তবে সেদিন খুব দূরে বেড়াতে না গেলেও কাছে পিটে গিয়েছিলাম একটু হঠাৎ করেই ঘুরতে। আমাদের পাগলামি যখন তখন শুরু হয়। সেদিন হঠাৎ করে ঈশা বলল চলো বৌদি আমরা একটু কাছে পিটে সর্ষের ক্ষেত থেকে ঘুরে আসি। আর ও বলাতে আমি একেবারেই না করতে পারিনি। কারণ ঘুরতে যাওয়ার জন্য আমারও মন বারবার টানে। এখন যেহেতু কাজের চাপ নেই ।তাই যখন তখন যেখানে খুশি যেতে পাচ্ছি। নিজেকে চিন্তা মুক্ত লাগে। এইভাবে যদি জীবন কেটে যেত তবে ভালোই হতো।
সেদিন বাড়ির সমস্ত কাজকর্ম মিটিয়ে দুপুরে একটা নাগাদ ওর সাথে বেরিয়ে পড়েছিলাম কাছে পিটে কোন গ্রামে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। সাথে আরেকটা ভাইও ছিল। তার বাইকে করে তিন জন মিলে বেরিয়ে পড়েছিলাম অজানা কোন গ্রামের উদ্দেশ্যে। যাইহোক বাইক চালাতে চালাতে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছিলাম। বাইকে চড়তে বেশ ভালোই লাগে। অনেক টা রাস্তা যাবার পর পেয়েছিলাম মনের মতো একটা সর্ষের ক্ষেত শীতকালে সর্ষের ক্ষেতে ছবি তুলতে ভীষণ ভালো লাগে। ছোট থেকে আমার ভীষণ ইচ্ছে হতো সর্ষের খেতে ছবি তুলব ।তবে সেভাবে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হতো না। তাই ছবিও তোলা হত না। হয়তো শীতের পরে যেতাম তখন সর্ষের ফুল ঝরে যেত।
এই সময় গ্রামের দিকে গেলে রাস্তার দুই পাশে সর্ষের ক্ষেত দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। মনে হয় ছুটে চলে যায়।যাই হোক আমরা অনেকটা ঘুরে সর্ষের ক্ষেতে পৌঁছেছিলাম। ক্ষেতে গিয়ে বেশ কয়েকটা ছবি তিনজনে মিলে তুলেছিলাম। এছাড়াও চারিদিকের পরিবেশ ফাঁকা ছিল। কোন মানুষজন কিংবা কোন চাষীরা ক্ষেতের কাছাকাছি ছিল না। অনেকটা সময় তিনজনে মিলে ক্ষেতের মধ্যে কাটিয়ে আবারো তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। ২৫ শে ডিসেম্বর এর দিন এই ছোট্ট খাটো ঘোরাটা বেশ ভালো লেগেছিল। তবে ইচ্ছে ছিল আরো খানিকটা সময় কাটাবার। কিন্তু বাড়িতে মা ,দুই বোন সকলেই ছিল ।তাদের রেখে আমাকে বেরোতে হয়েছিল ।ওদের আবার দিদি ছাড়া ভালো লাগেনা।
এদিকে ফেরার সময় ভাইটা বায়না করছিল এক কাপ করে চা খাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি একেবারেই সময় দিতে পারিনি ।অন্য আরেক দিন খাব বলেছি।তাই সর্ষের ক্ষেত থেকে সোজাসুজি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তিনজনে মিলে সেদিন সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। আসলে এইরকম মুহূর্ত সচরাচর কাটানো হয় না। আমরা সবসময় কোন রেস্টুরেন্ট কিংবা শপিংমল বা ক্যাফেতে যাই। এইরকম গ্রাম্য পরিবেশে ক্ষেতে গিয়ে ছবি তোলার আইডিয়াটা একদমই আসে না। আমাদের সেদিন ঘোরাঘুরির ছোট্ট মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল ।সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।



