হঠাৎ করেই মামা শ্বশুরের বাড়িতে বেড়াতে আসা

in Incredible India5 hours ago

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।

IMG20251228162515.jpg

গতকালকে হঠাৎ করেই চলে এসেছি মামা শ্বশুরের বাড়িতে বেড়াতে। সেই মুহূর্তই আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নেব। গতকালকে দুপুরবেলায় ছিল এক ননদের বাড়ি নিমন্ত্রন সেই পর্ব অন্য পোস্টে শেয়ার করে নেব। নিমন্ত্রন খেয়ে আসতে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল ।প্রায় সন্ধ্যা সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল।তাই একা কিভাবে আসবো ভাবছিলাম ।কারণ বাস থেকে নেমে মামার বাড়ি অনেকটাই ভিতরে।এদিকে শীতের রাতে গ্রামের দিকে রাস্তাঘাটে বেশি লোকজন থাকে না ।তাই আমার সাথে চলে এসেছিল আমার শাশুড়ি মা। মামাশ্বশুরের মেয়ে আগের দিন রাতে আমাকে ফোন করে বলেছিল কলেজ থেকে তাকে এক জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে তার সাথে যাওয়ার জন্য। মামা মামি দুজনেই কাজে ভীষণ ব্যস্ত। উনারা যেতে পারবে না তাই আমাকে ওর সাথে যাওয়ার জন্য বেছে নিয়েছিল।

IMG20251228185633.jpg

প্রায় বিকেল বেলা নাগাদ আমি আর শাশুড়ি মা দুজনে চলে এসেছিলাম কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে বাস ধরব বলে। আমরা দুজনে গিয়েই আগে বাসের টিকিট কেটে নিয়েছিলাম। কিন্তু যে বাসে উঠবো শেষে দেখছি সেই বাসটা কোনমতে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে আসছে। তাই উঠতে একদম সাহস পাচ্ছিলাম না। শুধু বারবার মনে হচ্ছিল মাঝ রাস্তায় গিয়ে যদি গাড়ি খারাপ হয়ে যায় কিংবা গাড়ি যদি কিছু হয় তখন কি হবে ।কারণ আমাদের করিমপুর রোডে প্রত্যেকদিন কোনো না কোনো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। বাসে করে আসা-যাওয়া মানে প্রাণ হাতে করে নিয়ে বের হওয়া। কখন কি হয় বলা যায় না।যাই হোক ঠাকুরের নাম করে বাসে উঠে পড়ে ছিলাম। এরপর ভালোভাবে পৌঁছে গিয়েছিলাম আমাদের তরণী পুর বাসস্ট্যান্ডে। বাসে উঠার সময় সামনের মানুষজন বারবার বলছিল আপনারা কি ভয় পাচ্ছেন ।আসলে কয়েকবার নিজেদের ভয়টাকে বারবার প্রকাশ করে ফেলেছিলাম।

প্রায় সন্ধ্যা ছটা নাগাদ বাসস্ট্যান্ডে নেমে ওখান থেকে টোটো ধরে নিয়েছিলাম। টোটো করে গ্রামের অনেকটা ভিতরেই ঢুকতে হয়। গ্রামের দিকে ভীষণ ঠান্ডা ।টোটো করে আস্তে আস্তে ভীষণ ঠান্ডা লাগছিল। চারদিকে মাঠ হালকা কুয়াশা পরেছিল। এরপর ভালোভাবে পৌঁছে গিয়েছিলাম মামা শ্বশুরের বাড়িতে। আমাকে দেখে ওরা তো ভীষণ খুশি হয়েছিল। কারণ সেভাবে কোনদিন ওদের বাড়িতে আমি আসতেই পারিনি। আসার সাথে সাথে মামি চা সাথে বড়দিনের কেক খেতে দিয়েছিল। এছাড়াও আসবার সময় দেখছিলাম খ্রিস্টানদের বাড়িগুলো খুব সুন্দর টুনি লাইট দিয়ে আলোয় আলোকিত করে তুলেছে। প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি। কিন্তু এত সুন্দর সাজানো দেখে যখন বাড়িতে এসে জিজ্ঞেস করলাম তখন মামী বলল ওগুলো সব খ্রিস্টানদের বাড়ি।

এই সময় নাকি ওদের বাড়িগুলো খুব সুন্দর করে আলোক শয্যায় সুসজ্জিত করে তোলে। দেখতেও বেশ সুন্দর লাগছে। আমি এর আগে কখনোই দেখিনি। গতকালকে ঠান্ডার মধ্যে আসতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল ।কিন্তু বহুদিন পর মামাশ্বশুরের বাড়িতে এসে বেশ ভালো লেগেছিল। তাতে আবার ননদ বৌদি মিলে যাব একটু বেড়াতে। শীতকালে বেড়াতে বেশ ভালোই লাগে। বেড়াতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত অন্য পোস্টে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নেব।


আজ এইখানেই শেষ করছি। আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন।