বিটের জুস তৈরির রেসিপি

in Incredible India11 hours ago

নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আজকে আবারো চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন আরো একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

শীতকাল মানেই আমরা জানি নানা রকম সবজির সমাহার। অনেক শীত প্রিয় মানুষই সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন এই শীতকালের জন্য কারণ এই সময় বাজার বিভিন্ন সবজিতে ভরে ওঠে। শীতের সবজির মধ্যে অন্যতম হলেও বিট। এই বিট আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। বিট একটি পুষ্টি রস সমৃদ্ধ শীতের সবজি যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হৃদরোগের সমস্যা দূর করে, শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। আর সবচেয়ে বড় কথা এটি ত্বক ভালো রাখে ও ফ্যাটি লিভারের জন্যেও ভীষণ উপকারী।

এইসব উপকারিতার জন্য অনেকেই শীতকালের সবজির মধ্যে বিট টাকে অনেক পছন্দ করে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। দাদা বাজারে গেলে বিট এবং গাজর অবশ্যই নিয়ে আসে। বেশ কয়েকদিন যাবত আমার মুখে ভীষণ পরিমাণে পিম্পলস হয়েছে। যার ফলে মুখটা ভীষণই বাজে হয়ে গেছে। তাই অনেকেই আমাকে বিটের জুস খাওয়ার জন্য বলেছে। বিটের সবজি এবং বিট ও আলু ভাজা আমাদের বাড়িতে প্রায়ই হয়। তবে কাঁচা বিটের জুস আগে কখনো খাওয়া হয়নি। তাই প্রথমেই ইউটিউব দেখে শিখে নিয়েছিলাম। তারপর দেখলাম বাড়িতে থাকা খুব স্বল্প উপকরণ নিয়েই এই রেসিপিটা তৈরি করা যায়। তাই আমিও চট জলদি তৈরি করে ফেলেছিলাম। চলুন তাহলে আপনাদের সাথেও শেয়ার করি আমি কিভাবে এই বিটের জুস তৈরি করেছিলাম।

1000356410.jpg

উপকরণ
নংসামগ্রীপরিমাণ
বিটদুটো বড়ো মাপের
বিট নুনপরিমাণ মতো
পাতিলেবুপরিমাণ মত
মধুপরিমাণ মতো
জলপরিমাণ মতো
গাজর১টা
আদাপরিমাণ মতো

1000356057.jpg

পদ্ধতি

ধাপ ১:

প্রথমেই বিট গুলোকে ছাড়িয়ে, পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছিলাম।

1000356395.jpg

ধাপ ২:

এরপর একটা গাজর ও পরিমাণমতো আদা কেটে নিয়েছিলাম।

1000356397.jpg

ধাপ ৩:

এরপর ব্লেন্ডারের মধ্যে সমস্ত কেটে রাখা বিট, গাজর ও আদা দিয়ে দিয়েছিলাম।

1000356399.jpg

ধাপ ৪:

এরপর তার মধ্যে পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিয়েছিলাম।

1000356407.jpg

ধাপ ৫:

এরপর ব্লেন্ড করা বিট একটা পাত্রে ঢেলে নিয়েছিলাম। তারপর ছাকনি দিয়ে ভালোভাবে ছেঁকে নিয়েছিলাম। এই প্রসেসটা একটু সময় সাপেক্ষ। কারণ ছাকনি দিয়ে ছাঁকতে বেশ অনেকটা সময় লাগে। কিন্তু না থাকলে ভালো লাগেনা।

1000356409.jpg

ধাপ ৬:

এইভাবে দুবার ছেঁকে নিলেই, আমাদের বিটের জুস তৈরি হয়ে যাবে।

1000356410.jpg

প্রতিদিন সকালবেলায় এই জুস খাওয়া খুব উপকারী। খাওয়ার সময় তার মধ্যে সামান্য মধু ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিলে স্বাদটা একটু ভালো হয়। তার সাথে সামান্য লবণও দেওয়া যেতে পারে। যেহেতু প্রত্যেকদিন সকালবেলায় এই জুস বানানো সম্ভব নয় তাই আমি একবারে অনেকটা বানিয়ে রাখলাম। এবার এটা এক সপ্তাহের জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করব। আর প্রত্যেকদিন সকালবেলায় গরম জলের সাথে মিশিয়ে খাবো। আপনারাও চাইলে এইভাবে খেতে পারেন। এটা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।

আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।