জন্মদিনের প্রথম পর্ব

in Incredible India27 days ago

নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে একটা নতুন গল্প শেয়ার করার জন্য। বেশ কয়েকদিন হল আমি একেবারেই কোনো গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারছিলাম না কারণ গতকাল ছিল আমার ফাইনাল এক্সাম। কালকে দিনটার জন্য অনেকগুলো রাত জাগতে হয়েছে। অনেকেই জানেন ডি.এল.এড কোর্সে অনেক লেখালেখির কাজ করতে হয়। সেই সাথে থাকে চার্ট ও মডেল তৈরির ঝামেলা। যাইহোক সমস্ত পড়ানো এবং অন্যান্য কাজ সেরে রাত জেগে সমস্তটা শেষ করেছিলাম। গতকাল পরীক্ষা দেওয়ার পর আজকে অনেকটা স্বস্তিতে আছি। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব গত ৮ তারিখের কিছু বিশেষ মুহূর্তের গল্প।

1000334423.jpg
যেহেতু আমার জন্মদিন ছিল শনিবারে, আর সোমবারে ছিল ফাইনাল এক্সাম তাই সকাল থেকেই পড়াশোনা নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলাম। সেই সাথে পড়ানোর চাপও ছিল। তাই সকাল থেকে জন্মদিন নিয়ে মেতে ওঠার সময় একেবারে পাইনি। অন্য বছরগুলোতে জন্মদিনের সকালে মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে দিনটা শুরু করি। তবে এই বছর সেসব সম্ভব হয়নি। সকালবেলাতেই বসে গিয়েছিলাম লেখালেখির বাকি অংশটুকু শেষ করার জন্য। আর যেহেতু বাড়িতে দাদা ছিল না তাই বৌদিকে একা হাতেই সবকিছু করতে হতো। সেই জন্য বৌদিকেও কোনো আয়োজন করতে বারণ করেছিলাম। যদিও বৌদি আমার পছন্দের খাবার(গার্লিক বাটার নান আর চিকেন ভর্তা) রান্না করবে বলে সমস্তটা আয়োজন করে রেখেছিল। তবুও আমি বৌদিকে করতে দিইনি। তবে বৌদিও একেবারে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নয়। তাই সকালবেলায় আমার জন্য লুচি, আলুর দম আর পায়েস বানিয়ে দিয়েছিল।

1000334428.jpg

সকালটা বৌদির হাতে তৈরি সুস্বাদু খাবার খেয়েই কেটে গিয়েছিল। সেই দিন বিকেলটা আমি ফাঁকাই রেখেছিলাম। পড়াতে যাইনি। কারণ আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাকে ওদের বাড়িতে যেতে বলা হয়েছিল। ওরা আমাকে সন্ধ্যেবেলায় যেতে বলেছিল। তবে লেখালেখির কাজ এতটাই পেন্ডিং ছিল যে সন্ধ্যেবেলায় আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা যে প্রাকটিক্যাল খাতা তৈরি করেছিলাম সেগুলো স্পাইরাল বাইন্ডিং করতে হয়। যেহেতু পরের দিনে রবিবার ছিল আর রবিবারে আমাদের এখানকার টাউনে অনেক দোকান বন্ধ থাকে তাই আমি সেগুলো বাইন্ডিং করে রেডি করে রাখতে চেয়েছিলাম। সেই জন্য আমি সমস্ত কিছু গুছিয়ে নিয়ে প্রথমে গিয়েছিলাম স্পাইরাল বাইন্ডিং করতে। সেখানে বাইন্ডিং এর কাজ সেরে রাত সাড়ে আটটার দিকে আমি ওদের বাড়িতে পৌঁছেছিলাম। শুভায়ন প্রথমে আমাকে ওদের বাড়িতে রেখে এসেছিল তারপর আবার আরো একবার এসে আমার বৌদিকে আর ভাইপোকে নিয়ে গিয়েছিল।

1000334519.jpg

ওদের বাড়ি যাওয়ার সময় আমি এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে বাড়িতে যেরকম ভাবে ছিলাম সেই ভাবেই চলে গিয়েছিলাম। তবে সঙ্গে করে ওখানে গিয়ে পরার জন্য পোশাক নিয়ে নিয়েছিলাম আর সেইসাথে ডেকোরেশন করার জন্য কিছু জিনিস নিজেই নিয়ে গিয়েছিলাম। কখনো কখনো নিজের দিনটাকে স্পেশাল করার জন্য নিজেকেও কিছু করতে হয়। ওখানে গিয়ে দেখি ইতিমধ্যে মামী শ্বাশুড়ি আর বুনি, মানে মামীর মেয়ে চলে এসেছে। বুনি তখন বেলুন ফোলাচ্ছিল আর অন্যদিকে মামনি আর মামি মিলে রান্নার দিকটা দেখছিল। আমিও গিয়ে হাতে হাতে ডেকোরেশনের কাজ করে দিলাম। আমি সঙ্গে করে একটা ব্যাকড্রপ নিয়ে গিয়েছিলাম। যেটা আমি সেই দিনের জন্যই কিনেছিলাম। ব্যাক ড্রপটা ভালো করে টাঙানোর পর দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল।

1000334425.jpg
এরপর আমি যে পোশাক টা নিয়ে গিয়েছিলাম সেটা পরে নিলাম। সেই সাথে আমি সাজার জন্য সমস্ত কিছু নিয়ে গিয়েছিলাম। তাই চটজলদি একটু রেডি হয়ে নিয়েছিলাম। আসলে তেমন কোনো আয়োজন ছিল না। শুধুমাত্র গোটা কয়েকজন মিলে আমরা একটু ছোট্ট করে সেলিব্রেট করেছিলাম। আয়োজন যেমনই হোক জন্মদিনে একটু সেজে ফটো না তুললে হয়। তাই ড্রেস চেঞ্জ করে একটু সেজে বসে পড়েছিলাম ফটো তোলার জন্য। শুভায়ন তখন বৌদিকে আনতে গিয়েছিল। তাই সেই ফাঁকে বুনি আমাকে অনেক ফটো তুলে দিয়েছিল।

1000334427.jpg
এভাবেই জন্মদিনের শুরুটা খুব সুন্দর ভাবে না হলেও শেষটা দারুন ভাবে কেটেছিল। আজকে এখানেই শেষ করছি। বাকি গল্পটুকু আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করবো। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

Sort:  
 26 days ago 

Thank you so much.

Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟

Loading...