জন্মদিনের দ্বিতীয় পর্ব

in Incredible India26 days ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আমার গত দিনের পোস্ট এর বাকি অংশটুকু শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।

গত দিনের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে আমার জন্মদিনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম। যদিও আরো কিছুটা গল্প বাকি রয়ে গেছে। আসলে জন্মদিনটা কিন্তু একেবারেই অনেক লোকজন নিয়ে কিংবা বড় করে করা হয়নি। বড় হওয়ার সাথে সাথে এখন খুব একটা ভিড় আমি পছন্দ করি না। কথাটা হয়তো শুনতে ভালো লাগলো না। তবে খুব সত্যি কথা বলতে গেলে এটাই ঠিক যে আমি একসাথে বেশি লোকজন পছন্দ করি না। তার অন্যতম কারণ হলো এক এক জনের এক এক অভিমত। যার ফলে নিজের কোনো ইচ্ছা থাকলেও এত লোকের ভিড়ে সেটা পূরণ করা সম্ভব হয় না। যেমন ধরুন, আমি ছবি তুলতে খুব ভালোবাসি। মানে নিজের ছবি। একটা ছবি ভালো উঠলো না তো আরো দু তিনটে তুলি। এইভাবে বেশ কিছুটা সময় লাগে ছবি তুলতেই। কিন্তু অনেক লোকজন থাকলে সেটা মোটেই সম্ভব হয় না। যার ফলে বেশি লোকজন থাকলে নিজে যেগুলো পছন্দ করি সেগুলো করা যায় না। তাই জন্মদিনটা আমি অন্তত নিজের মতো করেই কাটাতে ভালোবাসি। কারণ অন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমার কথা রাখা সম্ভব হয়না। তখন তো আত্মীয়-স্বজনদের নিমন্ত্রণ করতেই হয়। তাই নিজের জন্মদিনে আমি নিজের পছন্দের মানুষজনদের নিয়েই নিজের মতো করে কাটাতে ভালবাসি।

1000335071.jpg

সেই সাথে নিজের জন্মদিনের খুব বেশি খরচ খরচা করতে আমি একদম পছন্দ করি না। তাই আমি শুভায়নকে বলে রেখেছিলাম খুব ছোট্ট একটা কেক যেন কেনে। বড়ো কেক কিনলে পুরো কেকটা খাওয়া সম্ভব হয় না। অর্ধেকটা রয়েই যায়। আগের বছরও বেশ অনেকটা বড়ো একটা কেক এনেছিল। যেটা দু-তিন দিন ধরে খেতে হয়েছিল। তাই এইবারে সত্যি সত্যিই একটা ছোট্ট কেক কিনেছিল। তবে খেতে খুব টেস্টি ছিল। এবার বলি সেই দিন আমার সাথে আর কে কে ছিল। আমি তো আগের পোস্টেই বলেছিলাম, বাড়িতে দাদা না থাকার জন্য আমি আমার বৌদিকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমার ভাইপো জানতো আজকে পিসানদের (শুভায়নদের) বাড়িতে আমার জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হবে।

আর বাচ্চারা জন্মদিন বলতে কেক কাটাটাই বোঝে। তাই সকাল থেকেই আমাকে বলেছিল যে ও পিসানদের বাড়ি যাবে। সত্যি কথা বলতে গেলে আমরা কিন্তু আর কাউকে নিমন্ত্রণ করিনি। কারণ তেমন কোনো এরেঞ্জমেন্ট ছিল না। তবে সেই দিন আমার মামি শাশুড়ি আর বুনি মানে মামি শাশুড়ির মেয়ে আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য এসেছিল, কারণ ওরা জানত যে ঐদিন আমার জন্মদিন ছিল আর আমি রাতে ওদের বাড়ি যাবো। আর বড়ো ভাই মানে আমার মাসি শাশুড়ির ছেলে সেই দিনই কোন এক দরকারে ওদের পাড়াতে এসেছিল তাই তাকেও ডেকে নেওয়া হয়েছিল। এই ছিল আমাদের লোকজন।

1000335075.jpg

বাড়িতে মাংস কিনে আনাই ছিল। মামনি চটজলদি ফ্রাইড রাইস আর চিলি চিকেন বানিয়ে ফেলেছিল। মামি অনেক সাহায্য করে দিয়েছিল। অন্যদিকে আমরা ফটো তুলছিলাম। আমার ভাইপো ফটো তুলতে সচরাচর খুব ভালোবাসে না। তবে সেইদিন আমার সাথে অনেক ফটো তুলেছিল। আর মাঝে মাঝে বলছিল, "ও পিন কেক কাটা না?" কেক কাটার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহিত তো ওই ছিল। কেক কাটার আগেই বলা হয়ে গিয়েছিল যে কেকের উপরে যে চকলেট টা আছে সেটা ও খাবে। আসলে কিছুদিন আগেই ওর জন্মদিন ছিল। তবে সেইদিন ওর খুব শরীর খারাপ ছিল। তাই ভালোভাবে মজা করতে পারেনি। সেই জন্যই আমার জন্মদিনের দিন খুব খুশি ছিল।

1000335067.jpg

তবে এইভাবে সাজিয়ে জন্মদিন পালন করে আমি খুশি হলেও অনেকেই কিন্তু রাগ করেছিল। কেন রাগ করেছিল সেই গল্প না হয় আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করব। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

Sort:  
Loading...