**শুভ বিবাহবার্ষিকী- ননদের একসাথে পথচলার ২৪ বছর পূর্ন হলো"
![]()
|
|---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি খুব ভালো কেটেছে।
আমার দিনটি আজ একটু ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে, সে সম্পর্কে আমি আপনাদের সাথে পরবর্তী কোনো পোস্টে আলোচনা করবো। তবে আজকের পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো গতকালকের কিছু আনন্দের মুহূর্ত।
গতকাল অর্থাৎ ১৬ই ডিসেম্বর ছিলো আমার ননদের ২৪ তম বিবাহ বার্ষিকী। ননদের ও তার হাজবেন্ডের একসাথে পথ চলার ২৪ বছর পূর্তির দিনটি একটু অন্যরকম ভাবে সেলিব্রেট করার ইচ্ছা থাকলেও, বেশ কিছু কারণের জন্য তা হয়ে ওঠেনি।
![]() |
|---|
প্রথমত ননদের বড় ছেলে চাকরি সূত্রে এই মুহূর্তে ছত্রিশগড়ে রয়েছে। কয়েকদিন আগে সে বাড়িতে এসেছিলো, আবার কয়েকদিন বাদে বিশেষ কারণে ছুটিতে আসবে, তাই এই মুহূর্তে ছুটিতে আসতে পারেনি।
আর দ্বিতীয়ত আমার ননদের হাজবেন্ডের শরীরটা গত কয়েকদিন ধরেই খারাপ যাচ্ছে। তাই আলাদা করে তেমন আর কোনো আয়োজন করা হয়ে ওঠেনি। আমার নিজেরও গতকাল একাদশী ছিলো। তাই খাওয়া-দাওয়ার কোনো ব্যাপার ছিল না। তাই আলাদা করে রান্নাবান্নার কোনো আয়োজন ননদ করেনি।
যদিও ফোন করে বারবার যেতে বলেছিলো। তবে আমি বারণ করেছিলাম, অযথা কোনো রান্নাবান্নার ঝামেলা করতে হবে না। কারণ শুধু আমি আর শুভই যাবো ঠিক ছিলো। যে পরিমাণে ঠান্ডা পড়েছে তাতে শ্বশুর মশাই ও শাশুড়ি মা যাবে না এমনটাই জানিয়ে ছিলেন।
![]() |
|---|
আমি গেলেও কিছুই খাবো না। শুধুমাত্র শুভ খাওয়া-দাওয়া করবে। তার জন্য আলাদা করে রান্নার প্রয়োজন ছিলো না। কারণ বিরিয়ানি তার খুব পছন্দের একটা খাবার, সাথে ননদের ছোটো ছেলেরও। বিরিয়ানি হলেই খাওয়া দাওয়া শেষ। বাকি দাদা দিদি দুজনেই রাতে রুটি খায়। তাই আর রান্নার কোনো ঝামেলা ছিলো না।
সন্ধ্যার পর শুভ অফিস থেকে ফিরলে দুজনে মিলে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ঘরে থাকাকালীন ঠান্ডা অতটা বোঝা না গেলেও বাইরে বেরোলে, বিশেষ করে বাইকে বসলে অনেক বেশি ঠান্ডা লাগে।
![]() |
|---|
যাইহোক প্রথমেই পৌঁছে গেলাম একটা বিরিয়ানির দোকানে। সেখান থেকে শুভর জন্য এক প্লেট মটন বিরিয়ানি এবং ননদের ছোটো ছেলের জন্য একটা চিকেন বিরিয়ানি নিয়ে, চলে গেলাম রুটির দোকানে। সেখান থেকে আট পিস রুমালি রুটি নিয়ে নিয়েছিলাম। চিকেন কষা ননদ দুপুরেই রান্না করেছিলো, তাই রুটির সাথে আর আলাদা কোনো কিছু কিনতে হয়নি।
![]() |
|---|
এরপর সোজা পৌছালাম কেকের দোকানে। মিও আমোরে থেকে ছোট্ট একটা কেক নিয়ে পৌঁছে গেলাম ননদের বাড়িতে। ঠান্ডা লেগে ননদের হাজবেন্ডের অবস্থা এতোই খারাপ যে, পাশে বসে ওনার বলা কোনো কথাই শুনতে পাচ্ছিলাম না। গলার অবস্থা এতটাই খারাপ।
![]() |
|---|
বেশ কিছুদিন ধরে ঠান্ডা লেগে ছিলো। তবে গত দুদিন ধরে গলার স্বর একেবারেই শোনা যাচ্ছে না। যাইহোক ননদের বড় ছেলেকেও ভিডিও কল করলাম, যাতে ফোনের মধ্যে ওকে নিয়েই আমরা সেলিব্রেট করতে পারি। প্রযুক্তি যখন আমাদেরকে এই সুযোগ দিচ্ছে, তখন সুযোগ গুলো কাজে লাগানো উচিত।
![]() |
|---|
![]() |
|---|
খুব বেশি দেরি করিনি আমরা। ঠান্ডাও বাড়তে শুরু করেছিলো, তাই তাড়াতাড়ি সকলে মিলে কেক কেটে নিলাম। তারপর শুভ বিরিয়ানি খেয়ে নিলো। খাওয়া-দাওয়া শেষে আরও কিছুক্ষণ গল্প গুজব করে, তারপর আমরা বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
![]() |
|---|
আজ থেকে ২৪ বছর আগে আমার ননদ বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলো, তাই সেই সময়কার বিভিন্ন ঘটনার কথা শুনতে বেশ মজা লাগছিলো। পুরনো স্মৃতিগুলো সেই সময় খুব কঠিন মুহূর্ত হলেও, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কিন্তু তা বেশ উপভোগ্য একটা বিষয়।
যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে ২৪ বছরের পথ চলা একটা দীর্ঘ সময়। যেটা একে অপরের সঙ্গে পার করেছে দিদি ও দাদা। এমন ভাবেই ওনাদের পথচলা আরও সুদীর্ঘ হোক, এইটুকু প্রার্থনা। আপনারাও সকলে ওনাদের আশীর্বাদ করবেন।
কালকে রাতের কিছু আনন্দের মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমারও বেশ ভালো লাগছে। সকলে ভালো থাকবেন। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করে, আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি। শুভরাত্রি।









