"দিদির জন্মদিনের দ্বিতীয় পর্ব - কেক কাটার মুহূর্ত"
![]()
|
|---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা খুব ভালো কেটেছে।
গতকালকের পোস্টে আমার দিদির জন্মদিনের প্রথম পর্বের গল্প শেয়ার করেছিলাম। আজকের পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কেক কাটার মুহূর্ত। কেক নিয়ে বাড়ি আসার পর থেকেই তিতলি ও তাতান কেক কাটার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলো।
![]()
|
|---|
আসলে আমরা অপেক্ষা করছিলাম আমার একটা পিসির মেয়ের জন্য। দিদির বাড়ির কালীপুজোর দিন ও আসতে পারেনি ওর ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে। তাই পরবর্তীতে আমার সাথে যখন ওর কথা হয়েছিলো, তখন আমি ওকে জানিয়েছিলাম ডিসেম্বরে তিন তারিখে দিদির জন্মদিন। তাই ও বলেছিল ঐদিন দিদি বাড়িতে আসবে।
![]()
|
|---|
![]()
|
|---|
এদিন সকালেও আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল ওর সমস্ত কাজ গুছিয়ে দিদি বাড়ি পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। তাই ভাবছিলাম যে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি যাতে ও আসলে আমরা সকলে মিলে একসাথে কেক কাটতে পারি। তিতলি ও তাতানের জন্য বিষয়টা সারপ্রাইজ ছিলো, এই কারণে ওদেরকে অন্যান্য কাজে ব্যস্ত রেখে কেক কাটার সময়টাকে একটু পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম।
যাইহোক কিছুক্ষণের মধ্যে বোন চলে এসেছিলো। তিতলি আর তাতান ওকে দেখে পুরো অবাক হয়ে গিয়েছিলো। তারপর আর খুব বেশি দেরি না করে আমরা কেক কাটার আয়োজন শুরু করলাম।
![]()
|
|---|
![]()
|
|---|
দিদিকে বহুবার বললাম একটা শাড়ি পড়ার জন্য কিন্তু রাজি হলো না কিছুতেই। আসলে তেমন কোনো আয়োজন নয় নিজেদের মতো করে শুধু একটু কেক কাটা, তাই সেই ভাবেই আমরা সেলিব্রেশন শুরু করলাম।
তাতানের জন্মদিনে অনেক বেলুন আনা হয়েছিলো। সেখান থেকে কিছু বেলুন ঘরেই ছিলো। তেমন কিছু সাজানো হয়নি ঠিকই, তবু আমরা কয়েকটা বেলুন ফুলিয়ে নিয়েছিলাম, অন্তত যাতে জন্মদিন মনে হয়।
তাতন আসলে বেলুন খুব পছন্দ করে। বেলুন নিয়ে ও খেলতে ভালোবাসে, তাই যেকোনো অজুহাতেই বেলুন যদি ফোলানো যায়, তাহলে ও খুব খুশি হয়। যাইহোক অল্প কয়েকটা বেলুন ফুলিয়ে আমরা মোটামুটি কেক কাটা শুরু করলাম।
![]()
|
|---|
![]()
|
|---|
আপনাদের একটা বলতেই ভুলে গিয়েছিলাম, কেক নিয়ে ফেরার পথে সোনার দোকান থেকে আমরা দিদির জন্য গিফট নিয়ে নিয়েছিলাম। আসলে আগেই অর্ডার দেওয়া ছিলো। দাদা শুধু গিয়ে শাঁখা জোড়া নিয়ে এসেছিলো। এটা দিদিই পছন্দ করে গিয়েছিলো।
অফিসে গিয়ে প্রতিদিন ওকে শাঁখা খুলে ডিউটি করতে হয়। ফেরার পথে আবার শাঁখা পরে বাড়িতে ফেরে। তবে এই শাঁখাটা তৈরি করেছিলো কোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে যাওয়ার জন্য, যাতে সহজেই হাতে দিতে পারে।
![]()
|
|---|
যাইহোক এরপর সকলে মিলে কেক কাটলাম। কেক খাওয়া দাওয়া হলো। তারপর প্ল্যান হলো আমরা দিদিদের ওখানে যে নিরামিষ রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে রাতে ডিনার করতে যাবো। দিদি নিরামিষ খায়, তাই এমন একটা রেস্টুরেন্ট থাকায় বেশ সুবিধাই হয়েছে।
আমার বাবা সেখানে যেতে রাজি হয়নি। তাই দিদির বাড়িতে যিনি রান্না করেন, বাবার জন্য বাড়িতেই আলুর পরোটা করে দিয়েছিলেন। বাকি আমরা সকলে মিলে চলে গিয়েছিলাম ডিনার করতে।
রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিভাবে সময় কাটালাম এবং কি কি খেলাম, তার গল্প পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করবো। আজকের পোস্টে শুধু কেক কাটার মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
জন্মদিন সবার জন্যেই স্পেশাল। গত তিন বছর কারো জন্মদিনে তেমন ভাবে আনন্দ করে কাটানো হয়নি, শুধু দাদার শারীরিক অসুস্থতার কারণে। তবে ঈশ্বরের কৃপায় এ বছর তিনি সুস্থ আছেন, তাই নিজেদের মধ্যে ঘরোয়া ভাবে হলেও প্রতিটা মুহূর্ত আমরা সকলে খুব উপভোগ করেছি।
আপনারা সবাই দিদিকে আশীর্বাদ করবেন, যাতে এইরকম ভাবেই স্বামী সন্তানদেরকে নিয়ে ভালো থাকতে পারে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন।













Thank you for your support. 🙏