"Better life with steem//The Diary Game// 14 th December, 2025"// ছুটির দিন"
![]()
|
|---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। আমার দিনটিও আজ মোটামুটি ভালোই কাটলো।
প্রতিদিন নিয়ম মেনে সময় মতো ঘুম থেকে ওঠাটা আমার জন্য খুবই কষ্টকর। কারণ আজকাল যে পরিমাণে ঠান্ডা পরতে শুরু করেছে, তাতে সকালবেলা কম্বল থেকে বেরোনোই সবথেকে কঠিন কাজ।
অন্যান্য দিন শুভর অফিস থাকে, তাই আমাকে উঠতেই হয়। তবে রবিবার দিন আমি অনেকখানি দেরি করেই বিছানা ছাড়ি। আজও তার অন্যথা হয়নি। এরপর সারাদিন কিভাবে কেটেছে সেই গল্পই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এই পোস্টের মাধ্যমে।
|
|---|
![]()
|
|---|
যেহেতু অন্যান্য দিন নির্দিষ্ট সময়ে উঠতেই হয়, তাই না চাইতেও রবিবার দিন ওই সময় ঘুমটা ভেঙেই যায়। কিন্তু ওঠার কোনো ব্যস্ত ছিলো না, তাই আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লাম। আর এখন যেহেতু জানালা বন্ধ করা থাকে, তাই বাইরে কতটা বেলা হলো সেটাও বোঝা যায় না, যতক্ষণ না জানালা খোলা হয়।
![]()
|
|---|
পরেরবার শুভর ডাকে ঘুম ভাঙলো, ও কখন উঠে ফ্রেশ হয়ে নিয়েছে আমি কিছুই টের পাইনি। যাইহোক সে নিচে গিয়ে জল গরম করে ফ্লাক্সের ভরে নিয়ে আসার পাশাপাশি, নিজের জন্য একা কাপ কফিও করে এনেছে। আমি কফি খাই না তাই আমার জন্য আর করেনি। আমি রোজ সকালে গরম জল খাই। তাই ও কফিটা শেষ করতে করতে আমি উঠে, ফ্রেশ হয়ে, একটু গরম জল খেলাম।
বিছানা তুলে নিচে এসে ব্রেকফাস্ট তৈরি করবো ভেবেছিলাম। ব্রেকফাস্টে কি খাবে শুভকে সে কথা জিজ্ঞাসা করতেই জানালো, ও বাইরে যাচ্ছে পরোটা আনতে, তার সাথে চিকেনও নিয়ে আসবে, কারণ দুপুরে সে নাকি আজ গরম গরম চিকেন বিরিয়ানি খাবে।
শুনে মনে মনে একটু রাগই হলো, কারণ বিরিয়ানি রান্না করাটা আমার জন্য ভীষণ ঝামেলার একটা কাজ মনে হয়। তবে আমিও বাড়িতে তৈরি করা বিরিয়ানি ভালো খাই, আর আগামীকাল থেকে আমার আবার নিরামিষ খাওয়া শুরু হবে, যেহেতু পরশুদিন একাদশী রয়েছে, তাই খুব একটা ইচ্ছা না থাকলেও বারণ করলাম না।
![]()
|
|---|
যাইহোক এরপর আমি ছাদের গাছে ফোঁটা ফুল তুলে নিয়ে নিচে নামছিলাম, তখন দেখলাম আমাদের সিঁড়িতে পাপোষ এর উপরে একটা বিড়াল শুয়ে আছে। আমাদের ছাদের বেশ কিছু আছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে, যেই গাছগুলোর ছবি আমি আপনাদের সাথে আগের একটা পোস্টে শেয়ার করেছিলাম, যখন সবেমাত্র গাছগুলো লাগানো হয়েছিলো।
![]()
|
|---|
যাইহোক আমি নিচে এসে ঘরের কাজ শুরু করলাম, আর শুভ ততক্ষণ ব্রেকফাস্ট এবং চিকেন আনতে বাইরে গেলো। মিনিট দশকের মধ্যে ফিরে এলো। তারপর সকলে মিলে একসাথে ব্রেকফাস্ট করলাম। আজ এই বছরের প্রথম গুড়ের রসগোল্লা এলো বাড়িতে। আসলে রসগোল্লা শুধু নয়, কোন মিষ্টিই বাড়িতে খুব একটা আনা হয় না, যেহেতু শাশুড়ি মা ও শ্বশুরমশাই দুজনেরই সুগার রয়েছে। আসলে মিষ্টি ঘরে থাকলে দুজনেই একটু বেশিই খেতে চায়।
|
|---|
![]()
|
|---|
যেমনটা আপনারা সকলেই জানেন, শীতকালে কখন বেলা গরিয়ে যায় তা বোঝাই যায় না। আমি বিরিয়ানির সমস্ত কিছু তৈরি করতে শুরু করলাম। আর শাশুড়ি মা পাশের মুদির দোকান থেকে বিরিয়ানির চাল এনে দিলেন। অল্প করে রান্না করবো তাই আর বড় হাড়ি বসাইনি, একটা কড়াই এর মধ্যেই বসিয়ে দিয়েছিলাম।
ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরিয়ানির মাংসর থেকেও আলুটা খেতে বেশি ভালো লাগে। তাই বিরিয়ানির আলু যাতে খুব সুন্দর সেদ্ধ হয়, তার জন্য আমি একটু আলাদা পরিশ্রম করতেও পছন্দ করি। যাইহোক সমস্ত কিছু সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিয়ে, বিরিয়ানি রান্না শেষ করলাম। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় দুটো ছুঁই ছুঁই।
![]()
|
|---|
বিরিয়ানি দমে বসিয়ে দিয়ে চলে গেলাম স্নান করতে। তারপরে ঠাকুর পূজা সম্পূর্ন করে গীতা পাঠ করতে করতে আর একটু বেলা হয়ে গেলো। শুভ বাইরে গিয়েছিলো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। ফিরে এসে স্নান করতে করতে আমি শশুর মশাইকে খেতে দিয়ে দিলাম।
তারপর আমি, শুভ, ও শাশুড়ি মা খেতে বসলাম। শাশুড়ি মা বিরিয়ানির গন্ধ পছন্দ করেন না। তাই তিনি আমাদের সাথে ডাইনিং টেবিলে না বসে, নীচে বসেই নিজের খাওয়া সম্পন্ন করেছেন আজ। ওনার জন্য আলাদা করে ভাত, মাছ ও সব্জি রান্না হয়েছিলো।
|
|---|
![]()
|
|---|
শীতকালে দুপুরে খাওয়া দাওয়া সম্পন্ন করে শুতে শুতেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। আর গরম কম্বল থেকে বেরিয়ে এসে সন্ধ্যা পুজো দেওয়া বড়ই কষ্টকর। কিন্তু কিছুই করার নেই তাই সব কষ্টকে উপেক্ষা করে ঠাকুর পূজা দিয়ে, আবার কম্বলের ভিতরে ঢুকে বসলাম।
কি জানি কেন আজ সন্ধ্যা থেকে চিপস্ খেতে ইচ্ছে করছিলো। এর আগে এই চিপস্ খাওয়ার ইচ্ছা আমার কখনো হয়নি। তবে আজ ফোনের মধ্যে একটা রিলিস দেখতে দেখতে কি জানি কেন এই পার্টিকুলার রিংস এই খেতে ইচ্ছে করছিলো।
![]()
|
|---|
শুভকে বলাতে প্রথমে এনে দিতে রাজি হচ্ছিল না। কারণ এই চিপসটা খাওয়া নাকি একেবারেই ভালো না। তবে বাচ্চারা এর ভিতরে একটা খেলনা থাকে, সেই লোভেই এই চিপসটা খেয়ে থাকে। যদিও খেলনার প্রতি আমার কোনো আকর্ষণ ছিল না। কিন্তু চিপসটা আমার খেতে ইচ্ছে করছিলো।
![]()
|
|---|
বারবার বলাতে শুভ বেড়ানোর সময় আমাকে দুটো চিপস কিনে দিয়ে, ও আসলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গেলো। আমিও চিপসটা খাওয়া শেষ করলাম কিছুক্ষণ আগেই। তারপর ভাবলাম এবার নিজের পোস্ট লেখাটা শেষ করি।
এইভাবেই কেটেছে আজকের দিনটা। সবকিছু মিলিয়ে মোটামুটি ছুটির দিনটা বেশ উপভোগই করেছি। সেটা সকালে দেরিতে ঘুম থেকে কথা হোক, দুপুরে জমিয়ে বিরিয়ানি খাওয়া হোক, কিংবা সন্ধ্যায় চিপস খাওয়া হোক। মাঝে মাঝে এরকম একটা একটা দিন কাটলে ভালোই লাগে।
আগামীকাল থেকে আবার রুটিন মাফিক জীবন যাপন অর্থাৎ সকালের সেই ব্যস্ততা শুরু হয়ে যাবে। যাইহোক আশাকরি আপনাদের সকলের আজকের দিনটা খুব ভালো কেটেছে। সকলের সুস্থতা প্রার্থনা করে আজকের লেখা শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।












Thank you for your support @miftahulrizky. 🙏