"Better life with steem//The Diary Game// 21 th December, 2025"
![]()
|
|---|
Hello,
Everyone,
গতকাল থেকে মনে হচ্ছে এবার সত্যিকারের শীতকাল এসেছে। এর আগে যতটা ঠান্ডা পড়েছিলো, তার তুলনায় অনেকটা বেশি ঠান্ডা পরতে শুরু করেছে গতকাল থেকে। যাইহোক আশাকরি এই ঠান্ডার মধ্যে আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি খুব ভালো কেটেছে।
মাঝের কয়েকটা দিন বেশ ভালো কেটেছে আমার। আগের পোস্ট পড়ে আপনারা আশাকরি তার কারণ কিছুটা হলেও বুঝেছেন। আমার বান্ধবীরা ছিলো আমাদের বাড়িতে। তবে গতকাল ওরা চলে যাওয়ার পর আজকে সারাটা দিন বড্ড বেশি ফাঁকা ফাঁকা লেগেছে।
অনেকদিন বাদে নিজের খুব কাছের কিছু মানুষদের সাথে সাথে তিন চার দিন কাটালাম, যা খুব ভালো স্মৃতি হয়ে রইলো। ভিক্টোরিয়া দর্শনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অন্য একটা পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো বান্ধবীরা চলে যাওয়ার পরে আজকে সারাটা দিন আমরা কিভাবে কাটলো তার গল্প।
|
|---|
![]()
|
|---|
আজ রবিবার অর্থাৎ শুভর সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলতো দিনটা যে অনেকটা দেরিতেই শুরু হয়েছে এটা বলাই বাহুল্য। সকালে একবার ঘুম ভেঙেছিল ঠিকই, তবে বিছানা ছেড়েছি অনেকটা বেলা করে।
কিন্তু তখনও বাইরের আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছিলো যেন সকাল হয়নি। আসলে গতকাল থেকে আকাশের মুখ ভার হয়ে আছে। খবরে শুনতে পারছি নিম্নচাপ হয়েছে। ভেবেছিলাম আজ সারাদিনে রোদ্দুর উঠবে না।
![]()
|
|---|
যাইহোক সকালে উঠেই গরম জল খাওয়ার অভ্যাস হয়েছে। তাই দেরি না করে ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে গরম জল নিয়ে এলাম, আর সেই সাথে শুভর জন্য চা। আজকে ব্রেকফাস্ট ওর শাশুড়ি মা তৈরি করেছিলেন। তাই আমাকে আর আলাদা করে কষ্ট করতে হয়নি।
![]()
|
|---|
কিছুক্ষণ বাদে আমিও শুধু একসাথে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। গরম লুচির সাথে ছোলার ডাল, একেবারে জমে গেলো। এরপর শুভ আড্ডা দিতে গেলো বন্ধুদের সাথে।আর আমিও দেরি না করে ঘরের কাজ শুরু করলাম।
বান্ধবীরা প্রায় ছয় জন ছিলো আমাদের বাড়িতে, সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই শীতকালে এতো মানুষ থাকা মানে প্রচুর কাঁথা কম্বল ব্যবহৃত হয়েছে। তাই সেই সমস্ত কিছু আজ গোছগাছ করে রাখলাম।
ভেবেছিলাম বৃষ্টি হবে তাই আলাদা করে আর কোনো কিছু কাঁচার জন্য ভিজাই নি। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে একটু রোদ্দুরের দেখা পেয়ে, কয়েকটা জিনিস ধোয়ার জন্য ভিজিয়েই দিলাম।
|
|---|
![]()
|
|---|
ততক্ষণে দুপুর হয়ে গেছে, শাশুড়ি মা গিয়েছিলেন রান্নার দিকে। আর আমি কাঁচা ধোয়া কাজ সেরে স্নান করে গিয়েছিলাম পুজো দিতে। এই বছর প্রথমবার নতুন আলু তার সাথে মটরশুটি এনেছিলেন শাশুড়ি মা। তাই খুব ইচ্ছে হয়েছিলো নতুন আলুর দম খেতে। শাশুড়ি মাকে বলার সাথে সাথে তিনি আজ রান্না করেছিলেন। খেতে কিন্তু দারুণ হয়েছিলো।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিশ্রাম নিতে কম্বলের তলায় ঢুকে বসলাম, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা হয়ে গেলো।
|
|---|
ছাদে কিছু জামা কাপড় ছিলো, সেগুলো তুলে রেখে সন্ধ্যা দিয়ে নিলাম। গত দু-তিনদিন ধরে স্টিমিটে ঢুকতে মাঝে মধ্যেই সমস্যা হচ্ছে। সন্ধ্যেবেলাতেও তেমনই হচ্ছিলো। কষ্ট করে একটা দুটো পোস্ট ভেরিফাই করলাম।
![]()
|
|---|
একটু বাদে শুভ বেরোলো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। যথেষ্ট ঠান্ডা বাইরে, তৎসত্ত্বেও সাপ্তাহিক আড্ডাটা মিস করা যাবে না কিছুতেই। একটু বাদে বান্ধবী ফোন করলো কিছুক্ষণ কথা বললাম। তারপর আমার ম্যাগী খেতে ইচ্ছা করছিলো। তাই আমি যেভাবে চাউমিন রান্না করি, সেই রকম ভাবেই ম্যাগী তৈরি করলাম এবং একাই খেলাম।
|
|---|
![]()
|
|---|
![]()
|
|---|
শ্বশুরমশাই ও শশুর বাড়ির দুটো ওষুধ আনতে হতো, যার ছবিগুলো শুভকে পাঠিয়ে দিয়ে ওষুধ দুটো নিয়ে আসতে বললাম। তারপর কিছুক্ষণ ফোন দেখলাম। রাতের বেলা রুটি তৈরি করতে যাওয়ার কিছুক্ষন আগে শুভ ফোন করে জানালে ও আজ আর রুটি খাবে না। বন্ধুদের সাথে বাইরে থেকে রুটি তরকা খেয়ে আসছে। তাই শুধুমাত্র শ্বশুর মশাইয়ের জন্য রুটি করলাম।
ম্যাগী খাওয়ার কারণে আমার খুব একটা খিদে ছিলো না। তাই আমিও রাতে আর কিছু খেলাম না। বাকি কাজ গুছিয়ে রেখে পোস্ট লিখতে বসলাম। বাড়িতে ফিরে শুভ বললো বাইরে ভীষণ কুয়াশা। একটু দূরের কোনো কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
![]()
|
|---|
যাইহোক ফাইনালি সবকাজ সেরে উপরে ঘরে আসার সময় ছাদের দিকে চোখ পরতেই দেখলাম রাতের বেলায় ফুলগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছে। তাই আপনাদের জন্য একটা ছবি তুললাম, রাতে আমাদের ছাদ বাগান কেমন লাগে সেটা দেখার জন্য।
এভাবেই কেটেছে আজকের দিনটা। তবে হ্যাঁ সকল কাজের মধ্যেও বান্ধবীদের উপস্থিতি সত্যিই মিস করেছি। ওরা যে কয়েকদিন ছিলো, সন্ধ্যা বেলাতে দারুন আড্ডা দিয়েছিলাম আমরা সকলে। তবে ভালো সময় দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় না।
জীবনের প্রয়োজনে সকলকে নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে হয়। তবে সাথে কাটানো কিছু সময় রয়ে যায় স্মৃতি হয়েই। এই ভাবেই কেটেছে আমার দিনটি। ভালো থাকবেন সকলে। শুভ রাত্রি।











