বান্ধবীর পরিবারের‌‌ সাথে চিড়িয়াখানা দর্শনের সুন্দর কিছু মুহূর্ত"

in Incredible India4 days ago (edited)
IMG_20251219_100246.jpg

Hello,

Everyone,

আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে। আমার দিনটাও আজকে খুব ভালো কেটেছে, তবে দিনটা অনেক বেশি ক্লান্তিকর ছিলো।

কি কারনে এই‌ ক্লান্তি সেটাই আজ আপনাদের সাথে এই পোস্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করব।

দীর্ঘ প্রায় কয়েক মাস বাদে আজ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছি। আসলে গত পরশু আমার বান্ধবী তার হাজবেন্ড‌ ও বাচ্চাদেরকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসেছে। বাচ্চাদেরকে "কলকাতার চিড়িয়াখানা" ঘুরে দেখাবে বলে।

ওর শ্বশুরবাড়ি থেকে কলকাতা দূরত্ব এতোটাই যে, বাচ্চাদের নিয়ে এক দিনের মধ্যে বাড়ি থেকে সোজা কলকাতা ঘুরে দেখানো সম্ভব নয়। বাচ্চাদের স্কুলও এখন ছুটি, তাই এখনই আসার সময় পেয়েছে ও।

IMG_20251219_100327.jpg

তাছাড়াও ওর বর যেহেতু চাকরি-সুত্র দূরে থাকে, তাই সব সময় চাইলে আসতে পারেনা। গতকালই কলকাতা যাওয়ার কথা ছিলো, তবে বৃহস্পতিবার চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকে। তাছাড়া ওর ছেলে মেয়ের একটু ঠান্ডাও লেগেছিলো। সেই কারণে গতকাল আর বেরনো হয়নি।

তবে ঠিক হয়েছিলো আজ খুব সকালে উঠে আমরা বেরিয়ে যাবো, যাতে চিড়িয়াখানার পাশাপাশি ভিক্টোরিয়াটাও আমরা দেখে আসতে পারি।

চিড়িয়াখানায় এর পূর্বে আমি গিয়েছি ঠিকই, তবে ভিক্টোরিয়া দর্শন হলো আজ প্রথম। যাইহোক সকাল প্রায় সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে ওদেরকে ডেকে দিলাম। যাতে সকলে মিলে ফ্রেশ হলো, বাচ্চাদের তুলে রেডি করতে অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে যাবে ভেবেই আমরা অনেকটা আগেই উঠে পড়েছি।

সকলের জন্য চা করে আমিও তৈরি হয়ে চা খাওয়ার পর্ব শেষ করে সকলে মিলে বেরিয়ে পড়েছিলাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে। এতো কিছু বললাম ঠিকই, কিন্তু রিমির সাথে আপনাদের পরিচয় করানো হয়নি।

IMG_20251219_082944.jpg

কালিপূজোর সময়ও ওদের সাথে ঘোরার কথা কিন্তু আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক আজকের পোস্টের মাধ্যমে আরও একবার পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি, উপরের ছবিতে চশমা পরা অবস্থায় যাকে দেখতে পারছেন, সে‌ হলো আমার বান্ধবী রিমির, সাথে ওর ছেলেমেয়েরাও রয়েছে।

IMG_20251219_081608.jpg
IMG_20251219_083208.jpg

যাইহোক রিমির হাসবেন্ড আগেই স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিলো টিকিট কাটার জন্য। কারণ সকালের দিকে টিকিট‌ কাউন্টারে বেশ লম্বা লাইন থাকে। এরপর আমরাও সকলে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম স্টেশনের উদ্দেশ্য। সময়মতো ট্রেন ছেড়ে দিলো এবং আমরাও একটা একটা করে সমস্ত স্টেশন পার করে এবং শিয়ালদহ স্টেশন।

IMG_20251219_090654.jpg

বাচ্চাদের ততক্ষণে খিদে পেয়ে গিয়েছিলো। তাই শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বেরিয়ে বাইরের ছোট্ট একটা দোকান থেকে আমরা কচুরি খেয়ে নিলাম। ১০ টাকায় তিনটি করে কচুরি দিচ্ছিলো। কচুরি গুলোর সাইজ একেবারেই ছোটো ছোটো কিন্তু তারকারী সহযোগে খেতে বেশ ভালোই লাগছিলো।

জানি এটা স্বাস্থ্যকর নয়, কিন্তু সেই মুহূর্তে আমাদের কাছে সত্যি আর কোনো অপশন ছিলো না। তাই বাধ্য হয়ে খেতে হয়েছিলো। এরপর আমরা বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।

IMG_20251219_093720.jpg

কিছুক্ষণের মধ্যে বাস এলো এবং সেটাতে যথেষ্ট ভিড়েছিলো। তবে আমরা কিছুক্ষণের মধ্যেই বসার জায়গা পেয়ে গিয়েছিলাম। রিমিদের সাথে একটা বৌদি এবং তার বাচ্চা এসেছিলো। তাই রিমির দুটি বাচ্চা এবং ওই বাচ্চাটি বাসের মধ্যে এক জায়গায় বসে কলকাতা শহর দেখছিলো।

IMG_20251219_095118.jpg

ছোট্ট ছোট্ট মনে কত যে প্রশ্নের উদয় হয়েছিলো, তা আপনাদেরকে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। বাইরের সবকিছু দেখতে দেখতে, প্রায় কয়েকশত প্রশ্ন উত্তরের মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত হতে হতে আমরা পৌঁছে গেলাম ন্যাশনাল লাইব্রেরি।

এই লাইব্রেরি থেকে চিড়িয়াখানা খুব বেশি দূরে নয়, তাই কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছে গেলাম চিড়িয়াখানার টিকিট কাউন্টারের সামনে।

IMG_20251219_100535.jpg

আমরা সকলে এক জায়গাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। রিমির হাজবেন্ড গিয়ে টিকিট কেটে নিয়ে আসার পর, এক এক করে প্রবেশ করলাম আলিপুর চিড়িয়াখানায়।

আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শুধুমাত্র চিড়িয়াখানায় পৌঁছানোর গল্প শেয়ার করলাম। বাদবাকি গল্প গুলো পরবর্তী পোস্টটির জন্যই তোলা থাক। কারণ একসাথে লিখলে পোস্টটি অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই সকলের সুস্বাস্থ্য প্রার্থনা করে আজকের লেখা‌‌ এখান‌ই শেষ করলাম।‌ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।

Sort:  

IMG_20251129_162530.png

Curated By: lirvic

IMG_20251129_162530.png

Curated By: lirvic