Dessert made with gram flour! বেসনের লাড্ডু!

যারা ভারতের বাসিন্দা তাদের কাছে খুবই প্রসিদ্ধ এবং প্রচলিত এই মিষ্টি
আর যদি খুব নিদির্ষ্ট করে বলতে হয়, তাহলে কিছু রাজ্যের নাম উল্লেখ করতেই হবে, যেখানে সর্বাগ্রে রয়েছে, ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির (তিরুপতি) দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত নামকরা এই মন্দিরের প্রসাদ হিসেবে তৈরি করা হয় বেসনের লাড্ডু!
অনেকেই অবাক হতে পারেন, কারণ?
উত্তর লেখায় উল্লেখ করছি, ধৈর্য্য সহকারে পড়লেই পেয়ে যাবেন।
দেখুন, গণেশ চতুর্থীতেও এই লাড্ডু ব্যাপক প্রচলিত প্রসাদ হিসেবে তৈরি করা হয়!
তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি, লক্ষ্ণৌ (উত্তর প্রদেশ), সহ দিল্লি, অমৃতসর, এবং কলকাতা প্রায় সকল রাজ্যে এই লাড্ডু বেশ প্রসিদ্ধ।
বাজারে বেশ চড়া মূল্যে এই লাড্ডু বিক্রি হয়, তবে যদি কোনো নামকরা ভালো জায়গা থেকে কিনে থাকেন!
এবার মূল বিষয় উল্লেখ করা যাক, আপনাদের মধ্যে অনেকেই ইতিপূর্বে দেখেছেন, আমি বেসনের ব্যবহার চিলা তৈরিতে করে থাকি, গতকাল বাড়িতে থাকা বেসনের বেশিরভাগ চিলা তৈরিতে ব্যবহার করে ফেলার পর, আজ ওই ধরুন আধ কাপ মতন বেসন প্যাকেটে অবশিষ্ট ছিল!
![]() | ![]() |
|---|
যেহেতু আজকে বৃহস্পতি বার, ঘরের কাজের পাশাপশি, পুজো দেবার জন্য খানিক সময় বেশি প্রয়োজন, তাই সকালের কাজ সারতে সারতে মনে হলো, কেমন হয়, যদি অবশিষ্ট বেসন দিয়ে আজ ঠাকুরের জন্য বেসনের লাড্ডু ঘরেই তৈরি করা যায়?
যৎসামান্য সামগ্রীর প্রয়োজন পড়ে এই লাড্ডু তৈরি করতে, যেগুলো ঘরেই ছিল, কাজেই দেরি না করে লেগে পড়েছিলাম আজকে ঠাকুরকে দেবার জন্য বেসনের লাড্ডু তৈরি করতে।
কিছু মিষ্টি তৈরি করতে করতে ছবি তোলা বড্ডো কঠিন কারণ, এক্ নাগারে নাড়িয়ে যেতে হয়, দুটো হাত প্রয়োজন পড়ে মিষ্টি গড়তে, তবুও চেষ্টা করেছি, যতগুলো ছবি তোলা যায়!
তৈরির পদ্ধতিতে বিস্তারিত বিবরণ রইলো, আশাকরি আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হবে না।
উপকরণ | পরিমাপ |
|---|---|
ছোলার বেসন👉 | ১/২ কাপ |
| ঘি | ৩ টেবিল চামচ 👈 |
চিনির গুঁড়ো👉 | ২ টেবিল চামচ |
| হলুদ গুঁড়ো | এক্ চিমটি👈 |
এলাচ গুঁড়ো👉 | ১/৪ চা চামচ |

![]() | ![]() |
|---|
ঘি গলতে শুরু করলে, আঁচ কমিয়ে বেসন দিয়ে ভালো করে ভাজা শুরু করতে হবে, যতক্ষণ বেসনের কাঁচা গন্ধ উবে না যায়!
![]() | ![]() |
|---|

![]() | ![]() |
|---|

তৈরি এলাচ গুঁড়ো থাকলে সেটাই ব্যবহার করবেন।

![]() | ![]() |
|---|
![]() | ![]() |
|---|

এরপর লাড্ডুর আকারে গড়ে ফেলুন আর পরিবেশন করুন বাড়িতে থাকা ড্রাই ফ্রুটস, কাজু, কিংবা পাতলা আলমন্ড এর স্লাইস দিয়ে, আবার ঘরে সিলভার ভার্ক থাকলে সেটিও সৌর্ন্দয্য বৃদ্ধিতে ব্যবহার করতে পারেন।
যেহেতু আমার কাছে উপরিউক্ত কোনো কিছুই ছিল না, তাই কেবলমাত্র তৈরি করবার পদ্ধতি সহ নির্ভেজাল ছবি তুলে ধরলাম আপনাদের মাঝে।
চটজলদি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিন বাড়ির লোকজনদের, মিষ্টি ভালবাসেন এমন মানুষদের জন্য অনুষ্ঠানের প্রতীক্ষার প্রয়োজন পড়ে না, যেকোনো বাহানা যথেষ্ট! কি তাই তো? লেখা আর ছবি ভাগ করতে করতে জিভে জল এসে গেল, নাহ্! একটা খেয়েছি, আরেকটা খেয়ে আসি, পাঁচটা লাড্ডু হয়েছে সমস্ত উল্লেখিত উপকরণ দিয়ে!



















A sweet that is a sacred offering, so it becomes a way for us to be “purified” and blessed. Thank you for sharing the recipe. I sometimes enjoy dining at Indian restaurants here because I really enjoy the dishes (I admit, except for the excess of curry), and I will pay attention to see if the menu includes this sacred delicacy. Yes… I also love sweets! Definitely something to try. 😊Cheers :)
0.00 SBD,
5.37 STEEM,
5.37 SP
Thanks for stopping by :) I really appreciate the support :) Cheers :)