পুনরুত্থান! (Resuscitation/Vivification!)

আজকে লেখার শীর্ষক পড়ে অনেকেই নিজের মতো করে শব্দটির অভ্যন্তরীণ অর্থ অনুধাবনের প্রয়াস করতে পারেন, কারণ উপরিউক্ত শব্দটির ধর্মীয়, রূপক তথা চিকিৎসা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন অর্থ রয়েছে।
তবে, আজকে আমি পুনরুজ্জীবন এর সমার্থক শব্দ হিসেবে লেখার শীর্ষক নির্বাচন করেছি।
এবার প্রশ্ন হলো, এই শব্দটিকে ও একাধিক ভাবে প্রয়োগে আনা হয়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে!
শব্দটি যেমন একটি গুরুতর অসুস্থ মানুষের সুস্থ্য জীবন পাবার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়, তেমনি প্রকৃতির ক্ষেত্রেও শব্দটি প্রযোজ্য!
আর প্রকৃতির ক্ষেত্রে কিভাবে এই শব্দ ব্যবহৃত হয়?
আপনাদের মধ্যে যারা এখনো বাড়িতে বসবাস করেন, এবং বাড়িতে গাছ পালা রয়েছে, তারা মাঝেমধ্যেই গাছের ডালপালা কেটে দিয়ে থাকেন, এবং সময়ের সাথে দেখা যায়, সেই কেটে ফেলা ডালের অংশ থেকে পুনরায় নতুন ডালের আবির্ভাব ঘটেছে।

এটির জন্য গাছটি কোনো চিকিৎসকের সহায়তা পায়নি বটে, সে নিজের মধ্যে উর্জা কিংবা মনোবল দিয়ে নিজের শরীরের অংশকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছে।
মানুষের ক্ষেত্রে যে সহায়তা সহজলভ্য, প্রকৃতির ক্ষেত্রে একই সুবিধা উপলব্ধ নেই বটে, যদিও তাদের মধ্যে প্রাণের প্রবাহ মানুষের সমতুল্য বলে আমি মনে করি!
জীবনের অনেক শিক্ষা আমরা প্রকৃতির থেকে পেতে সক্ষম যদি শেখার সদিচ্ছা থাকে।
উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে যাবার সময় মানুষ যখন দিশেহারা হয়ে পরে কিভাবে নিজেদের পুনরুত্থান করবেন, ঠিক সেই সময় প্রকৃতি একটি আদর্শ উপমা হিসেবে হাজির হয়ে যায় সদাই!
শুধু প্রয়োজন নিজের দৃষ্টিভঙ্গি একটু আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে সরিয়ে প্রকৃতির সংঘর্ষ থেকে অনুপ্রেরণা নেবার।

![]() | ![]() |
|---|

বিগত, দু'দিন ধরে যুব সম্প্রদায়ের মানসিক পরিবর্তনের কথা মাথায় নিয়ে আজকের এই লেখা।
গতকাল একটি বাস্তব ঘটনা আমাকে ভিতর থেকে বেশ খানিক নাড়িয়ে দিয়ে গেছে!
সবসময় যেকোনো ঘটনা নিজের সাথে ঘটলেই সেটা গুরুত্ব পাবে এমনটি নয়, শিক্ষা যেকোনো বিষয়বস্তু কিংবা অন্যের জীবনের ঘটনা থেকেও পাওয়া সম্ভব।
ঘটনাটি একটি অসহায় বাবার, যার স্ত্রী খানিক মানসিক ভারসাম্যহীন!
একমাত্র পুত্র সন্তান, বাবার বেশ ভালো ব্যবসা রয়েছে, তবে সেটাই শেষ কথা নয়!
সন্তান রাত করে বাড়িতে প্রবেশ করায়, পিতা তাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন এবং সেই পুত্র সন্তান তৎক্ষণাৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়!
এরপর সেই রাতে বাড়ি ফেরে না, এবং পরের গোটা দিন অতিবাহিত হবার পরেও যখন সন্তান বাড়ি ফেরে না, যথারীতি পিতা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং অনেক চেষ্টা চরিত্রের পর অনেক দূরের একটি রেলস্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাটি আমাকে এটা ভাবতে বাধ্য করেছে, এই জেনারেশনের একাংশের সত্যি কি পুনরুত্থান সম্ভব?
আর এই অধঃপতনের জন্য এই টিন এজ কি একমাত্র দায়ী?
জন্মেই কোনো শিশু কিছু শেখে না, তারা শৈশব থেকে পাওয়া পারিবারিক পরিবেশ অনুকরণ করে, আর খানিক ভালবাসার নামে প্রশ্রয় পেয়ে এমন বৃক্ষ তৈরি হয়, যার অবাঞ্ছিত ডাল কেটে ফেললেও যেটি পুনরুত্থানের দ্বারা তৈরী হবে সেটি পূর্বের ন্যায় নির্গুণ সম্পন্ন হয়েই থাকবে।

![]() | ![]() |
|---|

আচ্ছা! অনেক ক্ষেত্রে বিবাহের সময় কুণ্ডলী দেখা হয়, তবে আজকাল আমি মনে করি যেটি সর্বাগ্রে দেখা আবশ্যক সেটি হলো মেডিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড!
অনেক মানসিক অবস্থা শিশুর মধ্যে আসে পিতা মাতার হাত ধরে, যেটিকে আমরা অনেকেই যাচাইকরণের প্রয়োজন বোধ করিনা!
যেদিন থেকে দুটি সম্পর্কের শুরুর বিষয়বস্তু সামান্য পরিবর্তিত হবে, খানিক পুনরুত্থান সম্ভব হলেও হয়তো হতে পারে!
উপরিউক্ত উদ্ধৃত বিষয়বস্তু সম্পর্কে অভিমত একান্তই নিজস্ব, তবে একটু মনোযোগ সহকারে ভেবে দেখবেন বিষয়টি!
ভালো থাকা এবং ভালো রাখার জন্য নিজের ভিতরের আগাছা পরিষ্কার সর্বাগ্রে প্রয়োজন বলে আমার ধারণা! আর আপনাদের?






Much appreciated your encouraging support!