জীবনের গল্প || উপদেশের যথার্থতা থাকা উচিত
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি মানে আগের তুলনায় এখন বেশ ভালো আছি। আমরা একটা বিশেষ নিয়ম আছে, যখন ক্রমাগত এক জাতীয় ঔষধ খেয়ে খুব একটা ভালো ফলাফল পাই না তখন রাগ করে সব ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দেই হি হি হি। গত দুইদিন ধরে সব ঔষধ বন্ধ রাখছি, না না না এই নিয়মে আবার আপনারা যাইয়েন না তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু আমরা অনুমান করতে পারি, কোন ঔষধটা কাজ করছে আর কোনটা করছে না।
তবে হ্যা, কাংখিত বিষয়ে অভিজ্ঞতা না থাকলে সেটা সকল ক্ষেত্রে এক্সপেরিমেন্ট করা ঠিক না। আন্দাজে ঢিল মারলে মাঝে মধ্যে হয়তো কাজে লেগে যায় কিন্তু সেটা সব সময় হয় না, তাই সকল ক্ষেত্রে রিস্ক না নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে আমরা যারা পেকে গেছি তাদের বিষয়টি কিন্তু আলাদা হি হি হি। আমার অফিসের এক বস ছিলেন যিনি যে কোন রোগের বিষয়ে লম্বা চওড়া লেকচার দেয়া শুরু করে দিতেন। শুধু জানতে পারলেই হলো যে আপনি অমুক অমুক সমস্যায় ভোগতেছেন, ব্যস আর যাবেন কোথায় আপনাকে বসিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে লেকচার দিতে থাকবেন।
অবশ্য ওনার একটা সুন্দর দাবীও ছিলো সেটা হলো পুরাতন রোগী মানেই একজন বিশেষ ডাক্তার, শুধু বিশেষ ডাক্তার নয় বরং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তার। তাই উপদেশ দেয়া বা লেকচার দেয়া তার একটা বিশেষ অধিকার বলে উনি মনে করতেন, হি হি হি। আমি প্রায় তার কাছে ধরা খেতাম, কারণ ঐ যে আমার সমস্যা বেশী ছিলো, তাই উনার লেকচারের ক্লাসও আমাকে বেশী করতে হয়েছিলো। তবে বেঁচে গিয়েছিলাম তার অধীনে খুব বেশী চাকুরী করতে হয়নি বলে। না হলে হয়তো আমি নিজেও একটা লেকচারার হয়ে যেতাম, হি হি হি। মানে গাইতে গাইতে গায়কের মতো অবস্থা হয়ে যেতো।
যাইহোক, আমাদের সমাজে এই বিষয়টির উপস্থিতি খুব বেশী, আমরা কিছু জানি আর না জানি কাউকে সুযোগ পেলে উপদেশ দিতে দেরী করি না, এই বিষয়ে আমরা সবথেকে সেরা জাতি বলতে পারেন। জীবনে অনেক ধরণের সুযোগ আমরা মিস করি, সেটা নিয়ে কখনো খুব বেশী আফসোসও করি না, যতটা আফসোস করি কাউকে যদি সুযোগ পেয়ে সঠিকভাবে উপদেশ দিতে না পারি। আর উপদেশ দিতে পারলে আমাদের অনেক বেশী সুখী হওয়ার একটা অনুভূতি তৈরী হয়ে যায়। আবার এমনও অনেক ক্ষেত্রে হয়েছে যে, উপদেশ মানতে গিয়ে কারো কারো বারোটা বেজে গিয়েছে।
ক্ষতি হোক বা লাভ হোক সেটা নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা নেই, বরং উপদেশ দিতে হবে সেটা মানুক বা না মানুক এটা নিয়ে আমাদের চিন্তার অন্ত নেই। তবে কথা হলো, উপদেশ দিতেই হবে সেটা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে বরং সেটা কাজে লাগবে কিনা সেটা নিয়ে বেশী চিন্তিত হওয়া উচিত আমাদের। যেটায় কোন উপকার হবে না সেটা নিয়ে অস্থিরতা প্রকাশ না করাই ভালো। উপকার করতে না পারি অন্তত অন্যের যেন আমার দ্বারা কোন ক্ষতি না হয় সেই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত, উপদেশ বা লেকচার দেয়ার আগে সেটাও মাথায় রাখা উচিত আমাদের।
Image Taken From Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Sort: Trending
Loading...




