জাম্বুরা খাওয়ার অনুভূতি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। এখন জাম্বুরা বা বাদাম পাকার সময়। আমাদের দেশে অন্যান্য ফলগুলোর মধ্যে জাম্বুরা অন্যতম। আর সেই ফল কিছুদিন আগে আমার কপালে জুটেছিল খাওয়ার। জাম্বুরা খাওয়ার সেই অনুভূতিটা আজকে আমি আপনাদের মাঝে ব্যক্ত করব।।
আমাদের বাড়িতে দুইটা জাম্বুরা গাছ রয়েছে কিন্তু সেই গাছগুলো এত ছোট এখনো জাম্বুরা ফল ধরা শুরু হয়নি। কয়েকদিন আগে আমার এক আত্মীয় আমাদের তিনটা জাম্বুরা দিয়েছিলেন। এই ফলটা আমি খুবই পছন্দ করি। তাই পরিবারের সাথে আনন্দে খাওয়ার জন্য আমি নিজেই বসে গেলাম খুব সুন্দর ভাবে খোসা ছাড়িয়ে সবার মাঝে পরিবেশন করার জন্য। লবণ দিয়ে মাখিয়ে খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই প্রথমে প্রস্তুতি নিয়েই একটি প্লেট ও ছুরি নিয়ে বসে পড়লাম ফলটা কাটার জন্য।
খুব সাবধানতার সাথে আমি জাম্বুরার উপরের অংশের খোসা কেটে নিলাম। এরপর নিচের অংশের খোসা কেটে নিলাম। জাম্বুরা চাইপাশের খোশাগুলো ছুরি দিয়ে ফালি ফালি করে ছাড়িয়ে নিলাম। এরপর জাম্বুরার চারিপাশের খোসা গুলো বিনিয়ে দিলাম। মহান সৃষ্টিকর্তার কি সুন্দর সৃষ্টি দেখে বোঝা যাচ্ছে। উপরের অংশ ঘন সবুজ তার ভেতরে সাদা অংশ। তার নিচে সাদা আবরণ দিয়ে ঘেরা। এরপর রয়েছে জাম্বুরার দানাদার অংশ ও বিচি। সৃষ্টিকর্তা আমাদের খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ফল বিভিন্নভাবে সৃষ্টি করেছে। আসলে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে ভাবলেই বুঝা যায় কতটা প্রটেকশন রেখেই এ সমস্ত ফলগুলো হয়ে থাকে। তবে খোসা ছাড়ানোর সময় একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়, খোশার গায়ের কস চোখে পড়লে প্রচন্ড জ্বলে। এরপর সাবধানতার সাথে এক পিস এক পিস করে খোসা উঠিয়ে ফেললাম।
বাদামের গায়ের খোসা উঠিয়ে ফেলা হয়ে গেলে, ভিতরের অংশের ফোম জাতীয় সাদা অংশ গুলো লেগে থাকে পাতলা আবরণের সাথে,সেগুলো হালকা করে টান দিয়ে তুলে ফেললাম। জাম্বুরার লাল কালার দেখে বেশ ভালো লাগছিল। তাই মনোযোগ সহকারে ফটোটা ধারণ করেছিলাম। দেখে যেন মন ছুয়ে যাওয়ার মত এক অন্যরকম অনুভূতি। এরপর বাদামটাকে নিজ হাতে দুই ফালি করে নিলাম। আমরা জানি বাদামের অনেকগুলো অংশ বা কুয়া হয়ে থাকে। আর মাঝখান দিয়ে একটু ফাঁকা অংশ থাকে। থাকা অংশে চাপ দিয়ে দুই দিকে টান দিলেই যে কোন কুয়া থেকে আলাদা হয়ে যায়।
এরপর ভেতরের খোসার উপর থেকে বাদামের দানাদার অংশ ছড়াতে থাকলাম এবং প্লেটে রাখতে থাকলাম। এভাবেই বাদামের বিচিগুলো আলাদা করতে থাকলাম এবং দানাদার খাবারের অংশগুলো আলাদা করতে থাকলাম। কিছুটা সময় ধরে আমি এভাবে আলাদা আলাদা করে নিয়ে জানাজার অংশ প্লেটে রেখে তা লবণ দিয়ে মাখিয়ে ফেললাম। এরপর পরিবারের বেশ কয়েকজন মিলে মজা করে খেলাম। এই বাদাম বা জাম্বুর বেশ মজার এবং স্বাদের। আমরা জানি পরিপূর্ণ না পেকে গেলে অনেক জাম্বুরা তিতা লাগে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এই জাম্বুরাটা মোটেও তিতা ছিল না। খেতে বেশ সুমিষ্ট ছিল। আর এভাবে আমরা আমাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | জাম্বুরা খাবার অনুভূতি |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
জাম্বুরা খেতে আপনি পছন্দ করেন জেনে খুবই ভালো লাগলো আপু। আমারও জাম্বুরা খেতে খুবই ভালো লাগে। জাম্বুরা গুলো যদিও ভালোভাবে পরিপূর্ণ হয়নি তবুও খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল এটা জেনে ভালো লাগলো। জাম্বুরা খাওয়ার দারুন কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপু। আপনার শেয়ার করা মুহূর্তগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
সৃষ্টিকর্তা এই দুনিয়াতে বিভিন্ন ধরনের ফল সৃষ্টি করে দিয়েছেন খাওয়ার জন্য। প্রতিটি ফলের আলাদা আলাদা স্বাদ রয়েছে। আপনি জাম্বুরা মাখা খেলেন বেশ ভালো লাগলো দেখে। তবে লোভ সামলানো যাচ্ছে না দেখে। এই সিজনে জাম্বুরা মাখা খেতে খুব ভালো লাগে।
আমারও খুব ভালো লাগে
জাম্বুরাকে আমরা এপার বাংলায় বাতাবি লেবু বলে থাকি। ব্লক দিতে আপনি জাম্বুরা সম্পর্কে এত সুন্দর নিখুঁত বিবরণ দিয়েছেন যে জীবনেও জাম্বুরা দেখেনি সেও বুঝে যাবে জাম্বুরা আসলে কেমন হয়। ভালো লাগলো পড়ে বলা বাহুল্য মজাই লাগলো ।
খুশি হলাম আপনার মতামত দেখে
জম্বুরার সিজন চলছে আর এই সময় জাম্বুরা অনেক মজা হয় খেতে।আমার জাম্বুরা মাখা ভীষণ পছন্দের। জম্বুরাটি মনে হচ্ছে অনেক মজা ছিলো খেতে কারণ লাল টসটসে জম্বুরার দানা গুলো।এরকম জাম্বুরা টক কম মিষ্টি বেশি হয়ে থাকে।বেশ ভালো লাগলো আপনার জাম্বুরা খাওয়ার অনুভূতি পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
অনেক সাধের ছিলো এটা।