লাইফস্টাইল পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে সুলতান ডাইন রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই মাসের ৫ তারিখে ওয়াইফকে নিয়ে সুলতান ডাইন রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করতে গিয়েছিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আসলে আগে প্রায়ই আমার ওয়াইফকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যেতাম খাওয়া দাওয়া করতে। কিন্তু এখন আমার ওয়াইফ প্রেগন্যান্ট বলে,রেস্টুরেন্টে তেমন একটা যেতে চায় না। তবে প্রতি মাসে একবার ডক্টরের কাছে আমাদের যাওয়া হয় রেগুলার চেক-আপ করার জন্য। আর প্রতিবারই ডক্টর দেখিয়ে, ওয়াইফকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার চেষ্টা করি। যদিও সে মাঝেমধ্যে যেতে চায় না। তবে আমি জোর করেই নিয়ে যাই। যাইহোক সেদিন আমরা বাসা থেকে বের হয়েছিলাম বেলা ১১ টার দিকে।
কোলাজ মেকার অ্যাপ দিয়ে কোলাজ করা হয়েছে
তো প্রথমে এনোমালি স্ক্যান করে, রিপোর্টের জন্য প্রায় ৩০ মিনিট বসে থাকলাম। তারপর রিপোর্ট নিয়ে ডক্টর দেখাতে ৯ তলায় চলে গেলাম। যেহেতু সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফোন করে সিরিয়াল দিয়ে রেখেছিলাম। তাই মোটামুটি অল্প সময়ের মধ্যেই ডক্টর দেখাতে সক্ষম হয়েছিলাম। তবুও ডক্টর দেখাতে দেখাতে দুপুর প্রায় ২টা বেজে যায়। আর তখন এমনিতেই ক্ষুধা পেয়েছিল আমাদের। তাই ভাবলাম আগে লাঞ্চ করে, তারপর এক মাসের মেডিসিন কিনে বাসায় চলে যাবো। তো পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের হয়ে, ৫ মিনিট হেঁটে সুলতান ডাইন রেস্টুরেন্টের সামনে পৌঁছে গেলাম। সুলতান ডাইন রেস্টুরেন্ট দোতলায় অবস্থিত। তাই আমরা লিফট ব্যবহার না করে,সিঁড়ি দিয়েই উপরে উঠে গেলাম। তবে সুলতান ডাইন রেস্টুরেন্টে ঢুকেই তো দেখি প্রচুর ভিড়। অর্থাৎ কোনো টেবিল খালি নেই।
আমাদের নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া তে সুলতান ডাইন এবং কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাঞ্চের সময় সবসময়ই প্রচুর ভিড় থাকে। তো ৪/৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর একটা টেবিল খালি হলো। তারপর আমরা দু'জন বসলাম। এরমধ্যে দেখলাম আরেকটা কাপল দাঁড়িয়ে আছে টেবিল খালি নেই বলে। তারপর ওয়েটার আমাকে জিজ্ঞেস করলো টেবিল শেয়ার করতে আমাদের কোনো সমস্যা আছে নাকি। আমি বললাম কোনো সমস্যা নেই। তারপর সেই কাপল আমাদের টেবিলে অর্থাৎ আমাদের অপজিট পাশে বসে পড়লো। যেহেতু টেবিলটা বড় ছিলো, তাই তেমন কোনো সমস্যা হয়নি আমাদের। যাইহোক আমরা মেন্যু কার্ড দেখে খাবার অর্ডার দিলাম। যেহেতু আমার ওয়াইফ খুব কম খায়,তাই বড় একটি প্ল্যাটার অর্ডার দিলাম। যার মধ্যে রয়েছে কাচ্চি,১ টা চিকেন রোস্ট এবং ১ গ্লাস বোরহানি। এই প্ল্যাটারের দাম হচ্ছে ৬৯৯ টাকা। তাছাড়া এক্সট্রা এক গ্লাস বোরহানি অর্ডার করলাম।
তো অল্প কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর টেবিলে খাবার চলে আসলো। দেখলাম যে কাচ্চির পরিমাণ বেশ ভালোই। তো আমার ওয়াইফ খাসির মাংস তেমন পছন্দ করে বা বলে,সে কাচ্চির রাইস এবং চিকেন রোস্ট খেলো। আর আমি কাচ্চির সাথে থাকা ৪ পিস খাসির মাংস নিলাম। খাসির মাংস বেশ ভালোই সফট হয়েছিল। তাই খেতে দারুণ লেগেছিল। তাছাড়া কাচ্চির পরিমাণ বেশ ভালো ছিলো। আমরা মোটামুটি অল্প সময়ের মধ্যেই খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। তারপর বিল মিটিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেলাম। খাবারের স্বাদ এককথায় দুর্দান্ত ছিলো। ৫% ভ্যাট সহ মোট বিল এসেছিল ৮০৭ টাকা। তারপর আমরা ফার্মেসী তে গিয়ে এক মাসের মেডিসিন কিনে বাসায় চলে এসেছিলাম। সেদিন সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২৩.১.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
ওয়াইফের ডাক্তার দেখানো শেষ করে আপনারা দুপুরে সুলতান ডাইনে লাঞ্চ করেছেন। আগে থেকে সিরিয়াল দিয়ে রেখেছিলেন জন্য তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখানো হয়ে গিয়েছে। ওয়াইফের সাথে সুলতানা লাঞ্চ করার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন পড়ে ভালো লাগলো। দারুন একটি পোস্ট সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু কমেন্টের তৃতীয় লাইনে সুলতান বানানটা ঠিক করে নিবেন। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাঝেমধ্যে এভাবে বাহিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি অনেক ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো ছিল। এত সুন্দর একটা মুহূর্ত সবার মাঝে ভোগ করে নিয়েছেন দেখে অসম্ভব ভালো লাগলো।
মাঝেমধ্যে বাহিরে খাওয়া দাওয়া করতে আসলেই খুব ভালো লাগে। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাবিকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরে আবার আপনাদের নারায়ণগঞ্জের সুলতান ডাইনে খেতে গিয়েছিলেন। অনেক রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে কাপলদের জন্য বলা চলে সিরিয়াল দিতে হয় সেখানেও তো তাহলে একই অবস্থা। যাই হোক আপনার কাটানো সুন্দর সময়টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাদের নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া তে অবস্থিত প্রায় প্রতিটি রেস্টুরেন্টে লাঞ্চের সময় প্রচুর ভিড় হয় ভাই। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
সবাই চায় নিজের প্রিয় মানুষটাকে সাথে নিয়ে বাইরে কোথাও ঘোরাঘুরি করে খাওয়া দাওয়া করি। এরমধ্যে দিয়ে অনেক মহব্বত সৃষ্টি হয়। ঠিক তেমনি আপনাদের খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত অনেক সুন্দর রেস্টুরেন্টে। বেশ ভালো লাগলো, সুন্দর এই পোস্ট দেখে।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা আপু। লাইফস্টাইল পোস্টটি দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে মাঝে মাঝে পরিবারকে নিয়ে বাইরে রেস্টুরেন্ট খেতে গেলে খুব ভালো লাগে। খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত বেশ সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন। রেস্টুরেন্টের পরিবেশ খুবই সুন্দর দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খাওয়ার লোভ লেগে গেলো। ওয়াইফকে নিয়ে সুলতান ডাইন রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাই।
হ্যাঁ ভাই আমরা সেখানে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলাম। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাচ্চি ডাইনের কাচ্চি টেস্ট করা হয়েছে বেশ কয়েকবার তবে সুলতান ডাইনের কাচ্চি এখনো টেস্ট করা হয়নি। আমাদের গাজীপুরে কিছুদিন আগে সুলতান ডাইন ওপেন হয়েছে। প্ল্যান আছে একদিন সেখানে যাওয়ার। যাইহোক, ভাবিকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন পরে লাঞ্চ করেছেন সুলতান ডাইনে। খাবারটা খুব লোভনীয় লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
সুলতান ডাইনের কাচ্চির স্বাদ জাস্ট অসাধারণ। অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন আপু। এভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
খাবারের ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পেরেছি একটা সুলতান লাইনের খাবার। কারণ আমিও মাঝে মাঝে আচ্ছা ভাই আর সুলতান লাইনে গিয়ে থাকি। ওয়াইফকে নিয়ে সুলতান ডাইন রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করে দারুন অনুভূতি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ।
ভাই কমেন্টের মধ্যে বানান ভুল রয়েছে। আশা করি ঠিক করে নিবেন। সুলতান ডাইনের খাবার আসলেই খুব সুস্বাদু। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।