নবীনবরণঃ ইইই ৩৯ তম ব্যাচ,ডুয়েট!
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি সুস্থ্য থাকলে সবকিছু আপনার কাছে ভালো লাগবে। ত দেখতে দেখতে আরও একটি বছর প্রায় শেষ হতে চললো। কেমনকরে যেন বছরটা শেষ হয়ে গেল! আর মাত্র একটা মাস বাকি। তারপর ক্যালেন্ডার পরিবর্তন। জীবন থেকে আরও একটি বছর হারিয়ে যাবে। আসলে জীবনটাই এমন। আমরা নতুনকে সাদরে গ্রহণ করে তারপর পুরাতনকে ভুলে যায়। তো জীবনের নতুন কিছু, নতুন অনুভূতি সবসময় অন্যরকমের কাজ করে! ঠিক ১১ মাস আগে ২০২৫ সালটা আমাদের কাছে একদম নতুন মনে হয়েছিল। আর এখন পুরাতন। ঠিক একবছর আগে জীবনের নতুন একটি অধ্যায় শুরু করেছিলাম। সেটা হলো ভার্সিটিতে পদার্পন! তখন অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করেছিল। যখন ভার্সিটিতে আসি সবকিছুই কেমন যেন অচেনা মনে হতো।
আর এখন ভার্সিটিটা কতো আপন হয়ে গেছে। ভার্সিটি বন্ধ থাকলেও ভালো লাগে না এখন। আপনি যখন একটা কাজে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন তখন দেখবেন হঠাৎ করে সে কাজটি না করলে আপনার কাছে আর ভালো লাগবে না। তো ভার্সিটিটা এখন আমার কাছে পুরাতন হলেও নবীন যারা এসেছে তাদের কাছে একদম নতুন। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ইইই-৩৮ তম ব্যাচ ডুয়েটের নতুনদের সাদরে বরণ করে নেই। ভার্সিটি লাইফটা আসলে স্কুল কলেজের মতো না। আপনাকে একটু আলাদা হতে হবে সবার থেকে। আর ইঞ্জিনিয়ারিং পাবলিক এর চিত্র টোটালি আলাদা। তো আমাদের ডুয়েট ক্যাম্পাস মাদক ও রাজনীতি মুক্ত! এ বিষয়টা শুরু থেকেই বেশ আকর্ষণ করেছিল আমাকে। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ক্যাম্পাসে টোটালি রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি ক্যাম্পাসের ভিতরে মাদক সেবন করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি ক্যাম্পাসে ধর্মীয় চর্চারও ব্যবস্থা রয়েছে। মুসলমানদের জন্য রয়েছ মসজিদ এবং হিন্দু যারা তাদের জন্য রয়েছে মন্দির! মোটামোটি নীতি নৈতিকতার দিক দিয়ে ডুয়েট বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক ইউনিভার্সিটি থেকে আলাদা। পাবলিক ভার্সিটিতে সাধারণত রেগিং এর একটা বিষয় খেয়াল করা যায়। আমাদের ক্যাম্পাসে সেটা টোটালি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা যখন ক্যাম্পাসে এসেছিলাম তখন রেগিং এর স্বীকার হয়নি তাই আমরা আমাদের জুনিয়রদেরও যেন কেউ রেগিং দিতে না পারে এবং কেউ যদি দেয়ার চেষ্টাও করে তাহলে আমরা সবাই একত্রে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো ! তো ডুয়েট হলো বাংলাদেশের সকল ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের ক্যাম্পাস। হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতিবছর এখানে পরীক্ষা দিয়ে চান্স পায়। তো আগের বছর আমাদের সিনিয়র ভাইরা আমাদের বরণ করে নিয়েছিল। এজন্য আমরা এবার আমাদের জুনিয়রদের বরণ করে নিলাম!
শুরুতেই আমরা দুজন সিআর কে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছিলাম। আমাদের ভার্সিটিতে সি আর অর্থাৎ ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ সেই দুজনই হয় যাদের রেজাল্ট এর মার্কস সবার থেকে বেশি থাকে। এভাবেই মূলত প্রতি সেমিস্টারে সি আর সিলেক্ট করা হয়। তো তারা যেহেতু ক্যাম্পাসের সবচেয়ে জুনিয়র! ক্যাম্পাসের অনেক বিষয় হয়তো জানে না সে বিষয়গুলো আমরা তাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছিলাম। এবং ভার্সিটিতে আমরা ইইই হলো একটি পরিবারের মতো। পরিবারের কারো যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার কথা বলা হয়! পরিবারের বিপদে সবাই সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে! যেহেতু টি ব্রেকে অনুষ্ঠানটি হয়েছিল এজন্য বেশি কথা বলা হয়নি! তাদেরকে আমরা বরণ করে নিলাম ফুলের মাধ্যমে। দীর্ঘ চার বছরের জার্নিতে আশা করি তাদেরকে নিয়ে ক্যাম্পাসটাকে সুন্দর রাখতে পারবো।
| Device | Samsung S20 |
|---|---|
| Photographer | @haideremtiaz |
| Location | DUET, Gazipur |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।



.jpg)
.jpg)

