ছাদের করিলা গাছের প্রকৃতির স্পর্শে একটুকরো প্রশান্তির বেশকয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি ।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে দীর্ঘ কয়েক মাস আগে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে ছাদের করলা গাছের প্রকৃতির স্পর্শে একটুকরো প্রশান্তির অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমাদের ব্যস্ত শহুরে জীবনে একটু সবুজের ছোঁয়া পাওয়া যেন এক স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো।ছাদে সবজি চাষ করলে শুধু সতেজ শাকসবজি পাওয়া যায় না, বরং প্রকৃতির সাথে একটি বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমাদের ছাদে একটি করিলা গাছ রোপণ করেছিলাম।সকাল ১১টার দিকে ছাদে উঠলাম, উদ্দেশ্য ছিল একটু নিরিবিলিতে সময় কাটানো। কিন্তু চোখ পড়তেই মন ভালো হয়ে গেল,করিলা গাছে ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন হলুদ ফুল, আর কয়েকটি ছোট্ট করিলা লতা গুলোর মাঝে লুকিয়ে আছে ছোট ছোট করিলা । এই টবের করিলা গাছ যেন ছাদের এক টুকরো প্রাণ, ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে, নিজের মতো করে ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।

শহুরে জীবনে মাটির টান অনুভব করতে গেলে টবই ভরসা। এই করিলা গাছটি ও বেড়ে উঠেছে আমাদের ভালোবাসায়। মাচার বাঁশের ফ্রেম ধরে তার লতা গুলো আলতো করে জড়িয়ে ধরেছে, যেন প্রকৃতির সাথে এক অন্তরঙ্গ বন্ধন তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন সকালে নতুন পাতা মেলে ধরে, বিকেলের হালকা বাতাসে দুলে ওঠে একটা ছন্দময় জীবনের স্পন্দন যেন অনুভব করা যায় এই গাছের প্রতিটি কণা থেকে।

করিলার ফুল দেখতে সাধারণ হলেও, এতে লুকিয়ে থাকে অনন্য সৌন্দর্য। সূর্যের আলো যখন পাতার ফাঁক দিয়ে পড়ে, তখন হলুদ ফুলগুলো যেন প্রকৃতির এক মৃদু হাসি হয়ে ওঠে। ফুলের মাঝখানে ছোট্ট সবুজ কুঁড়ি ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে করলায়। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই এগুলো বড় হবে, রান্নার জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠবে ,প্রকৃতির এই রূপান্তর সত্যিই বিস্ময়কর।

ছাদের বাগানে শুধু শখ নয়, একধরনের আত্মতৃপ্তি।করিলা গাছ শুধু শাকসবজি উৎপাদনের জন্য নয়, এটি একধরনের মানসিক প্রশান্তি ও দিচ্ছে। প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়ে ওঠা দেখতে পাওয়া, নিজ হাতে পরিচর্যা করা , এ যেন এক আত্মতৃপ্তির অনুভূতি। বাজারের কীটনাশক যুক্ত সবজি থেকে মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি, নিজের চাষ করা সবজির স্বাদও হয় অন্যরকম।

ছাদে করিলা চাষের পাশাপাশি আরও কিছু শাকসবজি ও ফলগাছ লাগানো হয়েছে। ছাদে সবুজের পরশ থাকলে পরিবেশ যেমন সুন্দর লাগে, তেমনি বিশুদ্ধ বাতাসও পাওয়া যায়। শহরের বাসিন্দাদের জন্য ছাদ বাগান একটি চমৎকার সমাধান হতে পারে, যেখানে নিজেরাই স্বাস্থ্যকর ও বিষমুক্ত শাকসবজি উৎপাদন করতে পারেন।

করিলার এই ছোট্ট গাছটি যেন একটা বার্তা দেয় , যতই ব্যস্ততা থাকুক, একটু যত্ন দিলেই প্রকৃতি প্রতিদান দিতে ভুল করে না। আপনি যদি ছাদে কিংবা বারান্দায় একটি টব রাখতে পারেন, তবে কেন নয়? আজকের ছোট্ট লতা একদিন বড় হয়ে ছায়া দেবে, ফল দেবে, আর সবচেয়ে বড় কথা মনকে প্রশান্ত করবে।

করলা শুধু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, বরং এটি চাষ করাও খুব সহজ। যারা ছাদে বা বারান্দায় সবজি চাষ করতে চান, তাদের জন্য করলা একটি ভালো পছন্দ হতে পারে। একটু যত্ন নিলেই এটি ভালো ফলন দেয়। আমাদের এই ছোট্ট করিলা গাছটি ভবিষ্যতে আরও অনেক ফল দেবে, আর আমরা তাজা করলা খেতে পারবো ,এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দের বিষয়।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।