"মুলা,সবজি চচ্চড়ি" নিরামিষ রেসিপি। shy-fox 10%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কা, আদাব। আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছে, সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি, সুস্থ আছি।
মুলার উপকারিতা।
মুলায় থাকা ভিটামিন সি আমাদের দেহের রেডিক্যাল গুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে এবং দেহের কার্টিজের যে কোন ক্ষতি প্রতিরোধ করে। ভিটামিন-সি কোলাজেন গঠনেও সহায়তা করে। মুলা খেলে বাতের ব্যথাতেও উপশম ঘটে। মুলা কোলন, পেট, অন্ত্র,মুখ ও কিডনি ক্যান্সারের বিভিন্ন স্ট্র্যান্ডের সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে। মুলা জন্ডিস রোগিদের প্যানিসিয়া হিসেবে কাজ করে এতে থাকা উপাদানগুলো ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে এরকম হাজারো গুণ সম্পন্ন উপকারি সবজি হলো মুলা।
শীতকালে মুলা খুবই কম দামে বাজারে কিনতে পাওয়া যায় অনেকেই মুলা পছন্দ করে না কিন্তু আমার খুবই পছন্দের একটা খাবার হলো মুলা দিয়ে রান্না করা তরকারি। আমি আজকে ছোট দেশি মুলা আর কয়েক প্রকারের সবজি দিয়ে নিরামিষ চচ্চড়ি রান্না করেছি সেই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
মুলা |
---|
আলু |
পটল |
বেগুন |
ধনেপাতা |
কাঁচামরিচ |
আদাবাটা |
জিরাগুঁড়া |
লবণ |
হলুদগুঁড়া |
সরিষাবাটা |
পাঁচফোড়ন |
সয়াবিন তেল |
ধাপ-১
প্রথমে মুলা ও অন্যান্য সবজি গুলো কেটে ধুয়ে নিয়েছি। সরিষা লবণ কাঁচামরিচ দিয়ে বেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি, তারপর পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিয়েছি,তারপর কাঁচামরিচ ফালি গুলো দিয়ে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
পাঁচফোড়ন কাঁচামরিচ গুলো ভাজা হলে কেটে ধুয়ে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর লবণ-হলুদ দিয়ে সবজির সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিয়েছ।
ধাপ-৪
সবজিগুলো হালকা করে ভেজে নিয়েছি। তারপর আদাবাটা জিরাগুঁড়া দিয়ে বেশ ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
সরিষা বাটার মধ্যে জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
মসলা কষানো হলে সরিষাবাটার জল গুলো উপর থেকে আস্তে আস্তে দিয়ে দিয়েছি নিচের খোসা গুলো যাতে না পড়ে উপর থেকে সব জল গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৭
সরিষা বাটা জল গুলো দেওয়ার পরে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিয়েছ। তারপর সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে দিয়েছি, ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে জ্বাল দিয়ে ঝোল শুকিয়ে আসলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
ধাপ-৮
ঝোল শুকিয়ে মাখো মাখো হলে চুলা থেকে নামিয়ে একটা পাত্রে তুলে নিয়েছি, এখন পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত মুলা,সবজি চচ্চড়ি।
এই ছিল আমার আজকের রেসিপি আশাকরি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন নতুন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
ঠিকই বলেছেন মুলা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে নিরামিষ মুলার চচ্চড়ি দেখে লোভনীয় লাগছে। সরিষা বাটা দিয়ে এভাবে সবজির চচ্চড়ি কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। একদিন বাসায় তৈরি করে দেখব। তৈরির ধাপগুলো সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন আপনি। সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি আপু মুলা শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি সবজি। আর খেতেও অনেক পছন্দ করি।আমি শীতকালে এভাবে খুব রান্না করি খেতে খুবই ভালো লাগে আমার।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভালো রেসিপি দিয়েছেন। যেকোনো পুজোর ভোগে এই রেসিপি লুফে নেবে।
ঈশ্বরের কৃপায় আমাদের বাড়িতে সব পুজো হয় আর নিরামিষ রান্না সারা বছর ধরে চলে। আমার ঠাকুমা ৩২ বছর নিরামিষ খাবার খেয়েছেন, তাই এই ধরনের রান্না গুলো আমাদের বাড়িতে খুব হতো। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু আপনি ঠিক বলেছেন মুলা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আপনার মত আমারও মুলা দিয়ে যেকোনো সবজি খেতে খুবই ভালো লাগে। আসলে শীতকালে মুলার তরকারি খেতে খুবই ভালো। আপনি খুব সুন্দর করে মুলা দিয়ে সবজি রান্না করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তবে এইভাবে কখনো নিরামিষ সবজি খেয়ে দেখিনি অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখব। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সবসময় মাছ মাংস খেতে একদম ভালো লাগেনা, মাঝে মাঝে নিরামিষ খাবার অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমার কাছে যেকোনো ভাঁজির সাথে কাঁচা মূলা কামড় দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। এছাড়া মূলার রেসিপি বিশেষ করে মূলার শাক খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে মূলার চচ্চড়ি তৈরি করেছেন। এভাবে নিরামিষ খেতে অনেক ভালো লাগে। রেসিপি ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শীতকালে নিজের জমি থেকে তুলে কাঁচা মুলা আমিও অনেক খেয়েছি আগে। বিশেষ করে লাল মুলা কাঁচা খেতে বেশি ভালো লাগে। মুলা এবং মুলাশাক দুটোই আমার খুব পছন্দের খাবার। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মুলা দিয়ে প্রস্তুত করা যেকোনো ধরনের রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে মুলা ভাজি দিয়ে রুটি খেতে সবথেকে বেশি মজা হয়।
মাঝে মাঝে সালাদ 🥗 হিসেবেও মোলা খেয়ে থাকি।।
আপনার প্রস্তুত করা রেসিপিটি দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতেও নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল তাছাড়া রন্ধন প্রণালী খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।।