২য় পর্ব || কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একদিন

in আমার বাংলা ব্লগlast month

কক্সবাজারে আমরা পৌছালাম সকাল সাড়ে সাতটার দিকে। আমাদের টার্গেট ছিল সূর্যাস্ত দেখার কিন্তু সেটা আর হয়নি। বাসে যেতে যেতে আমরা সূর্যোদয় দেখলাম! সারারাত জার্নি করে শরীরও অনেক টায়ার্ড ছিল। ঘুম একেবারে হয়নি। আমরা কক্সবাজারে নেমে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। আমাদের জন্য সকালের নাস্তা করার জন্য রেস্টুরেন্ট ঠিক করা ছিল! সেখানে আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে নিলাম! আমাদের জন্য তিনটা রুম বুক করা ছিল। তো আমাদেরকে বলে দেয়া হয়েছিল ব্যাগগুলো রেখে বাহিরে ঘুরতে যাবো। তো আমরা কয়েকজন রুমে ব্যাগ রেখে যায়। তারপর সকাল সাড়ে আটটার একটু পরে আমাদের জন্য চান্দের গাড়ি ঠিক করা হয়। যেটা দুপুর দুইটা অবধি ভাড়া করা।

১ম পর্বের পর

Messenger_creation_208D5435-D76E-48B0-8975-981AAC94DFA4.jpeg

Messenger_creation_0476DBB4-FDB3-4850-A6AC-0AB35991FE44.jpeg

আমাদের মেম্বার যেহেতু ৭৮ জনের মতো ছিল। তাই ছয়টা চান্দের গাড়ি সিলেক্ট করা হয়। আমরা যারা সেকেন্ড ইয়ার ছিলাম মোট তেরোজন আমরা একটা গাড়ি নিয়ে নিলাম। তো বেরিয়ে পরলাম সমুদ্র দেখার উদ্দেশ্য! চান্দের গাড়ির ভিতরে বসে আমরা সবাই গান গাইতে থাকলাম একের পর এক। রাস্তার পাশে উচুঁ নিচু অনেক বিল্ডিং খেয়াল করলাম! সমুদ্রের পাড়ে যেটা খেয়াল করলাম সেটা হচ্ছে আবাসিক বাসা অনেক। সমুদ্রকে কেন্দ্র করেই পর্যটন স্পটটা হয়েছে। এজন্য থাকার জন্য জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে এখানে। আসলে কক্সবাজারে আসলে আমি মনে করি পর্যাপ্ত সময় নিয়েই আসা উচিত। একদিনে কি আর ঘুরে দেখা সম্ভব সব!

Messenger_creation_FA9BF524-411E-4D9E-9F2B-57977B1E41CE.jpeg

Messenger_creation_0B68AEF1-0376-4CDF-A3AE-4E517DF8FA58.jpeg

Messenger_creation_333A4CAB-2610-480F-B98E-6190AF299C41.jpeg

তো আমরা অনেক মজা করতে করতে যাচ্ছিলাম। একটু সামনে যেতেই সমুদ্রের বিশালতা আমাদের চোখে পরলো। আর তখনই আমরা চিৎকার করা শুরু করলাম। কারণ আসলে আমাদের সবারই এটা কক্সবাজারে প্রথম আসা। আগে আসা হয়নি। যতদূর চোখ যায় শুধু সমুদ্রের জলরাশি আর নীল আকাশের আভা! এমন সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে না দেখলে আসলে বুঝা যায় না। আমরা যতই সামনে যেতে থাকি ততই আমাদের কানে সমুদ্রের গর্জন শুনতে পাচ্ছিলাম! বড় বড় ঢেউ এসে সমুদ্রের তীরে এসে আচড়ে পরছে। এটা অন্য এক অনুভূতি।

Messenger_creation_853C497E-D7F3-436F-A293-D598FCDA529B.jpeg

Messenger_creation_C265E25F-44A0-4CD3-BCF7-B2A3EAE61784.jpeg

আমাদের প্রথম গন্তব্য হিমছড়ি ঝর্ণা। সেখানে ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করা। তো ঝর্ণার কাছাকাছি আরও একবার গিয়েছিলাম তবে সেটা সীতাকুণ্ড এ। তো হিমছড়ি আমাদের চান্দের গাড়ি নামিয়ে দেয়। সেখানে আমরা ঘুরার পরে আরও একটি স্পটে যাবে। তো হিমছড়ি ঝর্ণায় যেতে হলে আগে টিকেট কাটতে হয় । আমরা যেহেতু তেরোজন ছিলাম। প্রত্যেকে ৪০ টাকা করে ভিতরে যাওয়ার টিকেট সংগ্রহ করে নিলাম। তো ভিতরে গিয়ে দেখি অনেক পর্যটক এখানে ঘুরতে এসেছে। হিমছড়ি ঝর্নার কাছে গিয়ে দেখতে পেলাম অনেকেই ছবি তুলছে। আসলে যেটা বুঝলাম পর্যটনরা এসব জায়গা দেখার চেয়ে ছবিই তুলে বেশি। তাই আমিও কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম সেখানে। ঝর্ণার পানি ঠান্ডা ছিল।

চলবে,,,,,,

DeviceSamsung S20
LocationHimchuri, Coxs-bazar

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।