জেনারেল রাইটিং - অসুস্থতা।
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসি, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আজ আপনাদের সাথে একটি জেনারেল আর রাইটিং শেয়ার করব যার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে অসুস্থতার বিষণ্ণ সময়।

শুরু করছি আমাদের সকলের প্রিয় রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর একটি হাদিস দিয়ে, যেখানে তিনি পাঁচটি বিষয় আসার আগে পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে বলেছেন। তার মধ্যে একটি হল অসুস্থতা আসার পূর্বে সুস্থতাকে গুরুত্ব দেওয়া।
মানুষ যখন অসুস্থ হয় তখন এই সে বুঝতে পারে সুস্থতা আল্লাহর কত বড় একটি নেয়ামত। তার আগ পর্যন্ত, আমরা আমাদের সুস্থতা শারীরিক সামর্থ্য নিয়ে কখনোই আল্লাহর দরবারে শোকর আদায় করি না। আমরা উপলব্ধি করি না আমরা যখন সুস্থ থাকি কত বড় একটি নেয়ামতের মধ্যে আমরা রয়েছি।
সুস্থ অবস্থায় আমরা ওই বিষয়গুলোকে অগ্রাহ্য করি যেগুলো অসুস্থ অবস্থায় আমাদেরকে বেশ পীড়া দেয়। কেবল যখন আমরা অসুস্থ হই তখন এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারি। অথবা বুঝতে পারি যে এগুলো আমাদের জন্য কতটা প্রয়োজনীয় ছিল।
বর্তমানে সিজনাল পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবেশ গরম থেকে ঠান্ডার দিকে যাচ্ছে। এই সময়ে ঠান্ডাজনিত রোগগুলো দেখা দেয়। বিশেষ করে, নানারকমের ফ্লু, হাঁচি, কাশি, এবং জ্বর। গত কয়েকদিন ধরে আমার সর্দি এবং গলা ব্যথা ছিল। আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় মনে হলো, আমার প্রচন্ড রকমের জ্বর এসেছে। বিছানা থেকেই উঠতে পারলাম না। অনেক দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। খাওয়া-দাওয়ার পর ওষুধ খাওয়ার ঘন্টাখানেকের মধ্যে জ্বর ছেড়ে দেয়। কিন্তু শরীর বেশ দুর্বল লাগছিল।
খুব আফসোস হচ্ছিল। আজ সারাটা দিন আমি বাসায়। সাধারণত এই ধরনের সুযোগ খুব কম আসে। কারণ যখন ছুটি নেই তখন নানা রকমের কারণেই ছুটি নিয়ে থাকি। তাই সারাটা দিন বাসায় থাকা হয় না। তখন ভাবতাম যদি সারাদিন বাসায় থাকতে পারতাম তাহলে অনেক কিছু করতাম। কিন্তু আজ আমি সারাটা দিন বাসায় ছিলাম। কিন্তু কোন কিছুই করতে পারেনি। সারাটা দিন ঐ শুয়েছিলাম, কারণ শরীর একদমই দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তাই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর এই হাদিসটির কথা বেশ মনে পড়ল। অসুস্থ না থাকলে বুঝা যায় না সুস্থতা আমাদের জন্য কত বড় একটি সম্পদ, কত বড় একটি নেয়ামত।
