জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে সাথী পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সেলিনা সাথীর বক্তব্য,,
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৩ ইং
সফল হোক, শতাব্দী থেকে শতাব্দী ধরে। মানুষের জ্ঞান চর্চার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে বই। আর সেই বইয়ের আবাসস্থল হল পাঠাগার বা গ্রন্থাগার।
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে দেশ-বিদেশের বই পড়া ও পাঠাগার আন্দোলনের কর্মী, পাঠাগার বার্তা’র পাঠক, লেখক, প্রতিনিধি আমার বাংলা ব্লগদ ও শুভানুধ্যায়ী সবাইকে জানাই বাংলাদেশ বেসরকারি গণ গ্রন্থকার পরিষদ নীলফামারী জেলা'র পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।pবন্ধুরা প্রতিবছর নীলফামারী জেলা সরকারি গ্রন্থাগার এর উদ্যোগে এই দিবসটি খুব জমকালো ভাবে পালিত হয়।এবং প্রতি বছরের এই অনুষ্ঠানটি আমি সঞ্চালনা করি গতকালকেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।গতকাল থেকে আমার শরীর তেমন একটা ভাল না। আমি তাদেরকে জানিয়েছিলাম। যে, আজকের এই অনুষ্ঠানটি আমি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করতে পারব না। কারণ তখন প্রচুর পরিমাণে আমার পেটে ব্যথা হচ্ছিল। এবং গায়ে তীব্র জ্বর ছিল।তার পরেও জেলা লাইব্রেরিয়ান আমাকে ছাড়লেন। না তিনি বললেন যে ভাবেই হোক প্রোগ্রামটি আমি যেন করে দেই।আশ্চর্য বিষয় কালকে আমি শাড়ি পরতে পারছিলামনা কিছুতেই তার পরেও যেমন তেমন করে একটি শাড়ি পড়ে প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়েছি।তবে কালকের দিনের শুরুটা আমার খুব খারাপ কেটেছে।পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলাম আমি আবার নীলফামারী সাথী পাঠাগারের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দিতে হয়েছে আমাকে।কাল খুব ছোট করে বক্তব্য দিয়েছিলাম হুবহু বক্তব্যটি তুলে ধরছি আপনাদের জন্য।
জনাব আসাদুজ্জামান নূর, মাননীয় এম পি,নীলফামারী 2 আসন, ভার্চুয়ালি আমাদের সাথে জয়েন হয়েছেন। এবং তার মূল্যবান বক্তব্য দিচ্ছেন।
এ পর্যায়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখবেন জনাব সেলিনা সাথী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাথী পাঠাগার
আজ 5 ফেব্রুয়ারি, জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় -স্মার্ট গ্রন্থাগার স্মার্ট বাংলাদেশ। এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজকের এই আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্হিত আছেন সম্মানিত সভাপতি জনাব পঙ্কজ ঘোষ। জেলা প্রশাসক, নীলফামারী।সম্মানিত প্রধান অতিথি জনাব, আসাদুজ্জামান নূর এমপি, মাননীয় সংসদ সদস্য, নীলফামারী 2 আসন। তিনি আমাদের সাথে ভার্চুয়ালি জয়েন করেছেন।সম্মানিত বিশেষ অতিথি জনাব মোস্তাফিজুর রহমান। পি পি এম, পুলিশ সুপার নীলফামারী। জনাব জেসমিন নাহার, উপজেলা নির্বাহি অফিসার, সদর নীলফামারী।জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম সহকারী লাইব্রেরীয়ান সরকারি গ্রন্থাগার নীলফামারী।এবং মঞ্চের সামনে উপবিষ্ট বেসরকারি গ্রন্থাগার সমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ ও আমার প্রিয় পাঠকবৃন্দ। আসসালামুয়ালাইকুম /আদাব সেই সাথে সাথী পাঠাগারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছার পাপরী ছড়িয়ে দিলাম সকলের হৃদয় আঙ্গিনায়। আমি সেলিনা সাথী।
ভাষা জ্ঞান এবং শিক্ষার জন্য গ্রন্থাগার হতে পারে একটি উত্তম এবং আদর্শ স্থান। গ্রন্থাগারে প্রায় সকল বিষয়ের বই খুব সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। ইংরেজি বাংলা,কিংবা অন্য যে কোন বিষয়ের বই গ্রন্থাগার গুলোর রকম ভেদে ভিন্ন ভিন্ন বয়সের মানুষ পড়তে পারে পছন্দ অনুযায়ী। ভাষা শিক্ষা সবার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়। গ্রন্থাগার গুলো সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভাষা শিক্ষা ও জ্ঞান চর্চার জন্য দরকারী উদ্যোগগুলো নিয়ে কাজ করলে সমাজ ও জাতি উভয়ই উপকৃত হবে বলে, আমার বিশ্বাস। তাই আসুন মানব কল্যাণের জন্য আমরা সকলেই বই পড়ি পাঠাগার গড়ি।বইপাড়া এ আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেই দেশ হতে দেশান্তরে।প্রতিটি পাঠাগার হয়ে উঠুক জ্ঞানচর্চার বাতিঘর।এই আশা ব্যক্ত করে আজকের মত এখানেই।
আমার বক্তব্য শেষে আবারও সঞ্চালনার কাজে যোগ দিতে হয়েছে। তবে আমার জীবনে যতদিন সঞ্চালনা করেছি তার মধ্যে কাল একটি বড় রকমের ভুল করে ফেলেছিলাম অসুস্থতার কারণে।যা পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার মাথায় হাত দিয়ে আমাকে আদর করে দিয়েছিলেন।যা সত্যি আমার জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল। এবং তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এটা আমার মিসটেক।নারী অফিসার হিসেবে ওনাকে আমার দারুন লাগে। বেসরকারি যেসকল পাঠাগারের কার্যক্রম সন্তোষজনক তাদেরকে সম্ভাবনা স্মারক দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে।তারমধ্যে সাথী পাঠাগার অন্যতম। আপনারা সকলে দোয়া করবেন সাথী পাঠাগার যেন আলোকোজ্জ্বল একটি পাঠাগার হয়ে উঠতে পারে।জ্ঞানচর্চার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে সাথী পাঠাগার।
যাই হোক পরবর্তীতে আমি প্রোগ্রাম শেষে দ্রুত বাসায় চলে আসি।এবং কাল থেকে এখন পর্যন্ত বিছানায় শুয়ে শুয়েই আছি।কালকেও অনেক রাতে ভাঁজের খেলা একটি পোষ্ট করেছিলাম খুব কষ্ট করে।আজ এখনো যখন পোস্ট লিখছি তখনও গায়ে অনেক জ্বর। বন্ধুরা সকলে ভাল থাকবেন এবং বেশি বেশি বই পড়বেন এই প্রত্যাশা রেখে আজকের মত এখানেই।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।













অসুস্থ থাকলে আসলে অনেক কিছুই ভুল হতে পারে, তখন মনের সাথে লড়াই করতে হয় নিজের শরীরের সাথে লড়াই করতে হয়। এই দিনটা প্রতিবছরই আপনার উপর দায়িত্ব থাকে তারই প্রেক্ষিতে এখন দায়িত্ব পেয়েছেন, যাই হোক অসুস্থ হলেও আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করেছেন এটাই অনেক কিছু, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার জায়গা থেকে সব সময় চেস্টা করে যাই, আপনাকে ধন্যবাদ।