জয় দিয়ে শুরু বাংলার বিশ্বকাপ মিশন
23-09-2023
০৮ আশ্বিন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে। যারা নিয়মিত ক্রিকেট খেলা দেখেন তারা নিশ্চয় খেলার খবর রাখেন। অনেকেই আবার ফুটবল প্রেমী মানুষ। লং টাইমের ওয়ানডে খেলা তেমন কেউ দেখতে চাই না। কিন্তু আমাদের মতো যারা খেলা প্রেমী মানুষ আছেন তাদের কাছে এসব মেটার করে না! ছোটবেলা থেকেই বাংলাদেশের খেলা হলেই আলাদা একটা উন্মাদনা কাজ করতো। এখন টিভি নেই তবে ফোনেই দেখা হয় খেলা। বিশ্বকাপ শুরু হয়ে যাওয়ায় কয়েক জিবি নিয়েছি। যেহেতু গ্রামে ওয়াইফাই নেই! তো গতকাল বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ মিশন শুরু হলো। বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ নিয়েই আজ কথা বলবো আপনাদের সাথে।
টসে জিতে প্রথমেই বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল কারণ হচ্ছে ধর্মশালার মাঠের কন্ডিশনটা এমন ছিল, যেখানে যারা পরে ব্যাটিং করে তারা বেশি জিতেছে। সে হিসেবে খেলায় টসটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তো আফগানিস্তান ব্যাটিং এ নামে। শুরুতেই গুরবাজ আর ইব্রাহিম দেখেশুনে খেলতে থাকে। ইব্রাহিম একটু স্ট্রাইক রোটেইট করে খেলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু ইনিংসটা বেশি বড় করতে পারেনি। সাকিবের বলে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়ে ইব্রাহিম! তারপর রহমত শাহ নামে মাঠে! রহমত শাহ বরাবরই কুল প্লেয়ার।। দেখেশুনে খেলতে থাকে। কিন্তু তারই ইনিংস থামে ১৮ রানে। সাকিবের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে রহমত শাহ। কিছুটা চাপে পরে তখন আফগানিস্তান।
তারপর মাঠে আসে শাহিদী। শাহিদী মাঠে এসে স্ট্রাগল করতে থাকে। মিরাজের বলে যেন একটা সিঙ্গেল রানও বের করতে পারছিল না। কিন্তু গুরবাজ তখনও দেখেশুনে খেলতে থাকে। কিন্তু শাহিদী গুরবাজের সাথে বড় কোন পার্টনারশিপ করার আগেই মিরাজের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তবে গুরবাজ বাংলাদেশের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়াঁয়। অবশেষে মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর আর কোনো পার্টনারশিপ দেখা যায় নি। একজনের পর একজন আউট হতে থাকে। আফগানিস্তানের ইনিংস থামে ১৫৬ রানে! এ যখন খেলার অবস্থা, তখন ছোট টার্গেটকে সামনে রেখে বাংলাদেশ খেলতে নামে। তানজিদ ও লিটন ওপেনিং এর শুরুটা ভালো করলেও, তানজিদ হাসান রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে।
তারপর খেলতে নামে মিরাজ! কিন্তু লিটন তার সাথে বেশিক্ষণ সায় দিতে পারেনি। ফাজল ফারুকীর বলে ইনসাইড এইজ বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর আসে শান্ত! শান্ত আর মিরাজ দেখেশুনে খেলতে থাকে। দুজনে মিলে একশোর কাছাকাছি একটা পার্টনারশিপ তৈরি করে। বলা যায় তখন বাংলাদেশ জয়ের কাছে। কিন্তু মিরাজ আউট হয়ে যায়। তারপর ভেবেছিলাম সাকিব হয়তো খেলাটা শেষ করে একেবারে মাঠ ছাড়বে। কিন্তু সাকিব ও আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর শান্ত ও মুশি মিলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এরই মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ মিশন শুরুহলো জয় দিয়ে। আমরা আশা রাখতেই পারি, পরের ম্যাচগুলোও বাংলাদেশ ভালো খেলবে।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।






Twitter share link
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ শুরু করেছে দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। সাকিব আল হাসান যখন রহমত শাহকে আউট করেছিল তখন আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। তবে বাংলাদেশের এই জয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের অবদান সব থেকে বেশি। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি খেলা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ভাই! রহমত শাহ র আউটটা ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকেও
আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশ যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে যদি এটা পুরো বিশ্বকাপে ধরে রাখতে পারে, তাহলে আমরা আশা করতে পারি বাংলাদেশ এবারে বিশ্বকাপে ভালো কিছু করবে। তারা প্রথম থেকে বেশ ভালো চাপে রেখেছিল আফগানিস্তানকে এবং শেষ পর্যন্ত খুব অল্পের ভিতরে তাদেরকে অলআউট করে ফেলে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছয় উইকেটের জয় লাভ করে। বাংলাদেশের টিমের জন্য শুভকামনা রইলো।
হ্যা ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন, শুরু থকেই আফগানিস্তানকে প্রেসারে রেখেছিল বাংলাদেশ। যার জন্য স্কোরবোর্ডে এতো রান হয়নি।
জয় দিয়ে এবারের বিশ্বকাপের শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। প্রতিটি ম্যাচ যেন জয় ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। আসলে বাংলাদেশের জয়ের অনুভূতি বেশ দারুণ। শাকিব, মেহেদী মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান ভালো বল করেছে যার কারণে দ্রুত উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।