স্পোর্টস পোস্ট || সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের দুর্দান্ত জয়
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আবারো স্পোর্টস বিষয়ক একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ পছন্দ। তাই চেষ্টা করি সবসময় ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে। আপনারা জানেন যে,ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছে। গতকালকে এই টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে ভারত ও নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিল এবং এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারতের মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। টস জিতে ভারতীয় দল ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতীয় দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল ব্যাট করতে নামে। ভারতের ওপেনিং জুটি উড়ন্ত সূচনা করে। দুজনেই দুর্দান্ত ব্যাট করেন একেবারে শুরু থেকেই। প্রথম দুই ওভারেই ১৮ রান করে ফেলে ভারত। যাইহোক ইনিংসের নবম ওভারে দলীয় ৭১/১ রানের মাথায়,মাত্র ২৯ বল মোকাবেলা করে ব্যক্তিগত ৪৭ রান করে টিম সাউদির বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যায় রোহিত শর্মা।
স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস
রোহিত শর্মার ছোট্ট এই ইনিংসে চারটি ৬ এবং চারটি ৪ এর মার ছিলো। যাইহোক রোহিত শর্মা আউট হয়ে যাওয়ার পর বিরাট কোহলি যোগ দেয় শুভমান গিলের সাথে। তারা দুইজনও দারুণ ব্যাট করতে থাকে। কিন্তু দলীয় ২৩ তম ওভারে শুভমান গিল ব্যক্তিগত ৭৯ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পর শ্রেয়াস আইয়ার ব্যাট করতে নামে। তখন ভারতের স্কোর ছিলো ১৬৪/১ রান। বিরাট কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ার দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। তারা মাত্র ৭৯ বলে ১০০ রানের জুটি গড়ে তুলে। ইনিংসের ৪২ তম ওভারে বিরাট কোহলি ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫০ তম সেঞ্চুরি তুলে নেয়। এতে করে শীর্ষে থাকা শচীনের ৪৯ টি সেঞ্চুরি টপকে বিরাট কোহলি বিশ্ব রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়। যাইহোক বিরাট কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ার এর জুটি ভাঙে দলীয় ৪৪ তম ওভারে ৩২৭/২ রানের মাথায়। বিরাট কোহলি ১১৩ বল মোকাবেলা করে ১১৭ রান করে বিদায় নেয়। এরপর কে এল রাহুল এবং শ্রেয়াস ঝড় গতিতে ব্যাট করে। আইয়ার মাত্র ৬৭ বল মোকাবেলা করে সেঞ্চুরি তুলে নেয়।
স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস
ইনিংসের ৪৯ তম ওভারে দলীয় ৩৮১/৩ রানের মাথায় শ্রেয়াস আইয়ার আউট হয়ে যায়। এরপর সূর্যকুমার নামার পরপরই আউট হয়ে গেলে, শুভমান গিল আবারো ব্যাট করতে নামে। শেষ পর্যন্ত ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৯৭/৪ রানের বিশাল স্কোর গড়তে সক্ষম হয়। সূর্য কুমার ছাড়া ভারতের সবাই দুর্দান্ত ব্যাটিং করে। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ৩ টি উইকেট তুলে নেয়। কিন্তু কমবেশি সবাই বেশ খরুচে বোলিং করে। যাইহোক ৩৯৮ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নামা নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার কনওয়ে এবং রবীন্দ্র নিজেদের নামের পাশে সুবিচার করতে পারেনি। ইনিংসের ৮ তম ওভারে মাত্র ৩৯/২ রানের মাথায় দুই ওপেনার বিদায় নেয়। এরপর অধিনায়ক উইলিয়ামসন এবং মিচেল দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। মূলত তাদের পার্টনারশিপের উপর ভিত্তি করে নিউজিল্যান্ড জয়ের আশা কিছুটা দেখতে পায়। যদিও উইলিয়ামসন, মিচেল এর চেয়ে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করে। এমন হাই স্কোরিং ম্যাচে আরো মেরে খেলতে হয়।
স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস
যাইহোক দলীয় ৩৩ তম ওভারে মোহাম্মদ শামি এক ওভারেই উইলিয়ামসন এবং লাথাম এর উইকেট তুলে নেয়। এতে করে ২২০ রানে নিউজিল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট এর পতন হয়। এরপর মিচেল এবং ফিলিপস একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। কিন্তু ৪৩ তম ওভারে ২৯৫/৫ রানের মাথায় ফিলিপস আউট হয়ে যাওয়ার একটু পর ,দলীয় ৪৬ তম ওভারে মিচেল ১৩৪ রান করে ৩০৬/৭ রানের মাথায় আউট হয়ে যায়। এরপর নিউজিল্যান্ড ৪৮.৫ ওভারে ৩২৭/১০ রানে অলআউট হয়ে যায়। এতে করে ভারত ৭০ রানের বিশাল জয় পায়। মোহাম্মদ শামি ৯.৫ ওভার বল করে ৫৭ রান দিয়ে ৭ টি মূল্যবান উইকেট তুলে নেয় এবং সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়। এতে করে ভারত ফাইনালে পৌঁছে যায়। সবমিলিয়ে এই ম্যাচটি বেশ উপভোগ করেছি। আজকে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া বনাম সাউথ আফ্রিকা দল। আজকের বিজয়ী দলের সাথে ভারত ফাইনাল খেলবে এবং ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী রবিবার অর্থাৎ ১৯ শে নভেম্বর।
স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস
পোস্টের বিবরণ
| ক্যাটাগরি | স্পোর্টস |
|---|---|
| স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
| ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
| তারিখ | ১৬.১১.২০২৩ |
| লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹















Twitter Link
ম্যাচটি আমি দেখেছিলাম ভাইয়া দুর্দান্ত খেলছিল ইন্ডিয়া। বিরাট কোহলির খেলা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। সে বরাবরের মতোই নিজের খেলা ধারাবাহিকতা করে যাচ্ছে । আজকেও তিনি 50 তম সেঞ্চুরি পূরণ করল। সর্বোপরি ইন্ডিয়ার প্রতিটা ব্যাটসম্যান খুব ভালো খেলতেছিল এবং নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডিংটা আজকে অনেক দুর্বল ছিল। শুরু থেকেই ইন্ডিয়ার বোলিং লাইনআপ অনেক শক্তিশালী ছিল। আজকে মোহাম্মদ শামী একাই ৭ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে। এই শামী স্কোয়াডে থাকবে কিনা অনেক সন্দেহ ছিল। হার্দিক পান্ডিয়ার ইনজুরি না হলে কিন্তু এ জায়গা পেত না। যাইহোক দুর্দান্ত খেলেছে ইন্ডিয়া এবং ফাইনালে ইন্ডিয়ার জন্য শুভকামনা রইল। অনেক সুন্দর করে আপনি বিশ্লেষণ করেছেন ভাইয়া
আসলেই হার্দিক পান্ডিয়া ইনজুরিতে না পরলে, মোহাম্মদ শামি জায়গা পেত না দলে। আর এই ম্যাচে মোহাম্মদ শামি একাই বাজিমাত করে দিলো। সবমিলিয়ে ম্যাচটি দারুণ উপভোগ করেছি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই টিম ইন্ডিয়াকে কেউ রুখতে পারবে বলে মনে হয়না ভাই। যা খেলছে এবারের বিশ্বকাপে 🔥🔥। কিং কোহলি, শ্রেয়াসায়ারের সেঞ্চুরি, সামির সাত উইকেট সবমিলিয়ে অসাধারণ খেলেছে ভারত। তবে বেডলাক টিম নিউজিল্যান্ড এর জন্য। এবারও শেষে এসে বিদায় নিতে হলো
এই টুর্নামেন্টের শুরুতেই ভেবেছিলাম ইন্ডিয়াকে কেউ আটকাতে পারবে না এবার। তারা বারবার সেটাই প্রমাণ করে দিচ্ছে। বড় আসরে নিউজিল্যান্ড এবং সাউথ আফ্রিকার ভাগ্য সবসময়ই খারাপ হয়। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।