আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হামু,,

in STEEM FOR TRADITIONN2 years ago

আসসালাম আলাইকুম
আমি @shahin05

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়া ও আল্লাহ তায়ালা অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। প্রথমে জানাই কমিনিটির সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাদের জন্য নিয়ে আসলাম ঐতিহ্যেবাহী কাঠের হামু। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নেওয়া যাক:
"গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী হামু"
20230920_054830.jpg
হামু আমাদের ঐতিহ্যবাহী একটি উপাদান। আমাদের রান্নার করার কিছু উপাদান এই হামুর মাধ্যমে গুড়া করে রান্নায় দিয়ে থাকি। রান্নার মধ্যে সুগন্ধ ও সুস্বাদু ও মজাদার করার জন্য আমরা মসল্লা ব্যবহার করি। আর এটা আমরা এই হামুর মাধ্যমে সুন্দর করে গুড়া করে নেই।কেউ প্রতিদিন অল্প করে গুড়া করে করে দেয়। আবার কেউ একসঙ্গে অনেকগুলো করে রাখে।
20230920_054840.jpg
তবে আমরা সাধারণত একসঙ্গে অনেকগুলো করে থাকি। যেটা আমাদের জন্য সুবিধা হয়। হামু সাধারণত দুই ধরনের হয়। লোহার ও কাঠের। লোহার হামু সাধারণত মেশিন এ পেস্টন দিয়ে বানানো হয়। বড় বড় মেশিন এর যখন পেস্টনগুলো নষ্ট হয়ে যায় তখন সেগুলো হামু বানানোর জন্য নিয়ে আসা হয়। সেগুলোর আনার পর সেগুলোর একপাশে একটা তলা লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং সাইটে ধরার মতো একটি রড দেওয়া হয়।
20230920_054802.jpg
আর এই রকম ভাবে হামু বানানো হয়। কিন্তু সেটার উপর ভালোভাবে ঘষে দেওয়া হয় যেন সেটা ধারালো জিনিস হাতে না লাগে আর হাত যেন কেটে না যায়। এই রকম ভাবে একটি লোহার হামু সম্পূর্ণ করা হয়। তবে সবথেকে বেশি সময় লাগে কাঠের হামু বানাতে। কারণ সেটা একটি মাত্র কাঠ দিয়ে ধীরে ধীরে অনেক সময় নিয়ে সেটার উপর নকশা করতে হয় এবং সেটাকে ধীরে তৈরি করতে হয়। একটা কাঠেট হামু তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যায়।
20230920_054738.jpg
কারণ কাঠের বাইরের অংশটা একজন কাঠমিস্ত্রী অনেক নিপুণ হাতের কারিগর দিয়ে নকশা করে থাকে। কাঠের নকশা গুলো করতে অনেক দক্ষ লাগে। কারণ একটু ভুল হলে এ সেটা নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য এইসব করার জন্য একজন দক্ষ মানুষ দরকার। তবে কাঠের তৈরি হামু দিয়ে সাধারণ আমরা মসল্লা এইসব গুড়া করে থাকি। কারণ সেগুলো ছোট্ট এ হয়। কিন্তু পেস্টন এর হামু গুলো বড় হয়। যেগুলো দিয়ে আমরা চাল বানার পর পিঠা বানিয়ে খাই। আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এটি একটি অপরিহার্য উপাদান।


SamsungA03s
ফটোগ্রাফার@shahin05
লোকেশননিজ বাসভবন


আশা করি আমার দেখানো পোস্টটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই সবার সুস্থতা দান করে আজকে মনে এখানেই শেষ করলাম। তবে লেখার মাঝে ভুল থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ
Sort:  
 2 years ago 

আমাদের রান্নার করার কিছু উপাদান এই হামুর মাধ্যমে গুড়া করে রান্নায় দিয়ে থাকি।

আমাদের দেশে বেশিরভাগ অঞ্চলের এটি রান্না করার কাজে ব্যবহার করা হয়। শুধু যে আমরা বাঙ্গালীরা এটি ব্যবহার করি তা না,পাহাড়ি অঞ্চলের অনেক মানুষ এরকম হামান দিস্তা দিয়ে অনেক কাজ করে থাকে।এর মধ্যে অন্যতম হলো তারা ওষুধ তৈরি করে এটি দিয়ে।এছাড়াও পান বাটার ক্ষেত্রে আমাদের দাদী সমাজ এটি ব্যবহার করে থাকে।দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

হামু আমাদের ঐতিহ্যবাহী একটি উপাদান। এখন হামু তিন ধরনের পাওয়া যায়।লোহার,কাঠের এবং প্লাস্টিকের।হামু অনেকের বাসায় দেখা যায়।আগে সবার বাসায় পাওয়া যেতো আধুনিক যুগের বিভিন্ন জিনিসের জন্য পুরাতন জিনিস বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।গ্রাম অঞ্চলে বেশি দেখা যায় হামু।আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।আপনার ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ।

 2 years ago 
DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

 2 years ago 

গ্রাম অঞ্চলে সবথেকে লোগার হামু দেখতে পাওয়া যায়। আগেকার দিনে সবথেকে বেশি লোহার হামুর প্রচলন থাকলেও বর্তমানে কাঠের বানানো হামুর চাহিদাও অনেক বেশি। এই সব হামুতে অনেক সহজেই অনেক কিছু গুড়ো করা যায়৷ বাসায় মায়েদের রান্নার জন্য মসলা গুড়া করতে বেশি সাহায্য করে।

 2 years ago 

হামু সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আসলে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে হামু সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে এবং এই হামুতে করে অনেক ধরনের মসলা গুড়া করা হয় এবং এগুলো গুটা করা মশলা আমাদের রান্নার কাজে ব্যবহার হয়। আবার কেউ কেউ এই হামুতে করে অনেক ধরনের মসলা অনেকগুলো করে গুড়া করে ফ্রিজে রাখে এবং একটু একটু করে রান্নার কাজে ব্যবহার করে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হামু নিয়ে চমৎকার একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। এই হামুতে করে বিভিন্ন ধরনের মসলাপাতিসহ আরো অনেক জিনিস বাটা হয়ে থাকে। আমাদের বাড়িতেও একটি হামু আছে তবে সেটা লোহার তৈরি। গ্রাম বাংলায় সেই ৯০ এর দশক থেকেই এই হামুগুলো ব্যবহার হয়ে আসছে এবং এখনও হচ্ছে।

 2 years ago 

হামু বেশ কাজের জিনিস। হামু দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বেটে নেওয়া যায়। এটি রান্না ঘরে বেশ প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। আগে এটি তেমন ব্যবহার করা দেখা যেত না। তবে এখন বাজারে বেশ সব রকমের দোকানে বিক্রি করতে দেখা যায়। আমি মাঝে মাঝে এটি দিয়ে আদা থেতলে নিয়ে চা তৈরি করি। এটি শক্ত কোন কিছু বেটে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যায় না। তবে হালকা কিছু বেটে নেওয়ার জন্য এটি বেশ কাজে আসে। আমাদের বাড়িতে এমন একটি রয়েছে। আমি এটি মাঝে মাঝে ব্যবহার করি এবং রান্নার কাজে মাঝে মাঝে কিছু মসলা বেটে নেওয়ার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।

 2 years ago 

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হামু সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন। হামু মূলত কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। যেমন কাসার তৈরি হামু রয়েছে আবার লোহার তৈরি হামুর হয়েছে এবং কাঠের তৈরি হম হয়েছে। আপনি কাঠের তৈরি অনেক সুন্দর একটি হামু আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আগের সময়ে মানুষকে কাসার তৈরী হামু বেশি ব্যবহার করত। এবং সেই কাসার তৈরি হামুতে পান সুপারি পিষে খেত। এমন দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ঐতিহ্যবাহী হামু নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

কাঠের তৈরি হামানদিস্তা নিয়ে অসাধারণ উপস্থাপন করেছেন ভাই, মশলা বাটার জন্য ব্যবহার করা হয়, যুগ যুগ ধরে মানুষ হামান দিস্তা ব্যবহার করে। তবে এটার নাম হামু বলা হয় আজকে প্রথম শুনলাম ভাই, যাইহোক ভালোই লাগলো নামটি। অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই, ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।