ঐতিহ্যবাহী হাতিয়ার এর মধ্যে অন্যতম একটি "কুড়াল"

কুড়াল হচ্ছে একটি ঐতিহ্যবাহী হাতিয়ার। আমাদের গ্রাম বাংলার প্রায় অনেক ঘর এর এই কুড়াল দেখা যায়। তবে কুড়াল বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেগুলো মানুষ তাদের রোজগার এর জন্য প্রতিনিয়ত গাছ বাঁশ ইত্যাদি কাজ করতেছে তাদের কুড়াল দেখলেই ভয় লাগে।

কারণ সেগুলোর ধরার লাঠি খুব ছোট্ট কিন্তু কুড়াল এর মাথা কুড়াল এর চার পাশটা অনেক বড়। তাছাড়া সেটা দেখতে চকচক করে জ্বলে। কারণ কথায় আছে যতও কাজ কর্ম করবা ততও জিনিস ভালো থাকবে। তাদের প্রতিদিন এর কার্জকম এর জন্য তাদের কাজের হাতিয়ারটা সবসময় এ তারা ভালো করে রাখে। আর আমাদের গ্রাম অঞ্চলে সাধারণ সেটার উল্টো। হঠাৎ করেই একদিন লাগে। যদি বাড়িতে বাঁশের মুড়া বা বড় কোনো মোটা গাছে ডাল থাকে। তাহলে সেগুলো ফাটানোর জন্য ব্যবহার করি।

এজন্য বাড়ির কুড়ালগুলো বেশি ধারালো থাকে না।। এগুলো বেশিদিন পড়ে থাকার কারণে এগুলোতে মরিচা ধরে। তবেও এই অবস্থায় বাসার কাজ শেষ করতে হয়। তবে কুড়ালকে আনরা যতটা ভালোভাবি ততটাও ভালো না। যত ভালো তত খারাপ। কারণ লোহার জিনিস সামান্য একটু শরীল এ আঘাত পেলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। কোনো কিছু ফাটাতে গেলে সবসময় নিজেকে সাবধান মতো রাখার লাগে। হঠাৎ করে কুড়াল বের হয়ে চোখে বা মুখে লাগতে পারে। যেটা থেকে অনেক বড় একটা ক্ষতি হতে পারে। আবার যারা বড় নড় গাছ কাটা ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করে তখন তাদের আশেপাশে কেউ এ থাকে না কারণ হঠাৎ করে যদি শরীর এর কোথাও লাগে তাহলে সেই জায়গাটা ঠিক থাকবে না।

এই কুড়ালটি সাধারণ কামার বানাই থাকে। তারা আগুন এর মধ্যে লোহাকে গলানোর পর তাদের ইচ্ছে মতো জিনিস তৈরি করে থাকে। কুড়াল বাসা বাড়ির জন্য ছোট্ট বানিয়ে থাকে। আর কাজের জন্য অনেক বড়ো বানিয়ে থাকে। শীতকালীন সময়ে কামারদের দোকানো অনেক মানুষ এ বসে থাকে।কারণ ওদের দোকান এ ওই সময় অনেকটায় গরম থাকে। আর যেকোনো লোহার জিনিস বানাতে অনেক কষ্ট হয। তাই লোহার জিনিস থেকে আমরা সবসময় সাবধান থাকবো।