জামালপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরে ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর অসীম রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব নারায়ণগঞ্জ শহরে আমার ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার মুহূর্ত নিয়ে,
ফটোগ্রাফি মানে শুধু একটি দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করা নয়, এটি আসলে অনুভূতিগুলোকে জমিয়ে রাখা। প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প, এক একটি হাসি, এক একটি বিষণ্ণতা। ক্যামেরার শাটার ক্লিক করার মাধ্যমে আমি সময়ের চাকা থামিয়ে দিই। আমার ছবিতে আমার আবেগ আর অনুভূতিরা কথা বলে, যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।কারণ প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক একটি মুহূর্ত, এক একটি ভাবনা। ক্যামেরা আমার তৃতীয় চোখ, যা দিয়ে আমি পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে শিখি, এবং সাধারণ জিনিসগুলোকে অসাধারণ করে তুলি।
আমি গ্রামে থাকি, এই শান্ত পরিবেশে আমার জীবন কেটেছে। কিন্তু আমার খালাতো ভাই থাকে নারায়ণগঞ্জ শহরে—অনেক দিন ধরে সে আমাকে তার বাসায় বেড়াতে যেতে বলেছে। আমারও খুব ইচ্ছে হয়, কিন্তু একা একা এত দূর পথ পাড়ি দিতে মন চায় না, কেমন যেন ভয় লাগে। একা বাসে চেপে এত বড় শহরে যেতে একেবারেই ভালো লাগে না আমার।
অবশেষে এইবার অপেক্ষার পালা শেষ হলো। আমার খালাতো ভাই ছুটিতে গ্রামে এসেছে। এসেই সে আমার সব দ্বিধা দূর করে দিল। সে এবার ঠিক করল, আমাকে নিজের সঙ্গে করে তার বাসায় নিয়ে যাবে! এই কথায় আমার সব দুশ্চিন্তা দূর হলো, কারণ সঙ্গী যখন সে নিজে, তখন আর একা থাকার প্রশ্নই নেই।
![]() |
|---|
আমরা দুজনে মিলে টিকিট কাউন্টারে গেলাম এবং নারায়ণগঞ্জগামী বাসের দুটো টিকিট কেটে নিলাম। বাসে উঠে পাশাপাশি বসলাম। ভাই আমাকে শহরের গল্প, তার কাজের জায়গা আর সেখানকার নানান অভিজ্ঞতা বলছিল। আমিও গ্রামের গল্প করে যাচ্ছিলাম। এই গল্প করতে করতেই আমরা প্রায় তিন ঘণ্টা পথ পেরিয়ে গেলাম। ভাইয়ের সাহচর্য আর গল্পে পথের ক্লান্তি যেন আমাদের ছুঁতেই পারছিল না।
![]() |
|---|
![]() |
|---|
দীর্ঘ যাত্রার মাঝামাঝি বাসটি একটি নির্ধারিত বিরতিস্থলে থামল—এটি ছিল ১০ মিনিটের একটি হোটেল বিরতি। একটু স্বস্তি পেতে আমরা বাস থেকে নামলাম। বাইরে বেশ ঠান্ডা ছিল। ভাই পরামর্শ দিল, এই ঠান্ডায় একটু উষ্ণ পানীয় দরকার। আমরা দুজনে মিলে দুটি গরম কফি পান করলাম। কফির কাপ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে বাইরের হালকা বাতাস উপভোগ করলাম, যা আমাদের মুহূর্তেই চাঙ্গা করে তুলল।
![]() |
|---|
দশ মিনিট শেষে আমরা আবার বাসে উঠলাম। কফির সতেজতায় বাকি পথটুকু খুব দ্রুত কেটে গেল। অবশেষে, বাসটি যখন নারায়ণগঞ্জ শহরে এসে পৌঁছাল, তখন আমার মুখে ছিল একগাল হাসি। একা আসার ভয়টা আর রইল না। ভাইয়ের সাথে এই আনন্দময় যাত্রা শেষে, তার বাসায় দিকে এগিয়ে চললাম।
বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি এবং আপনাদের কাছ থেকে ভালো মন্তব্য আশা করছি। পরবর্তী ব্লগে নতুন বিষয় নিয়ে দেখা হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুক।
আমি আব্দুল আলীম, Steemit-এ আমার ব্যবহারকারীর নাম @alimtutorial । আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বিত। Steemit কেবল আমার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমার ভালোবাসার জায়গা। এখানে মানুষ তাদের সৃজনশীলতা এবং পছন্দ-অপছন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নেয়। এই প্ল্যাটফর্মটি আমাদের মতো কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতে পারি এবং অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। পড়া, লেখা, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, গান গাওয়া এবং ভ্রমণ আমার প্রিয় জিনিস। প্রতিটি কাজ আমাকে নতুন জীবনযাপন করতে শেখায়, এবং Steemit আমার এই সমস্ত শখ সকলের সামনে তুলে ধরার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
| 📱 ডিভাইসের নাম | 📍অবস্থান | ক্যাপচার📸 দ্বারা |
|---|---|---|
| Redmi note 10 pro max | Jamalpur/BD | @alimtutorial |
| - | - | - |
ধন্যবাদ
@photoman
@blacks
@royalmacro
@beautycreativity
@curators
@hungry-griffin
আমার পোস্টটি দেখার জন্য






https://x.com/i/status/1998940125653537185
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
🎉 Congratulations!
Your post has been upvoted by the SteemX Team! 🚀
SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem community.
🔗 Visit us: www.steemx.org
✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
🎉 Congratulations!
Your post has been upvoted by the SteemX Team! 🚀
SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem community.
🔗 Visit us: www.steemx.org
✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5