আমাদের আলু জমিতে আগাছা গুলো পরিষ্কার করলাম। আর আলুর গোড়ায় মাটি তুলে দিলাম
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর অসীম রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমাদের আলুর খেতের আগাছা পরিষ্কার নিয়ে,
ফটোগ্রাফি মানে শুধু একটি দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করা নয়, এটি আসলে অনুভূতিগুলোকে জমিয়ে রাখা। প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প, এক একটি হাসি, এক একটি বিষণ্ণতা। ক্যামেরার শাটার ক্লিক করার মাধ্যমে আমি সময়ের চাকা থামিয়ে দিই। আমার ছবিতে আমার আবেগ আর অনুভূতিরা কথা বলে, যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।কারণ প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক একটি মুহূর্ত, এক একটি ভাবনা। ক্যামেরা আমার তৃতীয় চোখ, যা দিয়ে আমি পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে শিখি, এবং সাধারণ জিনিসগুলোকে অসাধারণ করে তুলি।
![]() |
|---|
![]() |
|---|
আজ সকালে উঠে মনটা একটু ভারি ছিল। আমাদের আলুর জমিটার দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছিল, আগাছায় ভরে আছে সবটা। আলুর চারাগুলো সবে একটু বড় হতে শুরু করেছে, কিন্তু এই জংলি গাছগুলো তাদের একদম চেপে ধরেছিল। যেন ওদের আলো, জল, খাবার—সবকিছু কেড়ে নিচ্ছে। ভাবলাম, এভাবে চলতে দিলে তো সব পরিশ্রম জলে যাবে। ভালো আলু পাব না।
![]() |
|---|
তাই আর দেরি না করে মাঠে নামলাম। হাতে নিলাম আমার প্রিয় পাসুন। এই সরঞ্জামটা দিয়ে কাজ করতে খুব সুবিধে। শুরু করলাম আগাছা পরিষ্কারের কাজ। একটা একটা করে, খুব যত্ন নিয়ে আগাছাগুলো শিকড়সুদ্ধ তুলে ফেললাম। কাজটি করতে গিয়ে শরীরে বেশ চাপ পড়ছিল, রোদে গা-হাত-পা গরম হয়ে উঠছিল। কিন্তু যখন দেখলাম, আগাছা সরানোর পর আলুর গাছগুলো আবার সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সুযোগ পেল, তখন ভেতরে একটা শান্তি পেলাম। মনে হলো যেন গাছগুলো মুক্তি পেল।
![]() |
|---|
এরপরের কাজটি ছিল আরও জরুরি—আলুর গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দেওয়া। পাসুন দিয়ে সাবধানে আলুর সারির দুই পাশ থেকে মাটি টেনে এনে চারাগুলোর গোড়ায় উঁচু করে জমা করলাম। এই মাটি তুলে দিলে আলুগুলো মাটির নিচে ভালোভাবে ছড়াতে পারে। এতে আলু বড় হয়, আর ফলনও ভালো হয়। তা ছাড়া, মাটি তুলে দিলে গাছগুলো শক্ত হয়ে দাঁড়ায়, সহজে পড়ে যায় না।
![]() |
|---|
সারা দিনের কঠিন কাজ শেষ করে যখন মাঠের দিকে তাকালাম, তখন মনটা খুশিতে ভরে গেল। জমিটা এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আলুর গাছগুলো সব সুন্দর করে আইলের উপর দাঁড়িয়ে আছে। নিজের হাতে কাজ করে এমন পরিষ্কার একটা মাঠ দেখতে পাওয়া—এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই। শরীরে একটু ক্লান্তি আছে বটে, কিন্তু মনে সেই ক্লান্তি নেই। এখন শুধু অপেক্ষায় আছি, আমার এই যত্নের ফল যেন খুব মিষ্টি হয়। আশা করি, এবার আমাদের আলুর ফলন খুব ভালো হবে। এই মাটি আর এই ফসলের সঙ্গে আমার মনটা যেন জড়িয়ে আছে।
বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি এবং আপনাদের কাছ থেকে ভালো মন্তব্য আশা করছি। পরবর্তী ব্লগে নতুন বিষয় নিয়ে দেখা হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুক।
আমি আব্দুল আলীম, Steemit-এ আমার ব্যবহারকারীর নাম @alimtutorial । আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বিত। Steemit কেবল আমার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমার ভালোবাসার জায়গা। এখানে মানুষ তাদের সৃজনশীলতা এবং পছন্দ-অপছন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নেয়। এই প্ল্যাটফর্মটি আমাদের মতো কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতে পারি এবং অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। পড়া, লেখা, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, গান গাওয়া এবং ভ্রমণ আমার প্রিয় জিনিস। প্রতিটি কাজ আমাকে নতুন জীবনযাপন করতে শেখায়, এবং Steemit আমার এই সমস্ত শখ সকলের সামনে তুলে ধরার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
| 📱 ডিভাইসের নাম | 📍অবস্থান | ক্যাপচার📸 দ্বারা |
|---|---|---|
| Redmi note 10 pro max | Jamalpur/BD | @alimtutorial |
| - | - | - |
ধন্যবাদ
@photoman
@blacks
@royalmacro
@beautycreativity
@curators
@hungry-griffin
আমার পোস্টটি দেখার জন্য







https://x.com/alimtutorial8/status/1997158530969973107?t=r5dlYKGgmp7ykJX8YkaF2A&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্ট টি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো।শীতকালে আমাদের বাড়ির চারপাশের জমিতে এভাবে আলু লাগানো হতো।জমি থেকে আলুশাক তুলে খাওয়া আলুক্ষেতে আগাছা পরিস্কার করা নতুন আলু ঘরে তোলা সত্যিই অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করতো।আজ অনেক দিন পর সেই পুরোনো স্মৃতি গুলঁ মনে পড়ে গেলো।খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
খুবই আনন্দ পেলাম আপনার স্মৃতিচারণমূলক মন্তব্যটি পড়ে।
আপনার কথাগুলো শুনে মনে হচ্ছে, শীতকালের আলুক্ষেতের সাথে আপনার একটা গভীর আত্মিক টান জড়িয়ে আছে। জমি থেকে টাটকা আলুশাক তুলে এনে রান্না করা, বা আগাছা পরিষ্কারের পর নতুন আলুর ফসল তোলার সেই পরিশ্রম আর আনন্দের অনুভূতি—সত্যিই ভোলার নয়।
অনেকদিন পর আপনার সেই হারিয়ে যাওয়া ভালো লাগার স্মৃতিগুলো জাগিয়ে তুলতে পেরে আমি নিজেও ভীষণ খুশি।