মামার বাইকে আমার গ্রাম ভ্রমণ
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর অসীম রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার গ্রামের সুন্দর্য নিয়ে।
ফটোগ্রাফি মানে শুধু একটি দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করা নয়, এটি আসলে অনুভূতিগুলোকে জমিয়ে রাখা। প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প, এক একটি হাসি, এক একটি বিষণ্ণতা। ক্যামেরার শাটার ক্লিক করার মাধ্যমে আমি সময়ের চাকা থামিয়ে দিই। আমার ছবিতে আমার আবেগ আর অনুভূতিরা কথা বলে, যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।কারণ প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক একটি মুহূর্ত, এক একটি ভাবনা। ক্যামেরা আমার তৃতীয় চোখ, যা দিয়ে আমি পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে শিখি, এবং সাধারণ জিনিসগুলোকে অসাধারণ করে তুলি।
এইবার ছুটিতে গ্রামে এসে খুব মজা পাচ্ছি। মনটা এমনিতেই খুশিতে ভরা। আজ সকালে ভাবলাম, ঘরের মধ্যে বসে না থেকে একটু গ্রামটা ঘুরে দেখি। কিন্তু আমার তো বাইক নেই। তাই সাহস করে মামাকে বললাম বাইকটা নিয়ে একটু বের হব। মামা চাবিটা হাসিমুখে দিলেন। এই বাইকটা কিন্তু আমার না, এটা আমার প্রিয় মামার বাইক।
আমি বাইকের চাবি ঘোরালাম এবং ইঞ্জিন চালু করলাম। বিকেলের পরিবেশটা কেমন শান্ত আর ঠান্ডা ছিল। আমি নিজে বাইক চালিয়ে প্রথমে গ্রামের পাকা রাস্তা ধরে বের হলাম। রাস্তার একদিকে ঘন গাছপালা, যেন একটা সবুজের দেয়াল। আর অন্যপাশে তাকালেই মন জুড়িয়ে যায় – বিস্তীর্ণ সবুজ ধানখেত। সূর্যের আলোয় এই ধানখেতগুলো উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল।
একটু এগোতেই রাস্তাটা আরও বেশি গাছপালায় ঘেরা হয়ে গেল। ডানে আর বামে সারি সারি কলাগাছ, সুপারির গাছ আর বাঁশঝাড়। বাতাসের একটা ঠান্ডা ঝাপটা মুখে এসে লাগছিল, মনটা একদম ফুরফুরে হয়ে গেল। আমি সাবধানে বাইক চালাচ্ছিলাম।
এরপর বাইক নিয়ে গ্রামের মূল বসতির দিকে ঢুকলাম। রাস্তাটা একটু সরু হয়ে এলো। রাস্তার দু'পাশে টিনের আর মাটির বাড়িঘর। গ্রামের মানুষজন তাদের নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কেউ বাড়ির সামনে বসে গল্প করছে, কেউ বা হেঁটে যাচ্ছে। এই রাস্তা ধরে যেতে যেতে হঠাৎ সামনে থেকে একটি অটো আসছিল, আমি গতি কমিয়ে দিলাম।
আমরা যখন গ্রামের ভেতরের দিকে বাজারের কাছাকাছি যাচ্ছিলাম, তখন দেখলাম ছোট ছোট দোকানপাট আর মানুষের ভিড়। গ্রামের মানুষজন এখানে চা খাচ্ছে আর দিনের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করছে। এই দৃশ্যগুলো দেখতে খুব ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছিল এই জীবনটা অনেক সহজ আর সুন্দর।
এরপর বাইক নিয়ে আবার একটু খোলা রাস্তায় ফিরলাম। আমি একটু গতি বাড়ালাম। তখন বাতাসের শব্দটা একটু জোরে শোনা যাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল খুব দ্রুত এগোচ্ছি। চারদিকে সবুজ মাঠ আর উপরে নীল আকাশ। বাইক চালাতে চালাতে এই প্রকৃতির দ্রুত পাল্টে যাওয়া দৃশ্যগুলো মনে দারুণ আনন্দ দিচ্ছিল। শহর থেকে দূরে এই প্রকৃতির কাছাকাছি আসাটা সত্যি সার্থক মনে হলো।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মামার বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়ানোর পর আমি বাড়ির দিকে ফিরতে শুরু করলাম। বাইকটা বাড়িতে পার্ক করে যখন নামলাম, তখন মনে হলো সারাদিনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে। ছুটিতে গ্রামে এসে মামার বাইকে চড়ে নিজের হাতে চালানো এই ভ্রমণটা আমার কাছে একটা দারুণ স্মৃতি হয়ে থাকবে। গ্রামের এমন শান্ত, সাধারণ আর সুন্দর বিকেলটা খুব মনে রাখার মতো।
বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি এবং আপনাদের কাছ থেকে ভালো মন্তব্য আশা করছি। পরবর্তী ব্লগে নতুন বিষয় নিয়ে দেখা হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুক।
আমি আব্দুল আলীম, Steemit-এ আমার ব্যবহারকারীর নাম @alimtutorial । আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বিত। Steemit কেবল আমার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমার ভালোবাসার জায়গা। এখানে মানুষ তাদের সৃজনশীলতা এবং পছন্দ-অপছন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নেয়। এই প্ল্যাটফর্মটি আমাদের মতো কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতে পারি এবং অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। পড়া, লেখা, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, গান গাওয়া এবং ভ্রমণ আমার প্রিয় জিনিস। প্রতিটি কাজ আমাকে নতুন জীবনযাপন করতে শেখায়, এবং Steemit আমার এই সমস্ত শখ সকলের সামনে তুলে ধরার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
| 📱 ডিভাইসের নাম | 📍অবস্থান | ক্যাপচার📸 দ্বারা |
|---|---|---|
| Redmi note 10 pro max | Jamalpur/BD | @alimtutorial |
| - | - | - |
ধন্যবাদ
@photoman
@blacks
@royalmacro
@beautycreativity
@curators
@hungry-griffin
আমার পোস্টটি দেখার জন্য


https://x.com/alimtutorial8/status/1987487741999981046?t=wZTZ0eH0AW4NmPQeXwMNLw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.