ভূত দেখতে যাওয়ার অভিযান (পর্ব - ৪ / শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি।

গ্রামের বন্ধুদের সঙ্গে মিলে আড্ডা, খেলা, দুষ্টুমি সবকিছুই যেন অন্যরকম আনন্দে ভরা। ছোটবেলা থেকেই আমার বন্ধু রাকিব, সুমন, আকাশ আর জুয়েল সবসময় আমার সঙ্গে থেকেছে। ওদের সাথে থাকলেই সময় কেমন উড়ে যায় বুঝতেই পারি না। তবে আজকে আমি যে গল্পটা বলতে যাচ্ছি, সেটা আমাদের এক মজার কাণ্ডকারখানা। সেটা হলো ভূত দেখতে যাওয়ার ঘটনা। যদিও এখন মনে করলে হাসি পায়, তখন কিন্তু আমরা ভয়ে কাঁপছিলাম আবার কৌতূহলেও ছিলাম ভরপুর। আর মজার ব্যাপার হলো, এই ঘটনাটা খুব পুরোনো নয় এই তো দুই-তিন বছর আগের ঘটনা, আমাদের এই এলাকার মধ্যেই ঘটেছিল।

ভূত দেখতে যাওয়ার অভিযান (পর্ব - ১)

ভূত দেখতে যাওয়ার অভিযান (পর্ব - ২)

ভূত দেখতে যাওয়ার অভিযান (পর্ব - ৩)

1000111839.png

AI Generator

আমরা যখন সেই রাতের অভিজ্ঞতা মনে করতাম, তখনো হাসি পায়। কিন্তু গ্রামের বটগাছের সেই রাতের স্মৃতি আমাদের সবার জন্য এক আলাদা আনন্দের গল্প হয়ে আছে। সেদিনের ঘটনা আমাদের শেখালো যে, ভয় ও কৌতূহল কখনো কখনো মজার অভিজ্ঞতায় পরিণত হতে পারে।পরের সপ্তাহে আমরা আবার একসাথে বসে গল্প করছিলাম। রাকিব হঠাৎ বলল, “চল, এখন সবাই একসাথে বটগাছের কাছে যাই, শেষবার সেই জায়গাটা ভালোভাবে ঘুরে আসি।” আমরা সবাই রাজি হয়ে গেলাম। এইবার কেউ ভয় পায়নি, সবাই স্বচ্ছন্দ। আকাশ হাসতে হাসতে বলল, “ভয় তো কেটে গেছে, এবার শুধু মজা করতে হবে।”

গাছের কাছে গিয়ে আমরা সেই জায়গাটা ভালোভাবে ঘুরে দেখলাম। ডালের ব্যাগগুলো পরিষ্কার করে সরিয়ে ফেললাম, ঝোপের মধ্যে আর কারো লুকানোর সম্ভাবনা নেই। জুয়েল বলল, “দেখলে, ভূত আর কিছু নেই, সব মানুষের ছোট ছোট কাণ্ড!” সুমন যোগ করল, “হ্যাঁ, আমরা নিজেদের সাহস পরীক্ষা করেছি, আর একসাথে থাকার মানে বুঝেছি।”তারপর আমরা সবাই বসে গল্প করতে শুরু করলাম। রাতের অন্ধকারে চাঁদের আলো পড়ছিল, বাতাস হালকা। আমরা সেই রাতে যেভাবে ভয় পিয়েছিলাম, সেই মুহূর্তগুলো মনে পড়ে এখনও হাসি পায়। রাকিব ভিডিও দেখাল, যেখানে আমরা সাদা কাপড়কে ভূত ভেবেছিলাম। সবাই আবার একসাথে হেসে উঠল।

সেই রাতে আমরা বুঝলাম, বন্ধুদের সঙ্গে থাকা, একসাথে সাহস দেখানো, এবং মজার পরিস্থিতি উপভোগ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভয় কখনোই বড় বিষয় নয়, যদি সে ভয়কে সাহস ও আনন্দে পরিণত করা যায়। গ্রামের সেই বটগাছ এখন আমাদের জন্য শুধু একটি গাছ নয়, বরং স্মৃতির এক সোনালি অধ্যায়।ফেরার পথে আমরা সবাই পরিকল্পনা করলাম, ভবিষ্যতে আরও অনেক মজার অভিযান করা হবে। তবে এবার আমরা ঠিক করলাম, ভূত দেখার নামক কোনও ভয় থাকবেনা। আমরা শুধু মজা করব, একে অপরের সঙ্গে গল্প ভাগ করব, আর সেই স্মৃতি আমাদের জীবনের আনন্দ বাড়াবে।

এইভাবেই শেষ হলো আমাদের ভূত দেখতে যাওয়ার অভিযান। ভেতরে ভয় থাকলেও বন্ধুদের সঙ্গে থাকা সাহস, হেসে খেলে সময় কাটানো, এবং গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশে রাত কাটানো সবকিছু মিলিয়ে আমাদের এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়ে রইল।শেষমেষ আমরা সবাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে বললাম, “ভয় নয়, বন্ধুত্বই বড় শক্তি।” আর এই বন্ধুত্বের স্মৃতি আমাদের মনে সবসময় রয়ে যাবে।


আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

standard_Discord_Zip.gif

আমার পরিচয়

1000024149.png

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ। আমি ঘোরাফেরা, লেখালেখি এবং ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন জায়গা ও সংস্কৃতি আবিষ্কার করতে আমার আনন্দ লাগে। বিভিন্ন মুহূর্ত ও দৃশ্যকে ক্যামেরার লেন্সে বন্দি করা আমার শখ। লেখালেখির মাধ্যমে আমি আমার ভাবনা, অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে ভালোবাসি। প্রকৃতির সৌন্দর্য, মানুষের জীবনধারা এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার লেখার মূল অনুপ্রেরণা। আমি প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার চেষ্টা করি এবং সেগুলোকে স্মৃতিতে ধরে রাখি। এসব অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন করে জীবনকে দেখার অনুপ্রেরণা দেয়।

1000024154.png

1000024151.gif

Sort:  
 5 days ago 

Congratulations!

Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀

upvoted.png

This is an automated message.

💪 Let's strengthen the Steem ecosystem together!

🟩 Vote for witness faisalamin

https://steemitwallet.com/~witnesses
https://www.steempro.com/witnesses#faisalamin