কিশোর হান্নানের অপূর্ণ স্বপ্ন (প্রথম পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


দুপুর বেলায় হান্নান বাড়িতে ফিরে মাকে জিজ্ঞেস করে কোন খাবার আছে নাকি? হান্নানের প্রশ্নের কোন জবাব দেয় না তার মা। হান্নান তার মায়ের মুখ দেখেই বুঝতে পারে ঘরে কোনো খাবার নেই। গত দুদিন থেকে তারা প্রায় না খেয়ে আছে। হান্নানের বাবা বৃদ্ধ শ্রমিক কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে পড়েছিলো। দিন আনে দিন খাই শ্রমিকেরা অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে থাকলে তখন তাদের পরিবার পরিজনকে না খেয়েই দিন কাটাতে হয়। প্রচন্ড ক্ষুধায় কাতর কিশোর হান্নান ভেবে কুল পায় না সে এখন কি করবে? সকাল থেকে সেও বিভিন্ন জায়গায় কাজের জন্য চেষ্টা করেছে।

Black and Gold Fancy New Year Card_20240908_103516_0000.png

কিন্তু গ্রামের কেউই তাকে কাজ দিতে রাজি নয়। এদিকে হান্নানের বাবা ও সকাল বেলায় কাজকর্ম খুঁজতে বের হয়ে কোনো কিছু না পেয়ে দুপুরে বাড়িতে ফিরে এসেছে। হান্নানের ছোট ছোট আরো তিনটে ভাই-বোন রয়েছে। সবাই মিলে গতকাল থেকে প্রায় না খেয়ে আছে। গতকাল হান্নানের মা প্রতিবেশী একজনের বাড়ি থেকে কিছু মুড়ি চেয়ে এনেছিলো বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য। সেই মুড়ি সবাই ভাগ করে খেয়েছে। হান্নানের বাবা গ্রামের মুদি দোকানে গিয়েছিলো বাকিতে কিছু চাল ডাল আনার জন্য। কিন্তু আগের বাকি পরিশোধ করতে না পারায় দোকানদার তাকে কোনো মালামাল দেয়নি।

প্রচন্ড ক্ষুধা পেটে নিয়ে হান্নান চিন্তা করতে থাকে সে এখন কি করবে? হঠাৎ করে তার মাথায় একটা বুদ্ধি আসে। সে পাশের বাড়ি থেকে একটা জাল চেয়ে নিয়ে তাদের গ্রামের শেষ প্রান্তে অবস্থিত একটা খালে যায় মাছ ধরতে। হান্নান চিন্তা করেছে যদি সে কিছু মাছ ধরতে পারে। সেই মাছ গ্রামের বাজারে নিয়ে বিক্রি করে কিছু টাকা পাওয়া যাবে। সেই টাকা দিয়ে চাল ডাল কেনা যাবে। ক্ষুধার জন্য শরীরটা দুর্বল হয়ে গিয়েছে হান্নানের। তারপরেও সে জাল নিয়ে দ্রুত বেগে খালের উদ্দেশ্যে হাঁটতে থাকে। (চলবে)


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ