“সকালে এক গ্লাস চিয়া সিড”
জীবনের গতি যখন দ্রুত হয়, বিশেষ করে পড়াশোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে, তখন শরীর এবং মন উভয়কেই সর্বোচ্চ সজাগ ও শক্তিশালী রাখাটা অপরিহার্য। আজকালকার দিনে, যখন চারপাশে প্রতিযোগিতা এবং প্রত্যাশার চাপ অনবরত বাড়তে থাকে, তখন একজন শিক্ষার্থীর জীবনে বাড়তি মানসিক চাপ আসাটা স্বাভাবিক। আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাসখানেক ধরে শরীরটা যেন বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল, কেমন যেন একটা ক্লান্তি, দুর্বলতা আর অবসাদ সারাক্ষণ গ্রাস করে রাখত। এই মাসের শেষের দিকেই আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল পরীক্ষা। সব মিলিয়ে পড়াশোনার চাপ এখন আকাশছোঁয়া। এই কঠিন সময়ে, শরীরের এই দুর্বলতা যেন মনকে আরও ভেঙে দিচ্ছিল।
সারাদিন বইয়ের পাতা আর নোটসের ভিড়ে সময় পার করতে গিয়ে টের পাচ্ছিলাম যে হজম প্রক্রিয়াতেও যেন একটা স্থবিরতা এসেছে। শরীর ভালো না থাকলে মনও সায় দেয় না কোনো কাজে। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যে সতেজতা এবং কর্মোদ্দীপনা প্রয়োজন, তার যেন অভাব দেখা যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতেই একদিন এক বন্ধুর পরামর্শে আমি আমার দৈনন্দিন রুটিনে এক ছোট্ট কিন্তু শক্তিশালী পরিবর্তন আনলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক কাপ উষ্ণ জলের মধ্যে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। আপনার শেয়ার করা ছবিটির মতোই আমিও বারান্দায় দাঁড়িয়ে সকালের হালকা আলোয় এই স্বাস্থ্যকর পানীয়টি পান করতে শুরু করি, যা এক নতুন অভ্যাসের সূচনা করল।
প্রথম কয়েক দিনেই আমি এর সুফল টের পেতে শুরু করি। সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি আসে আমার হজম শক্তিতে। চিয়া সিড-এ থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আমার পরিপাকতন্ত্রকে সচল করতে দারুণ সাহায্য করে। পেটের গোলমাল কমে যাওয়ায় একটা হালকা ভাব অনুভব করি, যা পড়াশোনার সময় মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক হয়। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনটি ছিল দুর্বলতা দূর হওয়া। আগে যেখানে দিনের মাঝামাঝি সময়েই একটা ঝিমুনি ভাব আসত, এখন তা অনেকটাই কমে গেছে। মনে হচ্ছে যেন শরীরের ভেতরের ইঞ্জিনটা নতুন করে চার্জ পেয়েছে। এখন সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেক বেশি চনমনে লাগে এবং সারা দিন পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিটা যেন চিয়া সিডের মাধ্যমেই পেয়ে যাচ্ছি।
এই ছোট্ট বীজগুলো আসলে শুধু ফাইবার নয়, এতে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো আমার শরীরের সামগ্রিক ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করছে। পরীক্ষার এই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে, যখন অসুস্থ হওয়া একেবারেই কাম্য নয়, তখন চিয়া সিড আমার জন্য একটি বিশ্বস্ত সহকারীর মতো কাজ করছে। এখন দিনের শেষে নিজেকে আর ততটা ক্লান্ত মনে হয় না। মনে হচ্ছে, প্রকৃতির এই অসাধারণ উপহার আমার জীবনে সতেজতা ও সুস্থতার এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এই ব্যস্ততার মধ্যেও শরীরকে প্রাধান্য দেওয়ার এই সিদ্ধান্তটি যে কতটা সঠিক ছিল, তা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি। এটি কেবল একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়, এটি যেন আমার কঠিন সময়ে নিজেকে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করার একটি মন্ত্র।
আমার আজকের এই পোস্টটা করার মূল উদ্দেশ্য একটাই আমরা যারা ব্যস্ততার মাঝে নিজেদের যত্ন নিতে ভুলে যাই, তারা যেন অন্তত সকালবেলার এই ছোট্ট অভ্যাসটি গড়ে তুলে শরীর ও মন দুটোকেই সতেজ রাখি। চিয়া সিড হতে পারে সেই সহজ, প্রাকৃতিক উপায় সুস্থ জীবনের প্রতিদিনের শুরুতে।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।





🎉 Congratulations!
Your post has been upvoted by the SteemX Team! 🚀
SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem community.
🔗 Visit us: www.steemx.org
✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5
Daily Tasks
Comments Link:-
https://x.com/mohamad786FA/status/1985781706478272679?t=IqMHrHmjROZg8_I93plqXg&s=19
https://x.com/mohamad786FA/status/1985781524445438391?t=IqMHrHmjROZg8_I93plqXg&s=19
Ss